নুনার বিলের বড় বটগাছের ভিডিও
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি ভিডিও পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের দেখাতে চলেছি একটি বড় বটগাছের ভিডিও। যে বটগাছটা আমাদের মেহেরপুরের সহড়াবাড়িয়া গ্রামে এই গাছটা অবস্থিত।
বট বৃক্ষের ভিডিওগ্রাফি
আমাদের এলাকায় একটি বড় বটগাছ রয়েছে। মায়ের বাড়িতে যাওয়া আসার সময় প্রায়ই বটগাছটা লক্ষ্য করে থাকে। আমি যতটা জানি আমাদের এলাকার মধ্যে বড় বটগাছ এটা। আর এই গাছে উপর থেকে অনেক শিকড় নামিয়েছে নিচে। এজন্য গাছটা মানুষের কাছে বেশি জনপ্রিয়। ঈদের সময় অনেক মানুষ এখানে উপস্থিত হয় প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করার জন্য পাশাপাশি এই বটগাছের সাথে অনেক ছবি সেলফি ভিডিও ধারণ করে থাকে। অর্থাৎ বলতে গেলে পারে বিশেষ মুহূর্তে এই গাছটা হয়ে ওঠে মানুষের জনপ্রিয়তা। আর যারা টিকটক আর শর্ট ভিডিও তৈরি কারী লোক রয়েছে তারা তো এখানে প্রায় আসা-যাওয়া করে। কারণ এখানে রয়েছে বড় বড় পুকুর যেখানে বিভিন্ন স্থান থেকে পাখির আগমন ঘটে। আবার রয়েছেন নার্সারি ও ফলের বাগান। বিভিন্ন কারণে এই স্থানটা মানুষের কাছে খুবই ভালো লাগার।
আমরা বেশ অনেকজন উপস্থিত হয়েছিলাম এই স্থানে। যেন শীতল বাতাস বয়ে চলছিল অবিরত। পুকুরের পানির দিকে লক্ষ্য করলে তা অনুভব করা যায়। মাঝেমধ্যে রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন প্রকার গাড়ি চলাচল করছিল এবং তারা আমাদের পাগলামি লক্ষ্য করছিল। আমরা আমাদের গাড়িতে গিয়েছিলাম। তবে অন্যান্য মানুষের সংখ্যা খুবই কম ছিল তখন। অনেকে ঈদের পর বেড়াতে আসে এখানে কিন্তু আমরা ঈদের আগেই মায়ের বাসায় যাওয়ার মুহূর্তে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে উপস্থিত হয়েছিলাম। প্রাকৃতিক পরিবেশ যেমন অনুকূলে ছিল তেমনি মনের মধ্যে ছিল এক আনন্দঘন মুহূর্ত। তাই আমরা অনেকক্ষণ এখানে অবস্থান করলাম সাথে বিস্কুটের প্যাকেট ছিল। তা খাওয়া দাওয়া করছিলাম। সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় যেখানে একটি টিউবয়েল রয়েছে। অর্থাৎ পানি পান করার সুব্যবস্থা রয়েছে এখানে। আমি অন্যান্য গ্রামে এভাবে কোনদিন লক্ষ্য করে দেখি নাই এই গ্রামে প্রায় জায়গায় মাঠে রাস্তার পাশে টিউবয়েল রয়েছে পানি খাওয়ার জন্য। এটা কিন্তু জনগণের জন্য একটি ভাল দিক। তাই আমরা সেখান থেকে পানি পান করে আবারো কিছুটা সময়ের জন্য অবস্থান করলাম এই জায়গায়। এই গাছটা থেকে আরও একটু সামনের দিকে এগিয়ে গেলে আরো একটি বটগাছ রয়েছে যার চারিপাশে গোল করে সান করা। তবে সেখানে মানুষজন বসেছিল তাই আমাদের বসা হয়নি। কিছু তাস খেলা মানুষের উপস্থিতি থাকায় বেশ মিস করছিলাম ওই জায়গাটা।
অনেকের শুনেছি এই বট গাছের নিচে এসে গানের শুটিং করে থাকে। এই বটগাছটা যে কতদিন আগের তা কেউ নিশ্চিত বলতে পারেনা। তবে অনুমান করে সবাই গাছটা ব্রিটিশ আমলের। আবার অনেকে বলে থাকে পাকিস্তান আমলের। তবে যাই হোক এই সমস্ত কাজগুলো কিন্তু মানুষের জন্য যেমন ছায়ার স্থান ঠিক তেমনি বিভিন্ন পাখির বসার জায়গা বা বাসা তৈরি করার জায়গা। এর আগে আমরা যখন চলাচল করতাম তখন লক্ষ্য করে দেখেছিলাম এই গাছের বেশ কিছু জায়গায় মৌমাছির চাক রয়েছে। শালিক পাখি সহ অন্যান্য পাখির বাসা রয়েছে। আবার পথচারীরাও এসে এখানে বসে বিশ্রাম গ্রহণ করে। আমাদের মত মানুষগুলো ফটো ভিডিও ধারণ করে বা কিছুটা সময়ের জন্য আনন্দ পাই। ঈদের সময় আসলে তো এই সারা রাস্তা জুড়ে মানুষের ঢল শুরু হয়ে যায়। এক কথায় বলতে গেলে এই নুনার বিল রাস্তা এবং রাস্তার পাশের গাছগুলো সবার জন্য বেশি ভালোলাগার স্থান।
ভিডিওটি দেখার জন্য ধন্যবাদ
ফটোগ্রাফি ও ভিডিও | সুন্দর একটি বিড়াল |
---|---|
স্থান | গাংনী |
লোকেশন | Location |
মোবাইল | Infinix Hot 11s |
youtube চ্যানেল | @Allblog10 |
ক্রেডিট | @jannatul |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার ধারণা করা আজকের এই সুন্দর ভিডিও। এই বটগাছটা আমার খুবই সুপরিচিত। আমিও বেশ এই গাছের নিচে গিয়েছি এবং ফটো ভিডিও ধারণ করেছি অনেকবার। অনেক ভালো লাগলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে দেখে।
আমার কাছে অপরিচিত হয়ে গেছে।
আপু আপনার আজ সুন্দর একটি বটগাছের ভিডিওগ্রাফি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এত সুন্দর রাস্তা তার পাশে এত বড় আর অপূর্ব বটগাছের ভিডিও দেখতে পেয়ে আমি ভীষণ আনন্দিত হয়েছি। প্রকৃতির মাঝে এত সুন্দর গাছ সব সময় আমার মনটা আকৃষ্ট করে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি বটগাছের ভিডিওগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি আপু আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে
এত বড় একটি বটগাছ দেখে তো অবাক হয়ে গেছি আপু দেখতে অনেক বড় সাইজের হয়ে গেছে এই গাছ। আর এটি তো দেখতে ভয় কাজ করবে। বিশেষ করে যখন হাঁটাচলা করা যাবে কিংবা অনেক রাতে আসা যাওয়া করা যাবে তখন এই গাছের নিচ থেকে আসতে যেত ভয় লাগবে। আপনি অনেক সুন্দর করে ভিডিও করে নিলেন। ভিডিওটি দেখতে খুবই ভালো লেগেছে।
রাতে ভয় লাগার মত
বটগাছটা তো আসলেই অনেক বড়। ব্রিটিশ আমলের হলে তো অনেক পুরনো একটা বটগাছ। আপনার ভিডিওগ্রাফিতে এত পুরানো একটা বটগাছ দেখে খুবই ভালো লাগলো। চমৎকার ভিডিওগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন আপনি। এই ধরনের জায়গাগুলোতে ঘোরাঘুরি করতে পারলে আসলেই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু এত চমৎকার একটি ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু এই বটগাছটা অনেক বড়।
বট গাছটি অনেক দিনের পুরোনো মনে হচ্ছে।আর অনেক শিকড় জন্ম নিয়েছে বলে অনেকের আশ্রয় এই গাছ।আমাদের এখানেও একটি বট গাছ ছিল বহু পুরোনো তবে একেবারেই গোল।যাইহোক আপনার নুনার বিলের বড় বটগাছের ভিডিও দেখে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু এটা পুরাতন বটগাছ