নাটক রিভিউ "আলতা সুন্দরী" ২০ তম পর্ব
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি বাংলা নাটক রিভিউ নিয়ে। বৃন্দাবন দাস রচিত জনপ্রিয় এই নাটকের নাম আলতা সুন্দরী। এই নাটকে মোট ৬২ পর্ব। আজকে আমি উপস্থিত হলাম ২০ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করতে। চলুন তাহলে শুরু করি।
নাটকের নাম | আলতা সুন্দরী |
---|---|
রচনা | বৃন্দাবন দাস |
পরিচালক | সালাহউদ্দিন লাভলু |
অভিনয়ে | চঞ্চল চৌধুরী, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, রহমত আলী, ম ম মোরশেদ, জয় রাজ, রাশেদা চৌধুরী, মনিরা মিঠু, সাইকা আহমেদ, লারা লোটাস, পুতুল, ডায়না সহ আরো অনেকে। |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
ধরণ | হাস্যরসাত্মক এবং সামাজিক |
মোট পর্ব | ৬২ |
রিভিউ | ২০ তম পর্ব |
দৈর্ঘ্য | ২০ মিনিট |
প্ল্যাটফর্ম | ইউটিউব @cdchoicedrama চ্যানেল |
চরিত্রেঃ
- শামীম জামান
- আর খ ম হাসান
- চঞ্চল চৌধুরী
গানের দলের বেশ কিছু ব্যক্তি মিথ্যা বলে রহিম বাদশা কে গুলজারের বাড়িতে এগিয়ে দিয়েছে। রহিম বাদশা বোকা সুকা মানুষ, তাদের মিথ্যা কথা বিশ্বাস করে নিয়ে আমাদের আনন্দে গুলজারের বাড়িতে এসেছে এবং গুলজার কে মনে করেছে সে আলতা সুন্দরী নামক মহিলার ভাই। তাই সে আনন্দের সাথে গুলজার এর কাছে প্রশ্ন করে বসেছে, সে নাকি মামা হতে চলেছে আলতা সুন্দরী মা হতে চলেছে। গুলজার এমন কথা শুনে খুবই ক্ষেপে গেল, সে মনে মনে ভাবতে থাকলো কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেওয়ার মত রহিম বাদশা তার সামনে উপস্থিত হয়েছে। ভিন গ্রাম থেকে সে কিভাবে তার মত মানুষের সামনে উপস্থিত হয়ে কথা বলে তাও আবার পরিহাস মুলক। তাই দাউ দিয়ে তাড়া করলো রহিম বাদশা কে। জান বাঁচানোর জন্য রহিম বাদশা গুলজারের থেকে পালিয়ে যেতে থাকলো কিন্তু গুলজার পিছু ছাড়লো না।
কয়েকদিন ধরে গুলজার আলতা সুন্দরীকে খুঁজে বেড়াচ্ছে খুন করার জন্য। তবে রহিম বাদশা কে তাড়া করতে গিয়ে পথের মধ্যে খুঁজে পেল আলতা সুন্দরীকে। সে রহিম বাদশা কে তাড়া করার বাদ দিয়ে আলতা সুন্দরীর পিছনে এলো। সে তার বোনের সর্বনাশ করেছে। কিভাবে তার সম্ভব হলো এমন একটি নামিদামি বংশের মেয়ের ক্ষতি করা। আজকে সে বুঝিয়ে দেবে এক কপে করলা ফেলে। কিন্তু আলতা সুন্দরী নির্দোষ মানুষ এ কথা কেউ কখনো বিশ্বাস করতে চাইলো না। একদিকে গ্রামের মানুষের তাকে ঘৃণা করে আর একদিকে গোলজার তাকে এভাবেই ধাওয়া করে চলেছে। জান বাঁচাতে আলতা সুন্দরী পালিয়ে গেল।
আলতা সুন্দরী নাটকের গানের দলটা আজ যেন অচল হয়ে পড়েছে। গানের দলের প্রধান যারা ছিলেন তারা আজ বিভিন্ন দোষে পালিয়ে বেড়াচ্ছে মন খারাপ করে। গানের দলের নায়িকা হয়ে গেছে গ্রামের এক আসামি। গানের দলের নায়কের মন ভালো নেই তার প্রেমিকার অপকর্মের বিষয় জানার পর। এদিকে গানের দলের ওস্তাদ হুমকির সম্মুখীন হয়ে আর দল গুছিয়ে গান-বাজনা করে না। তাই যে সমস্ত মানুষেরা বিভিন্ন বাজনা বাজা তো তারাও একত্রিত হয়েছে কিন্তু কোন কুল তারা খুঁজে পাচ্ছে না কি করবে। এদিকে নশুভিলেন গানের দলের টাকার হিসাব নিকাশ গুলো ঠিক করে রাখতো। ওস্তাদের বাড়িতে তাকে উপস্থিত হতে মানা করায় সে মন খারাপ করে হিসাব নিকাশের খাতা রেখে এসেছে ওস্তাদের কাছে। তাই যেন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে হোসেনের মত অভিনয়কারী মানুষদের।
গুলজারের হাতে দাও দিয়ে তাড়া খাওয়ার পরেও, রহিম বাদশা এসে উপস্থিত গুলজারের বোনের জানালায়। সে জানতে চেয়েছিল তার বড় বোন আলতা সুন্দরী নাকি মা হতে চলেছে। কিন্তু বিউটি তার কাছে আবারো মিথ্যা করে বলল না আলতা সুন্দরী বাবা হতে চলেছে। এই গ্রামে এসে একেকজনের উল্টাপাল্টা কথা শুনে রহিম বাদশার মনের মধ্যে তালগোল পাকিয়ে যায়। কেউ বলে আলতা সুন্দরী মেয়ে মানুষ, আবার কেউ বলে আলতা সুন্দরী ছেলে মানুষ, আবার কেউ এসে বলে আমি নিজে আলতা সুন্দরী। কিন্তু রহিম বাদশা বুঝতে পারে না সে যে স্বচক্ষে আলতা সুন্দরীকে দেখেছে এবং নিজের গায়ের সাথে তারতার লেগেছে। সেই মানুষের সেই ফেস আর চোখের সামনে আসে না কিন্তু এরা যে উল্টাপাল্টা বলে এটাই তার কাছে কনফিউশন। তাই আলতা সুন্দরীর সাথে সরোজমিনে কথা বলার জন্য সে বারবার ছুটে আসে এই গ্রামে। কিন্তু গুলজার এর মত মানুষের হাতে তার একাধিকবার মার খেতে হয়েছে দাও দিয়ে তাড়া খেতে হয়েছে। তবুও বিউটি তার সাথে এখনো মিথ্যা বলল। আর সে মিথ্যা কথা শুনেই তাকে গ্রামের মধ্যে থাকতে হলো আলতো সুন্দরীকে দেখার আশায়।
এদিকে গুলজার অতিষ্ট হয়ে পড়েছে, তাই রাত্রী কালীন মুহূর্তে একটি বিষের বোতল এনে তার বোনকে ঘর থেকে ডেকে বার করে আনলো। তার বোন বিউটি ভাবল গুলজার অর্থাৎ বড় ভাই কেন বিষ খাবে। বিষ না খেয়ে সে যদি আলতা সুন্দরীর সাথে বোনের বিয়ে দিয়ে দেয় তাহলে তো হয়ে যায় সব সমস্যার সমাধান। কিন্তু গুলজার দেখা গেল বিউটিকে বলতে থাকলো কোন দুঃখে সে বিষ খাবে বরংচ বিষের বোতলে হয়েছে তার বোনের জন্য। তার বোন যেন এই বিষ খেয়ে ভাইকে উদ্ধার করে। সে বোনকে অনেক সুন্দর করে বোঝাতে থাকলো বিষ খাওয়ার জন্য। ঠিক আমাদের পরিবেশ পরিস্থিতির সম্মুখীন হল বিউটি তার মিথ্যে বলার প্রভাবে।
আলতা সুন্দরী তার গানে তলের ওস্তাদকে খুব ভালোভাবে বুঝানোর চেষ্টা করেছে সে একজন নির্দোষ মানুষ। কারণ ছোট থেকে দেখে আসছে গানের দলের ওস্তাদ আলতা সুন্দরী ওর উপর নছের মিয়া খুবই স্বাভাবিক একটা মনের মানুষ এবং ভালো ছেলে। তার নামে যে দুর্নাম তৈরি করা হয়েছে এটা সম্পূর্ণ বিউটির কারসাজি। কিন্তু সবার ভেতরে একটাই কনফিউশন কেউ নিজের নামে মিথ্যা কলংক রটাতে পারেনা, কিভাবে বিউটি এমনটা রটাবে। অনেক কিছু বুঝার পর গানের দলের ওস্তাদ আলতা সুন্দরী অনুরোধে পারুলের মায়ের কাছে গেল এবং বুঝানোর চেষ্টা করল। পারুলের মা বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করে কিন্তু পারুল কেন জানি বিশ্বাস করতে চায় না। আলতা সুন্দরীর প্রতি তার মন প্রকার ভেঙে গেছে বলে চলে। পারুল মন থেকে ভুলতে পারে না আবার মনে তুলে নিতে পারে না আলতা সুন্দরীকে। ঠিক এমনই অনুভূতিতে এই পর্বের সমাপ্তি আসে।
আলতা সুন্দরী নাটকের এই পর্বে আমরা লক্ষ্য করে দেখেছি বিউটির ভাই গুলজার রহিম বাদশা ও আলতা সুন্দরীকে দাও দিয়ে কাটার জন্য তাড়া করেছে। এতেই বোঝা গেছে গুলজার এখনো প্রচুর রাগান্বিত। সে কখন কি করে বসবে কেউ জানে না। এদিকে তার বোনের আত্মহত্যা করানোর জন্য বিষ এনে দিয়েছে। তাই এই নাটকের এ পর্বে গুলজারের অভিনয়টা একটু বেশি লক্ষ্য করা গেছে। আর তার অভিনয় গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে। আমি মনে করি দর্শক শ্রেনীর মানুষ সবসময়ই এই পর্ব লক্ষ্য করলে, গুলজারের অভিনয়টাকে প্রাধান্য দিবে। কারণ একাধিকবার যদি মন চায় এ পর্ব দেখার অবশ্যই গুলজারের কারণে ভালোলাগা কাজ করবে সবার। সে যেন নাটকের সুন্দর অভিনয়ের মধ্য দিয়ে দর্শক নন্দিত করে তুলেছে। সে কথাই বলতে পারি গুলজার এর অভিনয় বেস্ট ছিল এ পর্বে।
রিভিউটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের bidyut01 এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। এক পরিবার থেকে "আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে" চারজন সদস্য রয়েছি। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ভালোলাগা রেসিপি তৈরি, নাটক রিভিউ, ভিডিও ও ফটোগ্রাফি করা সহ ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে সদস্য হয়ে পোস্ট শেয়ার করার।
আলতা সুন্দরী নাটকের কাহিনী আপনি প্রতিনিয়ত অনেক সুন্দর ভাবে রিভিউর মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করে যাচ্ছেন। এইটা দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনার এই নাটকের অনেকগুলো পর্বের রিভিউ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমার পড়া হয়েছে। আজকে ২০তম পর্বের রিভিউ টা সম্পূর্ণ পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু।
সময় পেলে একটু দেখার চেষ্টা করবেন আরো ভালো লাগবে
আপনি প্রতিনিয়ত অনেক সুন্দর ভাবে আলতা সুন্দরী নাটকের কাহিনী রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করে যাচ্ছেন। আপনার শেয়ার করা নাটক রিভিউটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। এই নাটকের প্রতিটি পর্ব দেখা হয়নি তবে কিছু পর্ব দেখেছি অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। আজকে ২০ তম পর্ব পড়ে ও অনেক ভালো লাগলো আপু।সুন্দর একটি নাটক শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
নাটকটা আমার খুব ভালো লাগে
আপু আপনি প্রতি সপ্তাহে আলতা সুন্দরী নাটকের একটি একটি করে পর্ব শেয়ার করছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। যদিও এই নাটক এখনও দেখা হয়নি তবে আপনার রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। কিছু কিছু নাটক পর্ব আকারে দেখতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর নাটক রিভিউ দেওয়ার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন
এই নাটকটার রিভিউ সম্পূর্ণ পড়ে খুব ভালো লাগলো আমার কাছে। সময়ের কারণে যদিও নাটক খুব একটা দেখা হয় না, তবে রিভিউর মাধ্যমে নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়ার জন্য চেষ্টা করি। এই নাটকের কাহিনীটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তাই আমি ভাবছি সময় পেলেই নাটকটা আমি দেখবো। আশা করছি আপনি প্রতিনিয়ত এরকম সুন্দর সুন্দর নাটকগুলো রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করে যাবেন। অনেক ধন্যবাদ এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
সময় করে নাটকটা দেখবেন
অনেক আগে এই নাটকটির দু একটা পর্ব আমি দেখেছিলাম। আজ আপনি আলতা সুন্দরী নাটকের 20 তম পর্ব শেয়ার করেছেন। অনেকদিন পর নতুন করে নাটকটি রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
বাকি পর্বগুলো দেখে নিবেন।