রেনডম ফটোগ্রাফি মূলক পোস্ট
রেনডম ফটোগ্রাফি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। বিভিন্ন প্রকার রেনডম ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মনে করি, আমার এই ফটোগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করে আজকের রেনডম ফটোগ্রাফি মূলক পোস্ট।
প্রথমে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন প্লেটে উঠানো রয়েছে পাকা পাঠালে সার। আমাদের কাঁঠালগুলো খেতে খুবই সুস্বাদু। তাই মাঝেমধ্যে যখন পাখা কাঁঠালগুলো খাওয়া হয় তখনই চেষ্টা করে থাকি চিত্র ধারণ করে রাখা। কারণ এভাবে প্লেটে প্লেটে উঠিয়ে পরিবারের মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়। ঠিক তারই সুন্দর এই চিত্র। যদি মোবাইলে ফটো ধারনা করি তাহলে কেমন হয়। তাই পাকা কাঁঠাল প্লেটে উঠানোর মুহূর্তে এভাবে ফটো ধারণ করেছিলাম।
এ মুহূর্তে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আকন্দ ফুল। তবে আকন্দ ফুলের এ ফটোটা ধারণ করা হয়েছিল অন্য কারনে। আপনারা ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারছেন ফুলের বুকে রয়েছে অনেক পিঁপড়া বা ডাইউ। এগুলো কেন জানি ফুলের বুকে আসে এবং তাদের খাবার খুঁজে বেড়ায়। ঠিক এমনই মুহূর্তে ফটোটা ধারণ করেছিলাম সৌন্দর্য খুঁজে পাওয়ার জন্য। মোটামুটি বেশ ভালো লাগছিল ফটো ধারণ করার মুহূর্তে ফুলের বুকে এই সমস্ত পোকামাকড় দেখে।
এই মুহূর্তে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এটা আমাদের একমাত্র বড় গরু। এই গরুটা বেশ দ্রুত বড় হয়েছে। বয়স মাত্র এক বছর পার হয়েছে। তবে তার গঠন এবং দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়াটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়। তবে একটা সমস্যা রয়েছে গরুটা খুবই বেয়াদব ঝামেলা করে মারতে যায়। তাই খুব সাবধানতার সাথে থাকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে। বাইরের মানুষজন বাড়িতে আসলেই তাদেরকে সাবধান করে দেওয়া হয় যেন গরুটার আশেপাশে যেন না যায়। কারণ যে কোন মুহূর্তে এক্সিডেন্ট ঘটাতে পারে। ইচ্ছা ছিল গরুটাকে বেশ অনেকদিন পোষার। কিন্তু সে মারতে চায় এই কারণেই দ্রুততাকে বিক্রয় করে দেওয়া হবে। হয়তো পুষতে পারলে অনেক দাম হত।
এগুলো ঠোঁট ক্লিপ। কসমেটিকসের দোকানে এ জাতীয় ঠোঁট ক্লিপগুলো বিভিন্ন ডিজাইনের দেখতে পাওয়া যায়। বেশ ভালো লাগে বিভিন্ন কালারের ও ডিজাইনের হাওয়াতে। প্রয়োজন হলে মাঝেমধ্যে এ জাতীয় ক্লিপগুলো কিনে নিয়ে আসা হয়। আর এইগুলো ব্যবহার করা অনেক সুবিধা। প্রায় কসমেটিক্সের দোকানে লক্ষ্য করা যায় এ জাতীয় ঠোঁট কিলিপগুলো সারিসারি সাজানো থাকে। দেখতে বেশ ভালো লাগে বাহারি ডিজাইন এর এই ক্লিপগুলো।
এটা বামুন্দি বাজারের সুন্দর একটি চিত্র। আগে বামুনদের বাজারে রাস্তাগুলো খুবই চিকন ছিল। এখন রাস্তাগুলো অনেক বড় মোটা করা হয়েছে যার জন্য আগের সেই রূপ পাল্টে গেছে বামুন্দি বাজারের। বামুন্দি বাস স্ট্যান্ড যেন আর মনে হয় না সে জায়গা এটা। যে ২-৫ বছর বামুন্দি বাজারে আসেনি, সে হঠাৎ যদি এসে উপস্থিত হয় সে চিনতে পারবে না। তার মানে বুঝতে পারছেন বর্তমান বাংলাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থাটা খুব দ্রুত উন্নত করা হচ্ছে। কুষ্টিয়া থেকে মেহেরপুর পর্যন্ত সড়ক পথটা ঠিক এভাবেই সুন্দর ভাবে সংস্কার করা চলছে দীর্ঘদিন।
প্লেটে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন খুব সুন্দর ভাবে ফালি ফালি করে আনারস কাটা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের পরিবারের সবার সর্দি জ্বর লেগে রয়েছে তাই সর্দি জ্বরের হাত থেকে রেহাই পেতে মাঝেমধ্যে এভাবে আনারস কিনে আনা হয় এবং সবাইকে খাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। কারণ সর্দির সময় আনারস খাওয়া একান্ত প্রয়োজন এতে অনেক উপকার হয়।
গতকাল বাড়ি ফিরতে হঠাৎ পড়ন্ত বিকেলে একটি মেহগনি বাগানের সৌন্দর্য লক্ষ্য করেছিলাম। আর সেই সৌন্দর্য উপভোগ করার মুহূর্তে হঠাৎ মাথায় আসলো আপনাদের জন্য ফটো ধারণ করে এবং শেয়ার করব আপনাদের দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আর তাই তখনই এই ফটোটা ধারণ করেছিলাম। এ বাগানের আশেপাশে লক্ষ্য করে দেখলাম বেশ বন জঙ্গল বেঁধে গেছে, যেহেতু এখন বর্ষার সময়। আর বর্ষার সময় চায় পাশে কোন জঙ্গল হয় অনেক। তার মধ্য দিয়ে এই বাগানের সৌন্দর্য যেন খুঁজে পেয়েছিলাম। মেহগনি গাছগুলো বেশ সারিবদ্ধ এবং একই সাইজের। আমাদের সকলের উদ্যোগ নেয়া উচিত, এভাবে নিজেদের জমিতে গাছ লাগিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য তৈরি করার।
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
---|---|
বিষয় | রেনডম ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
অনেক সুন্দর একটি রেনডম ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খুবই ভালো লেগেছে আপনার সুন্দর এই রেনডম ফটোগ্রাফি দেখে। যেখানে গাছ, ফুল, গৃহ পালিত পশু, খাবার সহ আরো অনেক কিছু ফটো দেখতে পারলাম একই পোস্টের মাঝে। সব মিলে দারুন বর্ণনা করেছেন আপনি। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার পোস্টটা।
অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি।
আপনি বেশ কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এ ফটোগ্রাফির মধ্যে আপনি পশু খাবার, ফুল এবং আরো কয়েকটি জিনিসের ফটোগ্রাফি তুলেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি করেছেন আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লেগেছে। আসলে ভিন্ন ভিন্ন ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। ফটোগ্রাফির পাশাপাশি সুন্দর বর্ণনা করেছেন ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে ভাবি। কিন্তু এত সুন্দর সুন্দর খাবার পরিবেশন করেছেন দাওয়াত করেননি কিন্তু। বেশ রাগ করলাম আমি। এক মিনিটের পথ দাওয়াত করলে ছুটে এসে খেয়ে যেতাম কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফলটি ধন্যবাদ অনেক সুন্দর ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো।
ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
আজকে আপনি ভিন্ন রকম কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো।আকন্দ ফুল আবার খুব প্রিয়। এই ফুল গুলো গ্রামাঞ্চলে দেখা যায়। তবে গরুর ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। এক বছরের মধ্যে গরুটি অনেক বড় হয়েছে। এবং আপনার অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ। সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গরুটা আমাদের বাড়িতে
এই শব্দটি আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না আপু। আপনি হয়তো পাকা কাঁঠাল লিখতে চেয়েছিলেন। যাইহোক নিজের ভুল সংশোধন করে নিবেন। লোভনীয় লাগছে কাঁঠালগুলো। আর অন্যান্য ফটোগ্রাফি গুলো দেখেও ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
ওটা ভুল শব্দ ছিল। কাঁঠালের সার