কাশফুলের ভিডিওগ্রাফি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি ভিডিও পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের দেখাতে চলেছি শরতের কাশফুলের সুন্দর একটি ভিডিও। যেখানে খুঁজে পাবেন, শরতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কোমল অনুভূতি। চলুন তাহলে ভিডিওটা প্লে করি।
ভিডিওগ্রাফি
ছয়টি ঋতু দিয়ে গড়া আমাদের বাংলাদেশ। ছয়টি ঋতুর বারোটা মাস প্রতিনিয়ত আমাদের মাঝে আসে নতুন নতুন সৌন্দর্য নিয়ে। আমরা খেয়াল করলে দেখতে পাই বৈশাখ থেকে শুরু করে আবার চৈত্র মাস পর্যন্ত বারটি মাসের মধ্যে প্রত্যেকটা মাস প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে থাকে। আমরা যারা প্রাকৃতিক পরিবেশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আগ্রহী এবং পছন্দ করি তারাই মূলত এই সৌন্দর্য উপভোগ করে থাকি এবং প্রকৃতির মাঝে নিজেকে কিছুটা সময়ের জন্য বিলিয়ে রাখি। ঠিক তেমনি এক সন্ধ্যায় পুকুর পাড়ের সবজি বাগান থেকে সবজি উত্তোলন করে বাড়ি ফেরার মুহূর্তে অনুভব করলাম চোখের সামনে বাতাসে দোল খাচ্ছে বেশ কিছু কাশফুল। কাশফুলের এই নরম ছোঁয়া যেন মনকে মুগ্ধ করলো। আমি তোর সাথে সাথে হাতের থাকা সবজির ব্যাগ মাটিতে রেখেই শুরু করলাম ফটো ধারণ করা। এদিকে পাশে ছিল আপনাদের ভাই। সেও আমার ফটো ধারণ করতে দেখে এদিকে সেদিকে বিভিন্ন কিছুর মাঝে ফটো ধারণ করতে থাকলো।
যে মুহূর্তে আমি এই ভিডিওটা ধারণ করছিলাম ওই মুহূর্তে পাশের বাঁশ বাগানে বিভিন্ন প্রকার পাখির গুরজন শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে চড়াই করে পাখিগুলো যেন বাঁশ বাগানে ফিরছে। মনে হচ্ছে তাদের থাকার জায়গা নিয়ে কিচিরমিচির শুরু করেছে। এদিকে সন্ধা লেগে আসছে তাই জিজিপোকা ডাকা শুরু হয়েছে। সারাদিনের মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ভেদ করে যেন ঝিরিঝিরি বাতাস বয়ে চলছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। এদিকে পুকুরের মাছের খাবার দেওয়া শেষ করেছে মাছের খাবার খাওয়ার ভালোলাগার মুহূর্তটাও শেষ হয়ে গেছে। হয়তো কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা নেমে আসবে আর বর্ষার কারণে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ তাই অন্ধকার নেমে আসবে দ্রুত। ঠিক এমনই একটা মুহূর্তের প্রিয় মানুষ পাশে থাকায় যেন ভিডিও ধারণ করতে খুবই ভালো লাগছিল এই কাশফুলের। এ মুহূর্তে আকাশে সাদা সাদা মেঘ ছিল না তবে ঘন বর্ষার যে কাল মেঘ তার লক্ষ্য করেছিলাম। আর এভাবেই সেই মুহূর্তটা আমি পুকুরপাড় থেকে কাশফুলগুলোর ভিডিও ধারণ করতে থাকলাম। এখানে অনেক কাশফুল হয়েছিল কিন্তু পুকুর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য অনেক গাছ কেটে ফেলা হয় যার জন্য লক্ষ্য করে দেখলাম তিনটা স্থানে কাশফুল রয়েছে তবে একটি স্থানে অতিরিক্ত ছিল কিন্তু সেখানে যাওয়াটা বেস্ট ট্রাপ আমার জন্য। তবুও পাশাপাশি এতগুলো কাশফুল দেখে যেন মন ছুঁয়ে যাচ্ছিল। মাঝে মাঝে শীতল হাওয়া এত সুন্দর ভাবে ফুলগুলোকে নাড়া দিচ্ছিল যেন ফুলের আনন্দে আমিও আনন্দিত হয়ে উঠেছিলাম তখন।
এদিকে লক্ষ্য করে দেখলাম কিছু কাশফুল ভেঙ্গে রয়েছে। কোন কারনে কাশফুল গুলো ভেঙ্গে গেছে। কারণ সারাদিনে অনেক মানুষের যাওয়া আসা থাকে এই পথ দিয়ে। হয়তো গরু ছাগল উঠেছিল। যাই হোক বেশ খারাপ লাগছিল ভাঙ্গা কাশফুল গুলো দেখে। তবুও সমস্ত কাশফুলের মধ্যে এক অন্যরকম ভালোলাগা ছিল। তবে মনের মধ্যে একটা চিন্তা ছিল হয়তো আগামী দিন পুকুরপাড়ে সবজি উত্তোলন করতে উঠলে এই সমস্ত কাশফুলগুলোর সৌন্দর্য আর পাব না। কারণ শরৎকাল প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছে। কাশফুল গুলো দিন দিন নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে চলে যাচ্ছে। এভাবে একটু খারাপ লাগছিল। তবুও বেশ কাশফুলের ফটো ধারণ করতে পেরেছি এবং আপনাদের মাঝে যে ভিডিও প্রকাশ করতে পারছি এটাই বেশ ভালোলাগা। আর এভাবে ভিডিও ধারণার ফটো ধারণ করতে করতে একটি মুহূর্তে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতে থাকলো আমিও প্রিয় মানুষটার সাথে গল্প করতে করতে বাঁশ বাগান পেরিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
ভিডিওটি দেখার জন্য ধন্যবাদ
ফটোগ্রাফি ও ভিডিও | কাশফুল |
---|---|
স্থান | গাংনী |
What3words location | Meherpur |
Mobile | Infinix Hot 11s |
YouTube channel | @Allblog10 |
Credit | @jannatul |
ব্লগ | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
কাশফুলের অনেক সুন্দর ভিডিওগ্রাফি ধারণ করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। বর্তমান সময়ে এই জিনিস আর দেখতে পাওয়া যায় না বললেই চলে। শরতের দিনগুলোতে এই জিনিসটা দেখে যেন মনটা ভরে যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর ভিডিওগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপনি
কাশফুলের দৃশ্য গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। আমিও যমুনা নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম সেখানে বালুচরে কাশফুলের দৃশ্য দেখতে পেয়েছি। আজকে আপনার ভিডিও দেখতে পেয়ে আরো ভালো লাগলো,খুবই সুন্দরভাবে ভিডিও করেছেন। কাশফুলের সৌন্দর্য যেন এই ভিডিওর মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।
বেশি ভালো। যে কোন জায়গা থেকে শরতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারলেই মনে আনন্দ।
এ বছরে কাশফুল একেবারেই দেখতে যাওয়া হয়নি তবে আপনার উপস্থাপন করা কাশফুলের ভিডিওটা দেখে খুব ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে খুব শীঘ্রই কাশফুল দেখতে যাওয়া লাগবে না হলে হয়তো এই বছর অনেক বড় কিছু মিস করতে পারি। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এইজন্য তো ভিডিওটা শেয়ার করলাম
আসলে কাশফুল গুলো যখন হাওয়ায় দোলা দিচ্ছে তখন আমার খুব ভালো লাগছিল। দারুন একটা ভিডিওগ্রাফি পোস্ট আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে এই বার কিন্তু কোন কাশফুলের ক্ষেতে আর যাওয়া হলো না। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি জানি ভাইয়া অনেকে ব্যস্ততার কারণে ভালোলাগার অনেক কিছু ত্যাগ করে। সময় দিতে পারে না। আশা করি ভিডিওটা আপনাদের ভালো লেগেছে।
ভিডিও ক্লিপ এর মাধ্যমে কাশফুলের সৌন্দর্য আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আপনার ধারণ করা ভিডিও ক্লিপ টি দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনি আপনার মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে খুবই সুন্দর করে কাশফুলের ভিডিও টি করেছেন। আর বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের মধ্যে কাশবনের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার একটি প্রতিযোগিতা চলছে।
ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম
আপু এরকম সুন্দর পরিবেশে প্রিয় মানুষ পাশে থাকলে ভিডিও ধারণ করতে ভালো লাগবে এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। অনেক সুন্দর দৃশ্য ভিডিওগ্রাফি করেছেন দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। শরতের অপরূপ দৃশ্য সব সময় আমাকে মুগ্ধ করে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট বিস্তারিত ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
ভিডিওটি দেখার জন্য ধন্যবাদ।
বাংলাদেশের ছয় ঋতু ভিন্ন ভিন্ন রূপ নিয়ে আসে। আজকে আপনি খুব চমৎকার কাশফুলের ভিডিওগ্রাফি করেছেন। কিছু কিছু ভিডিওগ্রাফি আছে দেখলে মন ভরে যায়। অসাধারণ ভিডিওগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আর ভিডিওগ্রাফি করতে হলে ধৈর্য ধরে করতে হয়।
তবে এই ঋতুর কাশফুল আমার খুব প্রিয়
কাশফুলের ভিডিওগ্রাফিটা দেখেই অনেক ভালো লাগলো আপু ।এই জায়গাটা আমার অনেক চেনা। এই জায়গায় আমি ছোটকালে অনেক গিয়েছি ।ধন্যবাদ আপু কাশফুলের ভিডিওগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।