কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। পোস্টের টাইটেল পড়ে বুঝে গেছেন আজকে আমি আপনাদের মাঝে কি বিষয়ে পোস্ট করতে চলেছি। হ্যাঁ আইডিয়া ঠিকই করেছেন আজকে আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে চলেছি আমাদের পুকুরপাড়ের বেশ কিছু শাক সবজির ফটোগ্রাফি। যেখানে প্রশান্তির খোঁজে বিকেল মুহূর্ত পুকুর পাড়ে ঘোরাঘুরি ও শাকসবজি তোলার সময় ফটো ধারণ করেছিলাম।
প্রথমে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমাদের পুকুরপাড়ের ঝিঙে গাছের লতা ও ছোট ঝিঙের ফটোগ্রাফি। এ ফটোগ্রাফি আমি ধারণ করেছিলাম গত বছরে। তখন আমাদের পুকুরে বেশ অনেক ঝিঙে গাছ ছিল এবং ধরেছিল। আসলে মাঝেমধ্যে প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে আমার ভালো লাগে। আর সেই প্রাকৃতিক পরিবেশটা যদি নিজেদের হাতে তৈরি হয়ে থাকে তাহলে তো আরো বেশি ভালো লাগার কথা। ঠিক তেমনি এই পুকুর পাড়ে সবজি বাগান আমাদের নিজের হাতে তৈরি করা ছিল। এক কথায় বলতে পারেন এগুলো আমরা আমাদের মত করে সবজি বাগান গড়ে তুলেছিলাম। আর মাঝেমধ্যে সবজি তুলতে অথবা এমনিতেই ঘোরার জন্য পুকুর পাড়ে উপস্থিত হয়েছি।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমাদের পুকুরপাড়ের চাল কুমড়ার ফুল চাল কুমড়ার দৃশ্য। আসলে চেষ্টা করলে পরিত্যক্ত জায়গা গুলোতে এভাবে অনেক কিছু উৎপাদন করা যায়। যে কথা পূর্বের পোস্টগুলোতে আমাদের ছোট ভাইয়া বারবার বলত আমি দেখেছি। আসলে এগুলো সত্যি কথা এবং এখানে কিন্তু টাটকা শাকসবজি অনেক পাওয়া যায়। যদি নিজে এভাবে সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে সবজি উৎপাদন করা যায়। আর আমি তো চাল কুমড়া খুবই পছন্দ করে থাকি। বিশেষ করে ছোটগুলো ভেজে খেতে খুব ভালো লাগে।
এ পর্যায়ে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন রাজের আব্বু খুব সুন্দর ভাবে ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে আমি যখন ফটো ধারণ করছিলাম। অর্থাৎ মাছের খাবার দেওয়া শেষ করার পর তার আর কাজ ছিল না তাই সে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর সবজি গাছগুলো দেখাশোনা করছে। ঠিক এভাবেই তারা পরিচর্যা ও পরিচালনা করে থাকে সবজি বাগান। আর তার সাথে যদি মাঝেমধ্যে এমন আসার সুযোগ মেলে তখন খুবই ভালো লাগে। মনে হয় যেন সাংসারিক কর্মকাণ্ড থেকে কিছুটা সময়ের জন্য ছুটি পেয়েছি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশে স্বস্তি পাওয়ার আশায় উপস্থিত হয়েছি। এ মুহূর্তে ফটো ধারণ করতে যেমন ভাল লাগে তেমন পুকুরে পানের ঢেউগুলো দেখতে ভালো লাগে। পাশাপাশি শীতল বাতাস গায়ে লাগতে থাকে এটাও খুব আনন্দদায়ক।
এদিকে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন লাউ ঢেঁড়স বেগুন পুঁইশাক সহ আরো অনেক কিছু। এ সমস্ত জিনিসগুলো যদি আমরা নিজে হাতে উৎপাদন করতে পারি তাহলে এটা নিশ্চিত যে সবসময় আমরা আমাদের মত টাটকা শাকসবজি খেতে পারবো এবং রোগবালা থেকে অনেকটাই ভালো থাকতে পারবো। যাইহোক শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে সমস্ত শাকসবজি গুলো আপনারা দেখতে পালেন সবগুলোই আমাদের একটি বাগানের মধ্যে উৎপাদন করা হয়েছিল। ইনশাল্লাহ এবারও রাজের আব্বু এবং তার ছোট ভাইয়া এভাবেই শাকসবজি উৎপাদন করবে। এখন অবশ্য বেশি কিছু নেই কারণ আমাদের পরিবারে একটু বিপদ চলছে, ইনশাল্লাহ বিপদ কাটিয়ে উঠলে আবারও আমাদের সবজি বাগান এভাবে শাকসবজি ও ফুলে ফলে ভরে উঠবে।
ধন্যবাদ সকলকে
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আপনাদের পুকুরপাড়ের সবজি বাগান থেকে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি কিন্তু অনেক ভালো লাগছে দেখতে। ফ্রেশ এই সবজিগুলোর ফটোগ্রাফি দারুণ বর্ণনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম আপু।
আপনার পুকুর পাড়ে অনেক সবজি চাষ করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।আমার আসলে নিজের কাজ নিজে করাই ভালো এটা নিজের শরীরচর্চা এবং আর্থিক হাট বাজারের টাকাও বেঁচে যাই। আমার সবজি বাগান ঘর তোলার জন্য নষ্ট হয়ে গিয়েছে হয়তো আবার চেষ্টা করব তৈরি করার জন্য। ধন্যবাদ এত সুন্দর সবজি বাগানের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ তা তো চোখের সামনে দেখছি
পুকুর পারে তো বিভিন্ন রকমের সবজির আবাদ তাহলে আপনাদের এলাকায় গিয়ে সবজি আনতে হবে হা হা হা। ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর ছিল আপু স্বচ্ছ ভাবে উপস্থাপন করেছেন শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ চলে আসবেন
আপনারা পুকুর পাড়ে বেশ অনেক গুলো সবজি লাগিয়েছেন, এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আসলে বর্তমান সময়ে সবজির যে পরিমাণ দাম, তাতে বাজার থেকে সবজি কিনা খুবই কষ্টকর। আপনারা আপনাদের পুকুর পাড়ে যে পরিমাণ সবজি চাষ করেছেন তাতে আপনাদের পরিবারের সদস্যদের বেশ ভালোই খাওয়া হয়।
অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আমার এই পোষ্টের মন্তব্য করেছেন।
আপু আপনাদের পুকুর পাড়ের সবজি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। নিজের চাষকৃত সবজি বাগানে যখন এমন ফুল দেখা যায়,তখন অনেক আনন্দ লাগে। অনেক কষ্টের ফলে সবজি গুলো এই পর্যায়ে এসেছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগছে। ধন্যবাদ।
ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম
পুকুর পাড়ে বেশ অনেক ধরনের সবজির আবাদ করেছেন। পুকুর পাড়ে অনেক ধরনের সবজির আবাদ করা যায় এবং সেগুলো অনেক ফ্রেস হয়। বেগুন,লাউ, ঢেঁড়স,পুঁইশাক সব ধরনের সবজি আবাদ করেছে দেখছি। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে এবং খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ভাবে সবকিছু উপস্থাপনা করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ টাটকা শাকসবজি খাওয়া যায়
আপনাদের পুকুরপাড়ের সবজি বাগান দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে এমন সবজি বাগান থাকলে বাজার থেকে সবজি কেনা লাগে না। নিজের চাষকৃত সবজি খেতে পারলে আরো বেশি ভালো। ধন্যবাদ।
ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো
পুকুর পাড়ে তো বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনাদের পুকুর পাড়ের সবজি বাগান থেকে বেশ দারুন দারুন কিছু ফটো সংগ্রহ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই সবজিগুলোর ফটোগ্রাফি দারুন বর্ণনার মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপনাকে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া এগুলো গতবছরের।
ও আচ্ছা আমি ভাইয়া না আমি আপু।
ও আচ্ছা, তাতে কোন সমস্যা নাই।😍😍
হুম।