কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি আমাদের পুকুরপাড়ের সবজি বাগান থেকে সবজি উত্তোলন করার কিছু অনুভূতি নিয়ে। যেখানে দেখতে পারবেন বাগানের পুরাতন পুঁইশাক ও তার বিচির ফটোগ্রাফি।
photography device: Infinix Hot 11s
এ মুহূর্তে দেখতে পাচ্ছেন পুকুরপাড়ে উপস্থিত হয়েছিলাম সবজি উঠানোর জন্য। আমাদের পুকুর পাড়ের সবজি বাগানের মধ্যে বেশ অনেক সবজি রয়েছে, তবে তার মধ্যে পুঁই শাক দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। আর বিভিন্ন শাকসবজি উত্তোলন করতে গিয়ে শুরুতে এই শাক উত্তোলন করেছিলাম। পুরাতন গাছগুলোতে বেশ অনেক সুন্দর ভাবে নতুন কুশি শুরু হয়েছে। তাই এই সমস্ত শাক আর শাকের বিচি তোলার জন্য উপস্থিত হয়েছিলাম। দেখেছিলাম বাগানের মধ্যে বেশ জায়গায় জায়গায় অনেক সুন্দর নতুন শাক হয়েছে। এই সমস্ত শাকগুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। ভাজি করে রান্না করলে অথবা আলুর সাথে ঝোলা আকারে রান্না করলে
এরপর আমি উপস্থিত হলাম পুঁইশাকের বিচি উত্তোলন করার জন্য। ফটোগ্রাফিতে আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন কাঁচা পাকা সব রকমের বিচি রয়েছে। এমন পুইশাক এর বিচি আলু দিয়ে ভাজি করে রান্না করে খেতে বেশি দারুন লাগে। তাই আমি প্রায় মাঝেমধ্যে পুকুরে উপস্থিত হতাম আর এভাবেই বাছাই করে পাকা বিচিগুলো উত্তোলন করার চেষ্টা করতাম। কারণ আমি শুনেছিলাম পুইশাকের পাকা বিচিতে অনেক উপকার, এতে নাকি রক্ত বৃদ্ধি হয়। তাই পুকুর পাড় থেকে খুব মনোযোগ সহকারে আমি এগুলো উত্তোলন করতাম। একটা বিষয় জেনে আপনারা খুশি হবেন যে আমাদের পুকুরপাড়ে বেশ কয়টা সবজি বানে এই পুঁই শাক এর বিচি হয়েছিল।
আমি কোনদিন এভাবে ভাবি নাই যে পুকুর পারে এত সুন্দর সবজি বান হবে। আর এত এত বেশি করে এই বিচি হবে। ২০২৩ সালে বৈশাখ জৈষ্ঠ মাসে অর্থাৎ এই সময় ভাইয়া পুকুরপাড়ে এই সবজি গাছ তৈরি করেছিল। সে তার সাবমারসিবল পাম্পটা হাতে করে নিয়ে যেয়ে 12 ভোল্টের সোলার এর ব্যাটারির মাধ্যমে পানি উত্তোলন করতো আর এই গাছগুলোতে সেচ দিতে। আর ঠিক এভাবেই যত্ন নিয়ে শাকসবজি উৎপাদন করত। আমার মোবাইলে খুঁজলে এখনো এই সবজি গাছের প্রাথমিক পর্যায়ের অনেক ফটো পাওয়া যাবে। তবে শুরুটা একরকম ছিল আর এই লাস্টের দিকে এসে আর একরকম। গাছগুলো যখন সুস্থ সবল ওর সতেজ ভাবে বেড়ে উঠছিল তখন অনেক মোটা ছিল। ভাইয়া সব সময় বলতো মোটা সবল গাছগুলোকে আরো বৃদ্ধি পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিব। যেন পরবর্তীতে সারা গাছ থেকে অনেক পুয়ের ডাটা সংরক্ষণ করা যায়। আর শীতকাল আসলে এর বিচি খাওয়া যায়।
দীর্ঘদিন পুকুরে মাছের খাবার দেওয়া দেখতে গিয়ে, সবজি তুলতে গিয়ে এই গাছের ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। একসময় বড় হয়েছে এরপর সারা বান জুড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে, সেখান থেকে অনেক ডাটা কেটে এনেছি রান্না করার জন্য। এরপর শীতের আগে এই ফল ধরা শুরু হয়েছিল। ফল আসার আগে সুন্দর সাদা সাদা ফুল আকারে শিষ বের হতো। সেগুলাও তুলে নিয়ে যেতাম।
আর এভাবেই একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অর্থাৎ এই তো কিছুদিন আগেও পুকুরপাড়ে এই সবজি ও বিচি ছিল। তাই এক কথায় বলতে পারেন পুরা একটা বছর ধরে পুকুরপাড়ের সবজি বাগান থেকে এই পুয়ের শাক ও বিচি সংরক্ষণ করে রান্না করেছি আমি। তবে এবার পছন্দ গরমের জন্য যেন পুকুর পাড়ে তেমন সবজি তৈরি করতেই পারছে না। গত বছর এই সময় অনেক কিছু ছিল, এখন কিন্তু বাগান গুলো সম্পূর্ণ বন জঙ্গলে ভরা। তবে আশা করি ভাইয়া ঢাকা থেকে ফিরে আসলে আবারও সবজি বাগান এভাবেই তৈরি করে ফেলবে। আর পুনরায় সবজি খাওয়ার সুযোগ হবে আমাদের।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
পুকুর পাড়ে সবজি চাষ করার আইডিয়াটা বেশ ভালো। গত বছর এই সময় সবজিগুলো লাগানো হয়েছিল এবং এক বছর ধরে সেগুলো আপনারা খাচ্ছেন জেনে ভালো লাগলো। এই লাল লাল পুইশাকের মেসরি গুলা খেতে আমার কাছে ভালো লাগে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক আপনার মত আমারও ভালো লাগে ভাইয়া।
পুকুর পাড়ে যদি এরকম সবজি গাছ থাকে তাহলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। আর টাটকা শাকসবজি গুলো খেতেও ভালো লাগে। আপু আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপনি।।
পুকুর পাড়ে দারুন সবজির বাগান করেছেন । পুই শাক যেটা আমার খুবই প্রিয় ছিল কিন্তু হতভাগা আমি। আমার খাওয়ার বরাত নেই যেটা ডাক্তারি দিকনির্দেশনায় নিষেধ। পুইশাকের ফল আমার খুবই প্রিয় যেটা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে খেতে। আপনার বাগানের সবজি সংগ্রহ দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বেশ ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।
অনেক ভালো লাগলো আপনার সবজি উত্তলনের মুহূর্ত দেখে। অবশ্য এবার সবজির উৎপাদন করতে সক্ষম হয়নি এখনো। তবে দেখা যাক ঢাকা থেকে ফিরে অবশ্যই আবারো সবজি উৎপাদনের কাজে হাত লাগাবো। তবে কবে বাসায় যেতে পারছিস বলতে পারছি না। আমার সেই সুন্দর স্থান ও সবজি গুলো দেখতে পেরে ভালো লাগলো
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই পুঁইফুল গুলো কিন্তু রান্না করে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনাদের পুকুর পাড়ে বেশ কয়েক রকমের সবজি চাষ করেন আপনারা। মাঝেমধ্যে এগুলো শেয়ার করেন। দেখতে খুবই ভালো লাগে। নিজেদের লাগানো গাছের সবজি খাওয়ার মজাটাই আলাদা। ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন আপনি। আমার অনেক প্রিয়।