অতিথি পাখির ফটোগ্রাফি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আমি মাঝে মধ্যে আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি বিভিন্ন পর্যায়ের রেনডম ফটোগ্রাফি। ঠিক তেমনি ভাবে আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম রেনডম ফটোগ্রাফি নয়, অতিথি পাখির বেশ কিছু ফটো শেয়ার করার জন্য। মনে করি, আমার এই ফটোগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে এবং এরই পাশাপাশি অনেক কিছু ধারণা পাবেন।
আপনারা হয়তো জানেন আমাদের এলাকাতে পুকুর মেলা। আর এই পুকুরে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক পাখি আসে। শীতের সময় অতিথি পাখির আগমন ঘটে আমাদের এলাকায়। আমাদের পুকুরপাড় থেকে শুরু করে আশেপাশের বড় বড় পুকুর যা রয়েছে ফাঁকা স্থানগুলো যা রয়েছে সব জায়গায় লক্ষ্য করা যায়। এমন কিছু কিছু পাখি রয়েছে যে সমস্ত পাখিগুলোর নাম আমাদের জানা নেই। আর এই সমস্ত অতিথি পাখিগুলো আমাদের এলাকায় আসে বলেই প্রাকৃতিক পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। আর সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে আমাদের মতো অনেকেই ছুটে যায় যেখানে অতিথি পাখি দেখতে পারে। অনেকেই মোবাইল হাতে আবার অনেকেই ক্যামেরা হাতে কিছুটা ছুটে যায় সেই পাখির দিকে ক্যামেরা বন্দী করতে। ঠিক তেমনি ভাবে একদিন চলতি পথে আমরা গাড়ি থেকে নামলাম। এরপর চেষ্টা করলাম নিরিবিরি এক প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝ থেকে অতিথি পাখির ফটো ধারণ করতে।
আর এই স্থানটা ছিল আমাদের পার্শ্ববর্তী গ্রামের মাঠের রাস্তার মধ্যবর্তী জায়গা। যে রাস্তার এপাশে ও পাশে শুধু পুকুর। বিশেষ কোন দিনকে উপলক্ষ করে এখানে অনেক মানুষের আগমন ঘটে। ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে বৈশাখী মেলার আনন্দ উদযাপন করতেও মানুষের চলাচল অবস্থান এ জায়গাগুলোতে। ঠিক তেমনি ভাবে যদি অতিথি পাখির দেখা মেলে শীতের সময়, কম বেশি মানুষের উপস্থিতি হয়ে যায় এখানে। আমি যেদিন এই ফটোগুলো ধারণ করলাম দেখতে পারলাম পুকুরের এপারে ওপারে অনেক পাখি রয়েছে। ওই মুহূর্তে অনেক মানুষ tiktok তৈরি করছিল আবার ভিডিও তৈরি করছিল এছাড়া পাখির ভিডিও ধারণ করছিল এক বট বৃক্ষের নিচ থেকে। কিন্তু আমরা তাদেরকে অতিক্রম করে আরেক প্রান্তের দিকে চলে আসলাম শুধুমাত্র পাখিগুলোর ফটো ধারণ করতে। আর এখানে এসে দেখতে পারলাম আমাদের থেকেও পাখিগুলো একটু দূরে। এই স্থানটার নাম নুনার-বিল। এটা আমাদের গাংনী মেহেরপুরের ১৬ টাকার মধ্যে অবস্থিত। অসংখ্য এই পাখি দেখে মন মুগ্ধ হয়ে গেছিল আর মন চাচ্ছিল যেন এখান থেকে বাড়ি না ফিরি এখন। বড় বড় পুকুরগুলো মনে হতে পারে নদী কিন্তু এগুলো নদী নয়। একসময় বিল ছিল পরবর্তীতে সব পুকুরে রূপান্তর করেছে। যাইহোক এই স্থানটা বিভিন্ন পাখির আগমন হওয়ায় যেন এক অন্যরকম পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পাখি দেখার জন্য অনেক স্টুডেন্টের উপস্থিতি থাকে এমনকি প্রেমিক-প্রেমিকা এবং ফ্যামিলির মেম্বাররা উপভোগ করতে আসে। তবে এখানে তেমন কোন দোকানপাট না থাকায় মানুষের খাবার-দাবারের ব্যবস্থা নেই। শুধুমাত্র কিছুটা সময়ের জন্য মানুষ অবস্থান করে এবং এভাবে ফটো ধারণ করে দেখতে থাকে সুন্দর সব পাখির উপস্থিতি।
আমরাও রাস্তা থেকে একটু নেমে গেলাম এরপর মোবাইল দিয়ে জুম করে ফটো ধারণ করতে থাকলাম। বেশ ভালো লাগছিল বটগাছের নিচে থেকে ফটো ধারণ করতে। যেখানে ঝিরিঝিরি হাওয়া বয়ে চলছিল অবিরত। লক্ষ্য করে দেখছিলাম পানির উপরে পাখি গুলো ভেসে চলছে আবার জায়গায় জায়গায় থেমে রয়েছে। সামনে যেদিকে লক্ষ্য করছিলাম সেদিকে যেন পাখি। পুকুরের মাছ বরাবার বিভিন্ন জায়গায় কাতার বদ্ধ ভাবে ভেসে বেড়াচ্ছে পাখিগুলো। এমন সুন্দর স্থানে এসে বাড়ি যেতে মন আপনারও চাইবে না। কারণ এক অন্যরকম ভালো লাগার মধ্যে এমন চলে যায়। আর এই মুহূর্তে প্রিয়জন পাশে থাকায় যেন অন্যরকম ভালোলাগাও ছিল মনে। তাই যতক্ষণ অবস্থান করেছিলাম বেশ অনেক ফটো ধারণ করছিলাম আমরা। আর এভাবেই অতিথি পাখির ফটো ও ভিডিও ধারণ করতে করতে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম।
ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
---|---|
বিষয় | অতিথি পাখির ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আমিও এইখানে মাঝে মাঝেই অতিথি পাখির আগমন দেখতে পাই। সত্য কথা বলতে বলতে পাখি দেখলে আমারও অনেক ভালো লাগে। তারা আমাদের পরিবেশটাকে আরো সুন্দর করে দেয়। বিষয়টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ পাখি আমার খুব প্রিয়
ঋতুর নির্দিষ্ট একটি সময় আমাদের দেশে অতিথি পাখি দেখা যায়। তবে প্রকৃতির রূপ হারিয়ে ফেলার জন্য এখন আর তেমন একটা অতিথি পাখি দেখা যায় না। শীত এবং বর্ষার মৌসুমে অতিথি পাখি গুলা আমাদের দেশে এসে বিচরণ করে বেড়াতো। তবে এই দৃশ্য এখন বিরল আজকে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অতিথি পাখিগুলো দেখতে পেলাম। এগুলো দেখে নিজের কাছে খুব ভালো লাগলো আপু অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন। তবে শীতের সময় কিছুটা হলেও আমাদের এদিকে আসে।
১৬ টাকা তাহলে কি জায়গার নাম!! নামটা তো বেশ অদ্ভুত। যাই হোক আপনি অতিথি পাখির খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। সম্ভবত বেশ কয়েকদিন আগে একবার ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করেছিলেন এই অতিথি পাখিগুলোর। দূর থেকে বেশ দারুন লাগছে সবগুলো পাখিকে একসাথে দেখে। ভালো লাগলো আপনার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু ওটা গ্রামের নাম
আপনাদের এলাকায় অতিথি পাখির আগমন ঘটে জেনে ভালো লাগলো।নুনার-বিল নামটি খুবই সুন্দর।আর আপনাদের ওখানে বিভিন্ন মানুষেরা ভিড় জমায় পাখি দেখতে এটা অনেক ভালো একটি বিষয়।পাখিগুলো দেখতে কিছুটা হাঁসের মতোই,ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ অনেক মানুষ আসে দেখার জন্য