আপনারা পূর্ব অবগত রয়েছেন আমাদের এলাকা শুধু পুকুর আর পুকুর। ঠিক আমাদের বাড়িতেও দুইটা পুকুর রয়েছে। শীতের পরে এখানে পুকুর গুলো মাছ দেওয়ার জন্য পুনরায় রিপেয়ার করা হয়। আর এই রিপেয়ার করার মুহূর্ত বিভিন্ন ভাবে হয়ে থাকে। পুকুরের পানি নিষ্কাশন করা হয়। পুকুরের মাটি উত্তোলন করা হয়। এমনকি চারি পাশে নেট জাল দিয়ে ঘেরাও করা হয়। আমাদের বাড়িতে দুইটা পুকুর রয়েছে। বাড়ির পিছনে রাস্তার পাশে একটি। আবার বাড়ির সামনে। বাড়ির সামনের পুকুরটা দুইদিন ধরে ছ্যাঁকা হয়েছিল কারেন্টের মোটর দিয়ে। এরপর মাছ ধরার মুহূর্ত আসে। এর আগে আমি এই বিষয়ে একটা পোস্ট করেছিলাম ফটোগ্রাফি। আজকে আবারো সেই বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম ভিডিও ধারণ করে। মাছ ধরা যেমন ছেলেমানুষদের আনন্দের বিষয়। তেমনি মাছ ধরতে দেখা আমাদের জন্য বেশ আনন্দের বিষয়। আর ছোট ছেলে মেয়েরা তো খুবই আনন্দ লাভ করে মাছ ধরতে দেখে আবার পুকুরে নেমে। তবে এই ভিডিওতে আর দর্শকদের রাখি নাই। শুধু ভাইয়ার মাছ ধরার মুহূর্ত একটি ভিডিও ধারণ করেছি।
Photography device: Infinix Hot 11s-50mp
ভিডিওতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। আপনাদের প্রিয় সুমন ভাইয়া হাড়ি হাতে নেমে পড়ল পুকুরের মধ্যে। বেশ কয়েকটা চ্যাং মাছ দেখতে পেরেছেন উনি। এর আগেও দুইবার মাছ ধরা হয়ে গেছে। এরপর পুকুরে পানি জমেছে, তাই সেগুলো আবার উত্তোলন করে দেওয়া হচ্ছিল। এই মুহূর্তে কয়েকটা চ্যাং মাছ দেখতে পাওয়া গেছে। আর এই দেখে উনি মাছ ধরতে নেমে পড়লেন। উনি অবশ্য চ্যাং মাছ ও শিং মাছ ধরতে ভালোবাসেন। এই ভিডিওটা ধারণ করার আগের দিন প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টা চ্যাং মাছ ধরেছেন উনি এখান থেকে। আমি মাছ কোটায় ব্যস্ত ছিলাম এজন্য ভিডিও করতে পারিনি সেদিন। তবে যাই হোক এই মুহূর্তে উনি যখন ভিডিও করতে দেখলেন বেশ হাসছিলেন। আমি মনে করলাম আমার এই কমিউনিটিতে প্রথম ভিডিওটা ভাইয়ার মাছ ধরা দিয়ে শুরু করবো। তবে বেশ কয়েকটা দিন পার হয়ে গেল আপলোড করা, কিন্তু আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারিনি। মাঝখানে পরীক্ষার জন্য আর বাড়িতে শাশুড়ি আম্মা অসুস্থ, আবার আমার মোবাইলটা ছেলে পানির মধ্যে ফেলে দিয়ে ছিল। বিভিন্ন কারণে এই বিষয়ে আর লেখা হয়ে ওঠেনি। তবে যাই হোক ভাইয়া মাছ ধরছিল তখন আমি স্ক্রিপ্ট করে ভিডিও ধারণ করেছিলাম কয়েক মিনিটের। ওনাদের মাছ ধরতে দেখা এবং মাছ ধরার বিভিন্ন গল্প শুনতে ভালো লাগে। মাঝেমধ্যে ভাইয়া অতীতের বিভিন্ন মাছ ধরার গল্প বলছিল। সেগুলো অবশ্য এডিট করে সাউন্ড যুক্ত করেছি।
সুমন ভাইয়ের মাছ ধরার দৃশ্যের ভিডিওটি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। ৩০ থেকে ৩৫ টা টেংরা ধরেছে জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। আসলে এরকম পুকুরের মধ্যে মাছ ধরার অনুভূতি অনেক রয়েছে। তবে মাঝেমধ্যে ভয়ও করে কারণ পা অনেকখানি ডেবে যায়। এই কাঁদার ভিতরে। যাইহোক আপনি ভিডিওটা অনেক সুন্দর করেছেন, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
টেংরা না ভাই চ্যাং মাছ
আপনাদের এলাকায় শুধু পুকুর আর পুকুর। আর পুকুরের মাছ চাষ করা হয়। তাই আপনি এই পুকুরের মাছ ধরার দৃশ্যগুলো প্রায় দেখে থাকেন এবং কাজে সাহায্য করে থাকেন। যাই হোক আজকে সুমন ভাইয়ের মাছ ধরা দৃশ্যটি দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। এই পুকুর থেকে এসে অনেকগুলো মাছ ধরেছে।ভিডিওগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগছে।
উনি মাছ ধরায় খুবই পারদর্শী
আপনার এত সুন্দর একটি ভিডিওগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লেগেছে আপু। আমরা যখন ছোটকালে গ্রামে ছিলাম এমন দৃশ্য দেখতে পেতাম। তবে এখন যেহেতু শহরে আছি সেই দৃশ্যগুলোকে খুব বেশি মিস করি। গ্রামে মাছ চাষ পদ্ধতি বেশ ভালো লাগে। আপনাদের ওখানে মাছ চাষের এত সুন্দর বিষয় গুলো আপনি আমাদের সাথে বিস্তারিত শেয়ার করলেন। এছাড়া ও মাছ ধরার দৃশ্য আপনি ভিডিও নিলেন। অনেক ভালো লেগেছে দেখে এত সুন্দর একটি মুহূর্ত।
হ্যাঁ আমাদের গ্রামে শুধু পুকুর আর মাছ চাষ