কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। বিভিন্ন প্রকার ফলের রেনডম ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মনে করি, আমার এই ফলের ফটোগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে এখনই এক নজরে দেখে ফেলি সমস্ত ফলগুলো।
photo editing by college maker gridArt
প্রথমে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমাদের গাছের ডাবের ফটোগ্রাফি। আমাদের মোট সাতটা ডাবের গাছ রয়েছে। প্রত্যেকটা গাছে কমবেশি করে ডাব ধরতে থাকে সারা বছর। তবে আমাদের পরিবারের মানুষ সাস আলা ডাবগুলো বেশি পছন্দ করে থাকে। অর্থাৎ নারিকেল হওয়ার পূর্বে দোমালা বা বয়স্ক ডাবগুলো যার পানি একটু লবণাক্ত ও সাদের হয়ে থাকে। এই সমস্ত ডাবগুলো আমাদের পরিবারের মানুষ খুবই পছন্দ করে থাকে। তাই মাঝেমধ্যে গাছি ভাইরা ডাব কিনতে আসলে, তাদের দিয়ে এই জাতীয় ডাবগুলো পেড়ে রাখা হয় খাওয়ার জন্য। আর ঠিক তেমনি মুহূর্তে এই ফটোগুলো ধারণ করেছিলাম।
এ পর্যায়ে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমাদের কলা গাছের কলার চিত্র। এগুলো পাকা কলা। আমাদের পুকুর পাড়ে বেশি এমন অনেক কলার গাছ রয়েছে। তাই মাঝেমধ্যে শাকসবজি উঠাতে গেলে ফটো ধারণ করি। আবার অনেক সময় দেখা যায় খাওয়ার মত পাকা কলা পুষ্ট হয়ে গেছে। সেগুলো মাঝেমধ্যে গাছ থেকে পেড়ে আনি। তবে আমাদের পুকুর পাড়ে দেশি জাতের পাকা কলা বেশি রয়েছে। এগুলো খেতে যেমন সুস্বাদু তোমার শরীরের জন্য বেশি উপকার।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন আমাদের গাছের কাঁঠাল। কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। তাই কাঁঠাল আমরা কমবেশি সবাই পছন্দ করে থাকি। আল্লাহ প্রত্যেক বছর আমাদের একটি গাছে বেশ অনেকগুলো করে কাঁঠাল দিয়ে থাকেন। আর এই কাঁঠালগুলোতেই আমরা বেশ সন্তুষ্ট থাকি। এবার আলহামদুলিল্লাহ অনেকগুলো ধরেছে আমাদের কাছে। রান্না খাওয়া থেকে শুরু করে পাকা খাওয়ার সকল পর্যায়ের খাওয়া হয়ে গেছে এখান থেকে।
এটা দেখতে পাচ্ছেন আমাদের গাছের একটি আমের চিত্র। এই আমগাছটা রাস্তার পাশে। গাছটা খুবই ছোট। তবে গাছটাতে অনেক অনেক আম ধরে থাকে। আমগুলো বেশ দেরিতে পাকলেও রাস্তার পাশে থাকায় তার আগেই ছড়ানো হয়ে যায়। কারণ অনেক সময় আমগুলো হারিয়ে যায় এই গাছ থেকে। এবারও বেশ কিছু আম নষ্ট হয়ে গেছে ঝড়ে, আর ছেলেপেলে রা পেড়ে নিয়ে গেছে। এমনকি একদিন আমার চোখের সামনে আমাদের একটি ছাগলের ছুড়ে ফেলেছিল। কারণ আমগুলো বেশ নিচে ধরে।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন আমাদের গাছের লেবু। এক বৃষ্টি ভেজা মুহূর্তে আমি ফটোগুলো ধারণ করেছিলাম অনেক দিন আগে। আমরা যখন সবাই বৃষ্টির আশায় অপেক্ষা করছিলাম। প্রথম বৃষ্টি এসেছিল সেই মুহূর্তে ধারণ করা। আবারও এখন বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছি আমরা। শুনছি দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু আমাদের এখানে তেমন বৃষ্টি দেখা নাই। যাইহোক ওই মুহূর্তে লেবুর ফটো ধারণ করতে ভালো লাগছিল কিন্তু ফটোটা কেন জানি খারাপ হয়েছে।
এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ডালিমের ফটোগ্রাফি। ডালিম আমার খুবই প্রিয় একটি ফল। আমাদের বাড়িতে বেশ কিছু ডালিমের কাছে রয়েছে। তবে শুধুমাত্র একটি গাছেই ডালিম ধরেছে এবার। যাইহোক বৃষ্টির মুহূর্তে তো বৃষ্টি ভেজা মুহূর্তের ফটো ধারণ করতে অনেক ভালো লাগে। ঠিক এমনই মুহূর্তে হাতে মোবাইল থাকায় ফটো ধারণ করতে পারছিলাম।
এখন দেখতে পাচ্ছেন আমাদের গাছের লিচুর চিত্র। আমাদের জানালার পাশে একটি বড় লিচু গাছ আছে। তবে গাছটা রান্নাঘরের পাড়ে হাওয়ায় চুলার ধোয়াতে বেশ নষ্ট হয়ে যায় ডালপালা। যাই হোক অনেক ইংলিশে এবার হয়েছিল আমাদের এই গাছটাতে। আর আমিও বেশ মজা করে লিচু পেড়ে খেয়েছি এবার।
ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
বিষয় | রেনডম ফল ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনার ফলের ফটোগ্রাফি এবং তার বর্ণনা অত্যন্ত মনোরম এবং জীবন্ত। গাছের ডাব, কলা, কাঁঠাল, আম, লেবু, ডালিম, এবং লিচুর চিত্র এবং তাদের সাথে জড়িত গল্পগুলো পড়ে মনে হচ্ছে যেন আমি নিজেও সেই সবুজ পরিবেশে উপস্থিত আছি। আপনার এই সৃজনশীল প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আশা করব এভাবে মন্তব্য করে পাশে থাকবেন।
আপনাদের গাছের ফল ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
বেশ সুন্দর কিছু ফোটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আপু । প্রতিটাছবি ই অসাধারণ হয়েছে। আপনাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ আপু এই সুন্দর ছবি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
অনেক সুন্দর সুন্দর ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আপু আপনি বেশ ভালো লেগেছে। আপনাদের গাছে তো বিভিন্ন ধরনের ফল দেখা যাচ্ছে। নিজেদের গাছের ফল খাওয়ার অনুভূত অন্য রকমের। আপনি ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো নিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন অনেক ভালো লাগলো দেখে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু
অনেক ভালো লাগলো আপনার ফলের এই সুন্দর ফটোগ্রাফি মূলক পোস্ট দেখে। বেশ দারুন হবে আপনি সাতটা ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি পেয়ে দারুন ছিল। আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আরো ভালো লেগেছে আমাদের বাড়ির ফল দেখে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
বাহ আপনি তো দেখতেছি আপনাদের গাছের বিভিন্ন মজার মজার ফলের ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে আপনাদের বাড়িতে মনে হয় অনেক ধরনের ফল গাছ আছে। আমাদের বাড়িতে অনেক ধরনের ফল গাছ আছে। তবে আপনার সবগুলো ফলের ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। সত্যি বলতে সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর করে বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ।তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাইয়া সবগুলো আমাদের গাছের ফল
বাহ! বেশ চমৎকারভাবে নিজেদের গাছের ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। তবে আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর ছিল। কাঁঠালের ফটোগ্রাফিটি অসাধারণ ছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর কথা বলার জন্য, বেশ ভালো লেগেছে