মোবাইলে ধারণ করা রেনডম ফটোগ্রাফি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। বিভিন্ন প্রকার রেনডম ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মনে করি, আমার এই ফটোগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে।
রেনডম ফটোগ্রাফি
এই ফটোগ্রাফি তে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন দুইটা কমলা লেবু পাশাপাশি ধরে রয়েছে। আসলে এই দুইটা কমলা লেবু নয় এই দুইটা মালটা। আমাদের বাড়িতে কমলা লেবু এবং মালটা গাছ রয়েছে। তবে মালটা গাছটাতে এবার অনেক ফুল হয়েছিল ফল মাত্র দুইটা ধরেছে। তবে আশা করব এই ফল দুইটা শেষ পর্যন্ত খেতে পারার।
সন্ধ্যাকালীন মুহূর্তে পুকুরপাড় থেকে ধারণ করা কাশফুলের ফটোগ্রাফি। দেখতে দেখতে আমরা শরৎকাল প্রায় বিদায় দেয়ার পথে চলে এসেছি। আজকে থেকে লক্ষ্য করে দেখলাম ঠান্ডা আবহাওয়া এবং কুয়াশা শুরু হয়েছে। অর্থাৎ শীতের সময় চলে আসছে খুব শীঘ্রই। ভাদ্র মাস যেমন বিদায় হয়েছে ঠিক তেমনি আশ্বিন মাস বিদায় হতে চলছে। আর এদিকে লক্ষ্য করে দেখছি কাশফুল গুলো দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই যখন ফটো ধারণ করছিলাম বেশ কেমন জানি মায়া লাগছিল কাশফুলের প্রতি। তাই চেষ্টা করেছি অনেকগুলো ফটো ধারণ করে রাখতে যা মাঝে মাঝে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আর শরতের কথা মনে করব।
সবজি উত্তোলন করার জন্য পুকুর পাড়ে উপস্থিত হয়েছিলাম আমরা। আর সেখান থেকে এই ঝিঙে সবজিটার ফটো ধারণ করেছিলাম। আমাদের সবজি বাগানে এবার অনেক ঝিঙে গাছ হয়েছে কিন্তু তেমন ফল ধরছেনা। এজন্য বেশ খারাপ লাগে। যখন সবজি উত্তোলন করতে চাই যেন আগের মত গতবছরের মত ব্যাগ ভর্তি সবজি পায় না।
এই মুহূর্তে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পেঁপের ফুল। আমরা অনেকেই জানি যে পেঁপে গাছগুলোতে ফল হয় না সে পেঁপে গাছগুলোতে এমন ফুল হয়ে থাকে। পেঁপের ফুল কিন্তু দেখতে অনেক ভালো লাগে আমার। একই সাথে অনেকগুলো হয়ে থাকে। সাদা সাদা এই ফুল গুলো বেশ চমৎকার।
এই মুহূর্তে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কারেন্টের তারের উপর বসে রয়েছে একটি মাছরাঙ্গা পাখি। মাছরাঙ্গা পাখির বেশ অনেক রকমের হয়ে থাকে। আমি চার ধরনের মাছরাঙ্গা পাখি দেখেছি। একই কালারের তিন সাইজের হয়ে থাকে ছোট মাঝারি বড়। আরেকটি সাদা কালো কালারের হয়ে থাকে তবে শেষ মাছরাঙ্গাটা বেশি একটা চোখে বাধেনা। তবে আমাদের বাড়ির আশপাশে এই বড় মাছরাঙ্গাটা প্রায় লক্ষ্য করি। সকাল ভোর বেলায় এই মাছরাঙ্গা পাখি চিললায়ে উঠে, তখনই বুঝতে পারি ফজরের আজান হয়ে গেছে কিছুক্ষণের মধ্যে দিনের আলো অন্ধকার দূর করবে।
এ মুহূর্তে আপনারা যে ফুলটা দেখতে পারছেন এই ফুলটা আমাদের স্থানীয় ভাষায় দুপুর মনি বলা হয়ে থাকে। কারণ এই ফুলটাকে আমরা দেখি দুপুরবেলায় ফুটে যেতে। এরপর ধীরে ধীরে রাত পর্যন্ত থেকে যায় কিন্তু সকালবেলায় আবার নষ্ট হয়ে যায়। হয়তো এই কারণে এর নাম রাখা হয়েছে দুপুর মনি ফুল। এই ফুলটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমাদের পুকুর পাড়ে বেশ কয়েকটা গাছে এই ফুল ফুটতে দেখেছি।
এই মুহূর্তে আপনারা যে ফুলটা লক্ষ্য করছেন এটা ঝিঙে ফুল। ঘন হলুদ ছোট্ট হয়ে ফুলগুলো যেন নজর কাড়ে, যখনি পুকুর পাড়ে সবজি উত্তোলন করতে যায় বিকেলে লক্ষ্য করে দেখিয়ে ফুলগুলো ফুটে রয়েছে। এই ফুলগুলো বিকেল মুহুর্তে ফোটা শুরু হয় এবং সবজি বান পরিপূর্ণ হয়ে যায় ফুলে ফুলে।
এ মুহূর্তে আপনারা একটি কলার কাইন দেখতে পারছেন। এটা ২২ ছড়ি নামক কলার কাহিনী। এই জাতের কলা গুলো খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। গাছে অনেক বেশি কলা ধরে থাকে।
এই মুহূর্তে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ব্যাঙের ছাতা নামে পরিচিত মাশরুম বা ছত্রাক। এগুলো বর্ষার সময় বা বৃষ্টির পানি হলে মাটির নিচ থেকে বের হয়ে থাকে। পথ চলতে প্রায়ই লক্ষ্য করি এই মাশরুম যেখানে সেখানে হয়ে আছে।
এ মুহূর্তে আপনারা যে ফটোটা দেখতে পাচ্ছেন সেটা একটি শালিক পাখির চিত্র। সারাদিন বাড়ির মধ্যে অনেকগুলো শালিক পাখির জ্বালাতে থাকে। তাই প্রায় যখন তখন দেখা যায় ঘরের চাল অথবা রান্নাঘর অথবা ছাগল ঘরের যে কোন জায়গায় এভাবেই বসে রয়েছে শালিক পাখিগুলো। আর এই সমস্ত জিনিসগুলো যখন একটু ভালোলাগা মনে হয় তখন ধারণ করার চেষ্টা করি। আশা করি অনেক অনেক ভাল লেগেছে আমার এ ফটোগুলো।
ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
---|---|
বিষয় | রেনডম ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আপু আপনার শেয়ার করা রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগলো।রেনডম ফটোগ্রাফিতে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখা যায় বলে খুবই ভালো লাগে আমার। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে আপু।শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সুন্দর মন্তব্য করেছেন
আপনার তোলা রেনডম এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম ৷ প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখতে অসম্ভব সুন্দর হয়েছে ৷ প্রতিটা ফটোগ্রাফি আলাদা আলাদা প্রকৃতির সৌন্দর্য তুলে ধরেছে ৷ ভীষণ ভালোলাগা মতোই ছিলো প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ৷ ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ৷
ভালো লাগলো ভাই আপনার মন্তব্য দেখে
বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন দিয়েই ভালো ভালো ফটোগ্রাফি ধারণ করা যায়। আপনিও অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। বিশেষ করে শালিক পাখির ফটোগ্রাফি টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনি
বিভিন্ন রকমের ফটোগ্রাফি নিয়ে আজকে আপনি হাজির হয়েছেন। এই রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগে। রেনডম ফটোগ্রাফির বর্ণনা পড়ে আরো ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
রেনডম ফটোগ্রাফি আমারও ভালো লাগে
বাহ্ আপনি আজকে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু। আপনার তোলা প্রতিটা ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। আপনি ফটোগ্রাফির সাথে বেশ সুন্দর বর্ণনা উপস্থাপন করছেন। তবে কাশফুল ও পেঁপে ফুলের ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
প্রশংসা করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ
দারুন দারুন কতগুলো ফটোগ্রাফি আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আসলে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে যে আপনি গ্রাম বাংলার থেকে এই ধরনের ছবিগুলো তুলেছেন। এছাড়াও প্রতিটা ছবির বর্ণনা আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য।
আমি চেষ্টা করি দাদা সব সময় সুন্দর বর্ণনা দিতে
চমৎকার কিছু একটা ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আপনি। আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি বেশ দারুন হয়েছে। পুকুর পাড়ে কাশফুলের ফটোগ্রাফিটা অনেক সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আশা করব এভাবে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করবেন