জেনারেল রাইটিং: নৈতিক শিক্ষা ও নৈতিকতা
জেনারেল রাইটিং পোস্ট
একটি মানুষের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশের মূলে রয়েছে নৈতিক শিক্ষা। যেই পরিবারে নৈতিক শিক্ষা রয়েছে সেই পরিবারের সন্তানরা কখনো খারাপ পথে ধাবিত হবে না। আর যদি খারাপ কাজে বা খারাপ কর্মে লিপ্ত হয় তার পূর্বে অবশ্যই ভাববে এটা আমার দ্বারা অন্যায় হতে চলেছে নাকি ভালো কিছু হতে চলেছে। আবার যদি খারাপ কিছু করেই থাকে পরবর্তীতে অনুতপ্ত হবে। আর যেন তার দ্বারা ভুল না হয়। তাই আমি মনে করি পারিবারিক দৃষ্টিকোণ থেকে নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব বৃদ্ধি করা। কারণ আজ সমাজের প্রায় পরিবারে নৈতিক শিক্ষার অবক্ষয় ঘটেছে। নৈতিক শিক্ষা নেই বললেই চলে। যদি নৈতিক শিক্ষা থাকতো তাহলে সমাজে বেড়ে ওঠা কিশোর কিশোরী যুবক-যুবতী মানুষগুলো অন্যায় পথ থেকে বিরত থাকতো। একটা সময় ছিল যখন আমরা লক্ষ্য করেছি ছোটরা বড়দের দেখেই সব সময় সম্মান দিয়ে চলত, পাশাপাশি বড়রাও ছোটদের স্নেহের দৃষ্টিতে দেখতো। এখন কিন্তু সেই নৈতিকতার অবক্ষয় ঘটেছে। এমন কিছু গোপন বিষয়ে রয়েছে যেগুলো প্রকাশ্যে হয়ে চলেছে,আবার যেগুলো অন্যায় পাপ,সেগুলো ওপেন হয়ে গেছে। এটা কখনো একটা দেশ-জাতি, সমাজ,ধর্ম বা সভ্যতার জন্য ভালো দিক নয়।
যত দিন যাচ্ছে তত মানুষ যেন সভ্যতার নামে অসভ্য হয়ে চলছে। নিজের বিবেক যেন আজ আর জাগ্রত নেই। চলতি পথে কর্মস্থলে নিজেকে অসভ্যরূপে প্রদর্শন করছে প্রতিনিয়ত শত শত মানুষ। ঠিক এমনি বেশ কিছু বিষয় যখনই নজরে আসে বেশ কষ্ট লাগে আমার। কারণ সুন্দর সুশৃংখল একটি সমাজ একটি জাতি গঠন করতে হলে অবশ্যই তার মূলে রয়েছেন নৈতিকতা। যেখানে নৈতিক শিক্ষা রয়েছে সেখানে রয়েছে সাফল্য সেখানে রয়েছে সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা। রয়েছে মানুষের মূল্যায়ন। আরো রয়েছে সঠিক শিক্ষার ফলাফল।
পথ চললে দেখা যায় এখন ছোটরা বড়দের সম্মান করে না। মাঝেমধ্যে লক্ষ্য করা যায় অনেকেই জোরে সাউন্ড করে বেশ নোংরা জাতীয় গান শুনে থাকে কিন্তু সমাজে মানুষ সবাই সেই সমস্ত গানগুলো শুনে চুপ থাকে, এভাবে খারাপ ভাষায় কথা বলে থাকে বড়দের সামনে। বড়দের দেখে যে নিজেকে সংযত রাখতে হবে সে জিনিসটাই ভুলে গেছে আজকের সমাজের মানুষ। সমাজে নিজের লজ্জা ভয় ভীতি বলে যে বিষয় ছিল সেগুলাই যেন হারিয়ে যাচ্ছে। এমন কিছু খারাপ কাজ রয়েছে যেগুলো ভুল করে করে ফেললে মানুষের সামনে উপস্থিত হওয়া যায় না কিন্তু প্রকাশ্যে দিবালোকে সে সমস্ত খারাপ কাজ করেও তারা মুখ দেখায় সহজেই,আবার সে মুখে বড় বড় কথা বলে। যদি নৈতিক শিক্ষা থাকতো কখনো খারাপ কর্মকান্ড করে মানুষ মানুষের সামনে উপস্থিত হতে পারতো না অথবা এ সমস্ত খারাপের জন্য অনুতপ্ত হতো।
দিনদিন যেন মনে হয় সমাজ আজ নৈতিক শিক্ষা থেকে বিরত থাকা মানুষের কাছে লজ্জিত। যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুশিক্ষা পাওয়ার আশা সেখানে দেখা যায় শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রী একসাথে নাচ-গান করছে আর এমন নাচ গান যেগুলো অশ্লীলতার প্রকাশ ঘটায়। ঠিক এভাবে প্রত্যেকটা স্থানের যেন নৈতিকতার অভাব লক্ষণীয়। তাই আমাদের সুন্দর সমাজ গড়তে হলে সুন্দর পরিবেশ গড়তে হলে অবশ্যই পারিবারিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রত্যেক সন্তানদের নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে, যেন আগামী প্রজন্ম সুশিক্ষা গ্রহণ করতে পারে এবং তাদের মধ্যে বিবেক তৈরি হয়। যে বিবেকের দ্বারা তারা সঠিক পথে পরিচালিত হতে পারে। কোন ভুল পথে ভুল কর্মে লিপ্ত হওয়ার পূর্বে সাতবার ভাবতে পারে, হ্যাঁ এটা আমার খারাপ কাজ হতে যাচ্ছে যা সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। দিনে দিন আজ যেন সমাজটাই নৈতিক শিক্ষা হারিয়ে ফেলছে মানুষের কর্মকান্ডের জন্য। আমাদের মধ্যে সেই ধর্মীয় শিক্ষা আনতে হবে যে ধর্মীয় শিক্ষা নৈতিক শিক্ষা দিয়ে থাকে। মনের মধ্যে সেই শিক্ষা লালন করতে হবে যে ধর্ম সুপথে চালায়। কারণ মানুষের ধর্ম হতে হবে সকল শ্রেণীর মানুষের প্রাণীর উপযোগী। যেখানে কেউ ঘৃণার দৃষ্টিতে বা নিন্দার দৃষ্টিতে দেখবেনা।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ
বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
নৈতিক শিক্ষা প্রত্যেকটি মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আর এই নৈতিক শিক্ষা লাভ করা যায় কেবলমাত্র পরিবার এবং সমাজের কাছ থেকে।আমাদের পরিবার এবং সমাজ আমাদের যে নৈতিক শিক্ষাগুলো দেবে আমরা সেভাবেই বেড়ে উঠবো।আয় আমাদের সবার উচিত পরিবার এবং সমাজ থেকে যথার্থ নৈতিক শিক্ষা গ্রহণ করে নৈতিকতা সম্পন্ন একজন মানুষ হওয়া।আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।একদম বাস্তব কিছু কথা তুলে ধরেছেন।এত সুন্দর একটি টপিক নিয়ে আমাদের মাঝে লেখালেখি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
প্রত্যেকটা পরিবারের গার্জেন দের নৈতিক শিক্ষার ভূমিকা পালন করা উচিত।
আপনার লেখাটি সত্যিই আমাদের সমাজের বর্তমান অবস্থা এবং নৈতিকতার অবক্ষয় নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে বাধ্য করে। নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব এবং এর অভাব যে কীভাবে আমাদের সমাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, তা আপনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। পারিবারিক ও ধর্মীয় শিক্ষা যদি সঠিকভাবে শিশুদের মধ্যে গড়ে তোলা হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সঠিক পথে চলতে সক্ষম হবে। আপনার এই মূল্যবান ভাবনাগুলো আমাদের সবার জন্যই শিক্ষণীয়। ধন্যবাদ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করার জন্য।
[@redwanhossain]
একদম ঠিক বলেছেন আপনি