মোবাইলে ধারণ করা রেনডম ফটোগ্রাফি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। বিভিন্ন প্রকার রেনডম ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মনে করি, আমার এই ফটোগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে।
রেনডম ফটোগ্রাফি
প্রথমে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সবজি বাগান থেকে উত্তোলন করার সবজি। বাগান থেকে সবজি উত্তোলন করেছিলাম এবং একটি পাত্রের মধ্যে রাখছিলাম। নিজেদের সবজি বাগান হয় এই একটা সুবিধা হয়েছে যখন ইচ্ছে তখনই সবজি বাগানে উপস্থিত হয়ে যায় এবং ইচ্ছেমতো সবজি উত্তোলন করে আনতে পারি। তাই বলতে গেলে টাটকা শাকসবজি খাওয়ার সুযোগ বা সৌভাগ্য মিলে। এখানে বেশ কিছু ঝিংগে ও চালকুমড়া দেখতে পাচ্ছেন। চাল কুমড়ো ছোট অবস্থায় ভাজি করে খেতে ভালো লাগে। ঝিঙে গুলো অন্যান্য সবজির সাথে রান্না করলে ভালো লাগে।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন আমাদের সবজি বাগানে ঝুলন্ত একটি কুমড়োর চিত্র। সবজি উত্তোলন করার মুহূর্তে দেখলাম বেশ কয়েকটা এমন কুমড়ো ঝুলে রয়েছে। শীতের সময় কলায়ের ডাল উটলে এই কুমড়ো দিয়ে বড়ি তৈরি করব।
এখানে আকাশের সুন্দর চিত্র লক্ষ্য করছেন। শরতের সময়ে ধারণ করা আকাশের মেঘাচ্ছন্ন চিত্র। আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা সাদা মেঘগুলো বেশি ভালো লাগে। আর বেশি ভালো লাগে গাছের উপর থেকে দেখতে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ।
একদিন ভ্রাম্যমান গাড়ি ওয়ালার কাছ থেকে ঝুড়ি কেনার মুহূর্তে ধারণ করা হয় ফটোটা। ভ্রাম্যমান এই গাড়িওয়ালার গাড়িতে অনেক প্লাস্টিকের সামগ্রী ছিল। ঝুড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকার রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় গামলা ড্রাম বালতি বদনা কৌটা সহ অনেক কিছু রয়েছে।
বিশেষ এক কারনে আমাদের গ্রামের ঈদগাহার পাশে অবস্থান করেছিলাম ফুফু শাশুড়িদের বাড়িতে। আর সেখান থেকে ধারণ করছিলাম এই কাঁঠাল গাছের বড় বড় কাঁঠাল গুলোর ছিদ্র। একই স্থানে বেশ অনেকগুলো মোটা মোটা বড় কাঁঠাল নজরে পড়ার মতো ছিল তাই ফটোটা ধারণ করতে পারছিলাম।
এই মুহূর্তে আপনারা ফসলের মাঠের সুন্দর দৃশ্য দেখতে পাচ্ছেন। যেখানে ধান গাছে ধানের শীষ বের হয়ে গেছে। হয়তো এই ধানের শীষ বের হওয়ার সাথে সাথে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আরো হাসি ফুটবে যখন এই সোনালী ধান বাড়িতে আনতে পারবে।
এটা একটি মাশরুমের ফটোগ্রাফি। বর্ষার সময় প্রায় যে কোন স্থানে এমন মাশরুম বের হতে দেখা যায়। আর হে মাশরুমগুলো দেখতে অনেকটা সাদা আকৃতির। বেশ ভালো লাগে এমন মাশরুমের ফটো ধারণ করতে।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি বনফুল। এই ফুলের নাম আমার জানা নেই। তবে কতটা জানি গরু-ছাগলের ঘাস হিসেবে ব্যবহার করা হয় এই গাছগুলো। আর সেই ঘাসের উপর ফুটে রয়েছে এমন চমৎকার একটি নীল ফুল।
এই মুহূর্তে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটা শালিক পাখি টিনের চালের উপর বসে রয়েছে। বাকিটা এমন ভঙ্গিতে বসেছিল দেখতে বেশ ভালো লাগছিল তাই একটু জুম করে ফটোটা ধারণ করলাম। প্রত্যেকদিন রাত পোহালেই এমন অনেক পাখির আগমন ঘটে বাড়িতে। খুবই ভালো লাগে এ সমস্ত পাখিগুলো বাড়িতে উপস্থিতি দেখলে।
ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
---|---|
বিষয় | রেনডম ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
মোবাইলে ধারন করা খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দারুন দারুন ছবি আপনি আমাদের সাথে আজকে ফটোগ্রাফি পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করলেন। এইমাত্র আমিও গাছ থেকে চাল কুমড়ো পেড়ে নিয়ে রান্না করলাম। আর কমিউনিটি খুলে দেখছি চাল কুমড়ো ঝুলছে আপনার ছবিতে। সবকটা ছবি খুব ভালো লেগেছে।
গ্ৰামীন পরিবেশ এবং বেশ কিছু সবজির ফটোগ্রাফি দিয়ে একটি অ্যালবাম সাজিয়েছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্ৰাফী আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আপনার শেয়ার করা সবজির ফটোগ্রাফি গুলো একটু বেশি ভালো লেগেছে। এছাড়া ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফী গুলো অসাধারন হয়েছে।