ডাব খাওয়ার অনুভূতি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভিন্ন ধরনের লাইফস্টাইল শেয়ার করব। যেখানে আপনারা দেখতে পারবেন আমাদের গাছের ডাব বিক্রয় সহ আমার বাবুকে ডাব খাওয়ানোর মুহূর্ত। তাহলে শুনুন শুরু করি।
আমাদের বাড়িতে বেশ অনেকগুলো ডাবের গাছ রয়েছে। তবে ডাব গাছে তেমন বেশি একটা ডাব ধরে না। শুনেছি আগেও বেশ অনেক ধরতো। কিন্তু এখন কেন জানি খুবই কম ধরে। তাই অনেকদিন পর ডাবের দেখা মিলে চোখের সামনে। আজকে অনেকদিন পর এক ডাব ক্রেতা এসেছিল আমাদের বাড়িতে গাছ থেকে ডাব পেড়ে কিনে নিয়ে যেতে। এখন ডাবের দাম ৬০ টাকা করে চলছে আমাদের এখানে। কিন্তু বাইরে কিনে খেতে গেলে ১২০ টাকা ১৩০ টাকা। যাই হোক বাজারের ডাবগুলো কিন্তু আমাদের ডাব গাছের ডাবের মত ফ্রেশ হয় না। কেমন জানি স্পট পড়া হয়ে থাকে। আমাদের গাছের গুলো অনেক পরিষ্কার এবং ফ্রেশ। গাছি ভাই গাছে উঠলেন এবং বেশ অনেকগুলো ডাব সংরক্ষণ করলেন।
তবে আমাদের গাছে বেশি ডাব হলো না। মোটার উপর ষোলটা ডাব হয়েছে। আর অন্যান্য গাছ থেকে কিছু সংরক্ষণ করেছিলেন। তবে ষোলটার দাম নয়শ টাকা দিয়েছেন তিনি, একটা রেখেছেন নিজের গাছে ওঠা বাবদ ফাউ। আসলে বর্তমান কিছু কিছু ফলে এমনই দাম জানলে মাথা ঘুরে যায়। এখন দেখছি ডাবের বাগান থাকার প্রয়োজন বেশি। মাত্র ১৫ টা ডাবের দাম ৯০০ টাকা। তবে আশ্চর্যজনক বিষয় বাজারে কিনে খেতে গেলে এর দাম প্রায় দুই হাজার। যাই হোক টাকা পরিশোধ করে ডাবগুলো তার গাড়িতে উঠিয়ে গাছি ভাই বিদায় হলেন। তবে তার আগে বলা ছিল একটি গাছে দোমালা হয়ে গেছে এমন ডাব রয়েছে,সেই ডাবের কাইনটা সম্পূর্ণ পেড়ে দিতে। গাছি ভাই কথা মত সেই কাইনটা পেড়ে এনে দিলেন।
এবার সুমন ভাইয়া দোমালা ডাবগুলো সবাইকে কেটে খাওয়ানোর জন্য ঘর থেকে একটি কাটারি বের করে আনলেন। আমি তো মনে করেছিলাম এগুলো নারিকেল হয়ে গেছে। কিন্তু ভাইয়া বলেছিলেন নারিকেল হয়নি। আসলে নিচ থেকে গাছের ফল বোঝা যায় না। তবে ভাইয়ার অভিজ্ঞতা থাকায় তিনি ঠিকই বলেছিলেন। বলেছিলেন দো মালা হয়েছে এগুলো খেতে ভালো লাগবে। তাই ভাইয়ার কথাতেই গাছি ভাই পেড়ে দিয়েছেন। ভাইয়া তার কাজ শুরু করল। এদিকে তার ভাতিজি অর্থাৎ আমার একমাত্র ছেলে রাজ গ্লাস নিয়ে ছোট আব্বার সামনে বসে গেল ডাবের পানি খাওয়ার জন্য। আমি তাদের বাপ-বেটার রহস্য দেখতে থাকলাম। ভাইয়া যেমন তাড়াহুড়ো করে কাটা শুরু করলো। এদিকে আমার ছেলেও বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়ল, তার দেরি সইছে না।
তারা বাপ বেটায় বেশ ফানি মুডে ডাবের জল ও সাস খাওয়া শুরু করল। আমার ছেলে ছোট মানুষ সে আর কতই বা খেতে পারে,একটা ডাবের জল তো কম হয় না। দো মালা ডাবের পানি এমনিতেই সুস্বাদু। সে তার সাধ্যমত খেতে খেতে হঠাৎ মাটিতে ফেলে দিল। এতে ভাইয়া বেশ রাগান্বিত হলো। বেশ একটু বকা দিল বাবুকে। এতে আমার বাবু কোন কর্ণপাতই করল না। বরঞ্চ সে ছোট আবদার রাগ আনন্দের সাথে গ্রহণ করল হাসিমুখে। কি আর করার ভাইয়াও তার হাসিতে আনন্দিত। এরপর নারিকেল বা দোমালা ভেঙে চামুচের নিচের অংশ দিয়ে শাস তুলে দিল। আর এভাবেই আমরা আনন্দ সহকারে সবাই যে যার মত খেতে পারলাম। আর এই নিয়ে আজকে সকালের একটি মুহূর্ত,খুব আনন্দের সাথে আমরা অতিবাহিত করেছি।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বিষয় | মাছ ধরার অনুভূতি |
---|---|
What3words Location | Gangni-Meherpur |
মোবাইল | Infinix Hot 11s |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর নার্সিং কোর্স করে বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আজকের এই মুহূর্তটা আমাদের জন্য সত্যিই অনেক আনন্দদায়ক ছিল। আর নিজের গাছের ফল পেড়ে খাওয়ার মধ্যে রয়েছে অন্যরকম ভালো লাগা। বেশ ভালো লাগলো, হয়তো স্মৃতি হয়ে থাকবে এই প্লাটফর্মে আমাদের আজকের এই দিন।
আপু আপনি ডাব খাবার অনেক সুন্দর মুহুর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নিজের গাছ এর ফল খাবার মজাই আলাদা। ডাব এর দাম আসলেই অনেক,আর পরিষ্কার দাগ ছাড়া নিখুঁত ডাব আমরা পূজাতে ব্যবহার করে থাকি।ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
আপনার ডাব খাওয়ার অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ডাব স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আগের বন্ধুরা সবাই মিলে ডাব খাওয়ার বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করতাম। নিজের গাছের ফল খেতে খুব ভালো লাগে। ডাব খাওয়ার বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন আপনি। পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনাদের গাছে এতো সুন্দর ডাব হয় আপু। আসলে সারাদেশে ডাবের ফলন কেন জানি কমে গেছে হয়তো আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে এমন হয়েছে। ডাবের ফটোগ্রাফি দেখেই লোভ লেগে গেলো।আপনারা খাওয়ার জন্য যে ডাব নিয়েছেন সে গুলো ডাবের জল ভীষণ সুমিষ্ট হয়ে থাকে।এই ডাবের শাঁসে গুলো খেতে ভীষণ মিষ্টি ও নরম হয়।এরকম ডাবের শাঁস খেতে ভীষণ ভালো লাগে আমার। আপনার ছেলে ও সুমন ভাইয়ার ছেলে মজা করে ডাবের জল খেয়েছে জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ডাবের জল খাওয়ার অনুভূতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।