জেনারেল রাইটিং: মনে আঘাত
জেনারেল রাইটিং পোস্ট
আপনার আমার সবার মধ্যে একটা মন বলে বিষয় রয়েছে। যে মনটা কখনো হাসি কখনো আনন্দ কখনো বেজার বা দুঃখে ভরা থাকে। আর মনের হাসিখুশি বা বেদনাদায়ক অনুভূতির পেছনে অনেক কারণ থাকে। কখনো আমাদের পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে মন হাসিখুশি থাকে। আবার কখনো পরিবেশ পরিস্থিতি মনের অনুকূলে না থাকলে মনটা ব্যাজার থাকে কষ্টে থাকে। তবে এই মন সবসময় হাসিতে থাকে না, আবার সবসময় দুঃখে থাকে না। বিভিন্ন কারণে আনন্দ পাই বিভিন্ন কারণে কষ্ট পায়।
দুনিয়ার বুকের টিকে থাকতে হলে আমাদের প্রতিনিয়ত কম বেশি এটা সেটাই সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়। তবে তার মধ্যে পরিবেশ অন্যতম। হতে পারে সামাজিক পরিবেশ অথবা পারিবারিক পরিবেশ। একটা মানুষের হাসি আনন্দের প্রধান ভূমিকা পালন করে পরিবার ও সমাজ। মানুষ পরিবারের গণ্ডি থেকে এক পা বাইর করতেই সমাজের পরিবেশ। আর এই দুইটা পরিবেশ প্রতিনিয়ত মানুষকে প্রভাবিত করে। একান্ত একটি মনকে সান্ত্বনা দিয়ে থাকে সবসময়ের জন্য তার পরিবার আবার কষ্টর ক্ষেত্রেও তার পরিবার। আর সেই গণ্ডি থেকে বের হয়ে মনের প্রশান্তি খুঁজতে সমাজে পা রাখতে হয় সমাজে চোখ রাখতে হয়। আর সেখানেও হাসি আনন্দ অথবা কষ্ট বেদনা থেকে থাকে। আর সর্বোপরি বিভিন্ন প্রেক্ষিতেই মনের উপর প্রভাব আসে। তবে এই দুইটা ক্ষেত্র অন্যতম।
কখনো যদি একজন মানুষ হাসি আনন্দে রয়েছে দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে তার মনটা ভালো রয়েছে বা তার পরিবেশ মনটাকে ভালো রেখেছে। আবার যদি দেখা যায় একজন মানুষ বেশ কষ্ট অনুভবে কান্না করছে বা দুঃখ প্রকাশ করছে, বুঝতে হবে তার নিকটস্থ কোনো পরিবেশ তাকে আঘাত করেছে, তাই তার মনটা ভালো নেই। তাই বলে মনে করেন না যে মন বিশেষজ্ঞ হয়ে গেলাম। আমাদের প্রত্যেক জনের নিজস্ব পরিবেশ রয়েছে। আর সে পরিবেশ আমাদের হাসি আনন্দ ও বেদনার উৎস। যখনই পরিবেশ অনুকূলে থাকে তখনই সে আনন্দে মেতে ওঠে।
তবে এক্ষেত্রে মনের আঘাত, এমন একটা বিষয়; সে বিষয়ে আমাদের সবার সজাগ থাকা প্রয়োজন। জীবনে চলার পথে আমরা বিভিন্ন ভুল ভ্রান্তিতে লিপ্ত হয়ে থাকে। আর এই ভুলের কারণে একে অন্যের মনে আঘাত দিয়ে থাকে। যে আঘাত দেয় সে প্রথমত বুঝতে পারেনা আমার দ্বারা আরেকজনের মনে আঘাত দেওয়া হচ্ছে। কেউ আঘাত দেওয়ার পর যদি উপলব্ধি করতে পারে আমার কারনে একজন ব্যক্তি কষ্ট অনুভব করছে কান্না করছে বা মনটা বেজার হয়ে গেছে। তখন সেই ব্যক্তি যদি অনুতপ্ত হয়, বুঝতে হবে তার মধ্যে জাগ্রত বিবেক রয়েছে। আর যদি সে অন্যের মনে আঘাত দিয়ে অনুতপ্ত না হয় তখন বুঝতে হবে তার মধ্যে জাগ্রত বিবেক নেই, রয়েছে পশুর আচরণ ও মন মানসিকতা। আর এমনই পশুর মন-মানসিকতা নিয়ে চলা মানুষ থেকে বিরত থাকতে হবে। আর যখন আপনি বা আমি ভুলক্রমে কাউরের মনে আঘাত দিয়ে ফেলি, তাহলে বোঝা মাত্র তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে অথবা বিনয়ী মনোভাব প্রকাশ করতে হবে সন্তুষ্টি করে দিতে হবে। তাকে বুঝাতে হবে আমার ভুল হয়েছিল বা ভুলক্রমে আপনার সাথে খারাপ আচরণ করে ফেলেছি। এই দেখে মানুষটার মন আঘাত কিন্তু কমে যাবে সন্তুষ্ট হয়ে যাবে। আর যদি আমরা এটা না করতে পারি তাহলে তার মনের ভেতরের কষ্ট একদিন আপনার প্রতি এক বহিঃপ্রকাশ করতেও পারে যা উভয়ের জন্য ক্ষতি বয়ে আনবে।
মানুষ ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক, তবে ভুলটা বুঝতে পারলেই দ্রুত সে ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া একান্ত জরুরী। কারণ ভুল স্বীকার করার মধ্য দিয়ে যার মনে আঘাত করা হয়েছে সে মানুষটার মনে সন্তুষ্টি বয়ে আনা যায়। এতে মহান সৃষ্টিকর্তাও অনেক খুশি হন। আজ আমাদের সমাজে ভুল শিকারের প্রবণতা খুবই কমে গেছে। মানুষ ভুল করলে যদি সে বিষয়ে কথা বলা যায় সে অনুতপ্ত হয় না বরঞ্চ জ্বলে ওঠে। নিজের ভুল স্বীকার করা তো দূরেই থাক আরও তেজ দেখায়। এতে কিন্তু সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। একে অন্যের মনের দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে থাকে। এমনকি এভাবে সামাজিক পারিবারিক বিভিন্ন দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। ছোট্ট এই দুনিয়াতে বেঁচে থাকতে আমাদের কিসের প্রয়োজন এত মানুষের মনে আঘাত দিয়ে কষ্ট দিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে দূরত্ব সৃষ্টি করার। তাই আমাদের প্রতিটা ক্ষেত্রে চলতে বলতে কোন কিছু করতে মাথায় রাখতে হবে আমার দ্বারা অন্যের মনে কষ্ট প্রদান হচ্ছে কিনা। আর সেটা যদি হয়ে যায় তাৎক্ষণিকভাবে দ্রুত সমাধানে আনতে হবে যেন আমার দেওয়া আঘাতে অন্যের মনে কষ্ট জমা না হয়। অনেকেই ক্ষমতার জোরে মানুষের মনে কষ্ট দেয়, অনেকেই আছে অহংকারের জোরে মানুষের মনে কষ্ট দেয়, আবার অনেকেই রয়েছে প্রতিহিংসার জোরে অন্যের মনে কষ্ট দেয়। কিন্তু যেই ব্যক্তি এই মূর্খের পরিচয় দেয়। তাকে উপলব্ধি করতে হবে আমার এটা মূর্খোর পরিচয় হচ্ছে। কারণ তার স্থানে যদি আমি থাকতাম তাহলে আমার কেমন লাগতো। এ বিবেক যারা জাগ্রত করে তারা কখনোই মানুষের মনে আঘাত দেয় না। আর যাদের মধ্যে এমন জাগ্রত বিবেক নেই তারা মূর্খ পশু বোকার সমতুল্য। তাই আমাদের মনটাকে সেভাবেই জাগ্রত করতে হবে যেন এ মনের দ্বারা অন্য মানুষের মনে আঘাত দেওয়া না হয়। কারণ মনে আঘাত দেওয়া বড়ই অন্যায়।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ
বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আমাদের চলার পথে আমরা বিভিন্ন ধরনের আঘাতপ্রাপ্ত হই। সেটা সামাজিকভাবে হোক কিংবা পারিবারিকভাবে হোক। সামাজিকভাবে পারিবারিক ভাবে আমাদেরকে জীবন যাপন করতে হবে। কিন্তু কিছু কিছু আঘাত আছে যেগুলো মনের গভীরে লেগে যায়। মানুষ পারে অনেক কিছু করতে মানুষের দ্বারা অনেক কিছু হয়। আপনার লেখাগুলো অনেক ভালো লেগেছে আপনি পড়ে।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম
বাহ, অনেক সুন্দর সুন্দর কথা নিয়ে আজ আমাদের মাঝে ব্লগ লিখেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে আমার তো ভীষণ ভালো লাগলো। সত্যি আমরা সবসময় একটু পরিবেশের সাথে বেড়ে ওঠে বসবাস করি। আরে পরিবেশের মধ্যে থেকেই কিন্তু আমাদের মাঝে আনন্দ হাসি কান্না সবকিছু সৃষ্টি হয়। তবে সব থেকে বেশি খারাপ লাগে আপনজনের আঘাতে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
আমাদের প্রত্যেক মানুষের জীবনে হাসি কান্না দুটোই থাকে। তবে চলার পথে মানুষ বিভিন্ন ধরনের আঘাত পেয়ে থাকে। কিছু কিছু আঘাত আছে মানুষ ভুলতে পারেনা। তবে মানুষের মুখে হাসি দেখলে বোঝা যায় অনেক সময় তারা সুখে আছে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কিছু কিছু আঘাতের কারণে মানুষ অনেক বড় কষ্ট পেয়ে থাকে। সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দেখে।