আমার বাংলা ব্লগে সকলকে স্বাগতম
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমাদের বাঁশবাগান থেকে জুম করে ঘুঘু পাখির ফটো ধারণ করেছিলাম সেই সমস্ত ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মনে করি, আমার এই জুম করা ঘুঘু পাখির ফটোগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে।
Camera: Huawei P30 Pro-40mp
What3words location Gangni
প্রথমে আপনাদের জানাতে চাই, আমার রুমের জানালার পরে রয়েছে আমাদের বসে থাকার সুন্দর একটি জায়গা। তারপরে রয়েছে আমাদের দক্ষিণ পাড়ের পুকুর। আর সেই পুকুরের ২ পাশে রয়েছে বাঁশ গাছ। আর এই গাছে বসে থাকে বিভিন্ন রকমের পাখি। বিশেষ করে শালিক বক পানকৌড়ি ঘুঘু ডাউক দোয়েল সহ আরো অনেক পাখি। রান্নাবান্না শেষ করে যখন আমি বসে থাকতে আম গাছের ছাপড়ার নিচে উপস্থিত হয়, তখনই লক্ষ্য করি দারুন এক দৃশ্য। ইদানিং আমি লক্ষ্য করে দেখছি একটি জায়গায় প্রত্যেকদিন দুইটা ঘুঘু পাখি বসে থাকে। তাদের এই সুন্দর মিল মহব্বত দেখে সত্যি খুব ভালো লাগে। প্রত্যেকটা দিন একই জায়গায় একই ভাবে বসে থাকা। যেন মনে হচ্ছে তারা প্রেম করেছে, প্রেমে পড়েছে। একই জায়গায় বসে থেকে মধুর আলাপন করে। তাই হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি এসেছিল আমি তাদের কিছু ফটো ধারণ করবো। তবে এই পাখি যে এতটা চালাক একটু দূর থেকে দেখলেই উড়ে চলে যায়।
Camera: Huawei P30 Pro-40mp
What3words location Gangni
প্রথমে আমি আমাদের হাওয়ায় ফোনটা নিলাম। কারণ এই সেটটাতে খুব ভালো জুম করে ফটো ধারণ করা যায়। এরপর আমি ধীরে ধীরে পুকুর পাড়ে নেমে গেলাম। আমাদের পুকুরটাতে এখন পানি নেই। গত বছর এই সময় অনেক মাস ছিল। এবার বৃষ্টি হয়নি তাই পুকুরটাও পড়ে রয়েছে চারিপাশ খনন করার আশা করে। যাইহোক ধার দিয়ে আস্তে আস্তে নেমে একটি কর্নারে অবস্থান করলাম। এরপর মোবাইলে জুম করা শুরু করলাম। তখনো শুধু লক্ষ্য করে দেখছি পাখিটা আমাকে বারবার ফলো করছে। আর উড়ে চলে যাবো এমন এমন ভাব করছে। আমি তখন শুধু মনে মনে ভাবছিলাম আল্লাহ এরা একটু থামলে হয়। সুযোগ করে কিছু ফটো করে নেব আর ভিডিও করে নেব, এবং সেগুলা কমিউনিটিতে শেয়ার করতে পারব। আর ঠিক সেভাবেই ধীরে ধীরে উপস্থিত হয়ে চুপ মেরে বসে থাকলাম। ওদের দিকে আমি ভুল করে তাকালাম না। ওরা যখন আনমনা হল তখন আমি ভিডিও ধারণার ফটো ধারণ করতে থাকলাম।
Camera: Huawei P30 Pro-40mp
What3words location Gangni
তাদের এই সুন্দর বসে থাকা আমাকে মুগ্ধ করেছিল। আমিও নিরবে বসে থেকে থেকে শুধু তাদের দেখতে থাকলাম আর ফটো ধারণ করতে থাকলাম। মাঝেমধ্যে যখন আমার হাত লেগে যাচ্ছিল মোবাইলটা একটু ভালোভাবে ধরার চেষ্টা করছিলাম তখন তারা আমাকে ফলো করে উঠে নড়েচড়ে বসার চেষ্টা করছিল আর মাঝে মাঝে চলে যাব এমন ভাব দেখার ছিল। তবে আমি কোনমতে তাদের পানে তাকানোর চেষ্টা করলাম না শুধু মোবাইলের গ্লাসের দিকেই তাকিয়ে রয়েছি। তারা মাঝেমধ্যে শান্ত হয়ে বসছে,আবার মাঝেমধ্যে যেটার উপরে বসে ছিল সেটার উপরে হাটাহাটি করছে। আমি যা বুঝতে পারলাম প্রত্যেকদিন এসে বসে থেকে তাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে এই জায়গাটায়। তাই তারা উড়ে চলে যাচ্ছিল না, হয়তো আরও নিকটে গেলে চলে যেত। তবে একটু দূরে থাকাই তাদের ভেতর বেশি ভয় আসতে পারছে না।
Camera: Huawei P30 Pro-40mp
What3words location Gangni
এই মুহূর্তে সূর্যের আলো বারবার চোখে মুখে লাগতেছিল, পিছনে আমার ছেলেটাও আম্মা আম্মা করে ডাকছিল। এত কিছুর মধ্য দিয়ে আমি চেষ্টা করেছিলাম সুন্দর ভাবে এই ফটো ধারণ করতে। যেন অন্যরকম এক ভালোলাগা জাগ্রত হয়েছিল মনের মধ্যে। তবে জীবনে এই প্রথম এভাবে ফটো ধারণ করছি শুধুমাত্র এই কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে। এছাড়া পূর্বে কোনদিন আমি সেভাবে ফটো ধারণ করিনি। হয়তো ফটো ধারণ করেছি, তবে এত রিক্সে,এত প্রয়োজন বোধ করে নয়। যাইহোক এভাবে খুব সুন্দর কিছুটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম এই ঘুঘু পাখি দুইটার সাথে এরপরেও এই কয়টা দিন একই জায়গায় তাদের লক্ষ্য করছি কিন্তু পরে আর সেভাবে ফটো ধারণ করতে সক্ষম হয়নি। আরো একবার ট্রাই করেছিলাম কিন্তু জায়গা মত যেতেই পাখিগুলো আগেই উড়ে গেছে।
Camera: Huawei P30 Pro-40mp
What3words location Gangni
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
ঘুঘু পাখি অনেক সুন্দর লাগে। এটাতো সাধারনত তেমন দেখা যায় না। আপনাদের বাড়ির বাঁশ বাগানে এত সুন্দর ঘুঘু পাখির দেখা পেলেন। আপনার ভাগ্য অনেক ভালো এত সুন্দর পাখি স্বচক্ষে দেখতে পেয়েছেন। ধন্যবাদ।
আমাদের উঠানেও আসে
আপু আপনি সত্যিই বেশ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা পোস্ট দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপু আমি জানি আপনাদের বাসার পাশে বাঁশ বাগান রয়েছে। বাঁশ বাগানে ঘুঘু পাখির দেখা মিলে। আপনি দেখছেন ঘুঘু পাখি দেখেছেন তা নয় সাথে খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করলেন। আর আপনার শেয়ার করা ঘুঘু পাখির ছবিটি সত্যিই দারুন লাগছে আর এই ঘুঘুটি মনে হচ্ছে বরণ ঘুঘু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি ভাইয়া সুন্দর ভাবে ধারণ করতে
আসলে গ্ৰাম অঞ্চলের বাশ বাগান গুলোর মধ্যে ঘুঘু প্রায় সব সময় বসে থাকে। আপনি দেখছি একটি বাঁশ বাগান থেকে বেশ কয়েকটি ঘুঘুর ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি খুবই সুন্দর করে আপনার মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে ঘুঘুর ফটোগ্রাফী গুলো ধারণ করেছেন। আসলে ঘুঘু পাখি গুলো দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।
হ্যাঁ ভাইয়া পাখি দুইটা বেশ দেখার মত।
চমৎকার সুন্দর ঘুঘু পাখির ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। ফটোগ্রাফি করতে আপনাকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে আপনার পোস্ট পড়ে তা বুঝতে পেলাম।আপনার মনের আশা পূরণ হয়েছে ছবি তুলতে পেরে এটাই অনেক বড়ো পাওয়া।আমাদের সাথে ভাগ করতে পেরেছেন। সত্যি ঘুঘু পাখির জুটিটি অসাধারণ সুন্দর। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
এখনো একই জায়গায় বসে থাকে।