আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। বিভিন্ন প্রকার রেনডম ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মনে করি, আমার এই ফটোগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন এক নজরে ফটোগুলো দেখে আসি।
সবজির উত্তোলন করার জন্য পুকুর পাড়ে বাগানে যেতে প্রথমে রাস্তার পাশে দেখা মেলে আমাদের পাড়ার একজন মানুষ খেজুরের রস দিয়ে গুড় তৈরি করে, আর সেই গুড় তৈরি করার মাটির চুলা। এটা যেন গ্রাম বাংলার এক ঐতিহ্য। যা শীতকাল আসলেই দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন চুলার দেখা মেলে।
এটা একটা স্যালো মেশিন। শীতের সময় হলে এখানে পুকুরগুলো ছেঁকে দেওয়া হয়। এরপর পুকুর সম্পূর্ণরূপে নতুন করে প্রস্তুত করে নতুন মাছ দেওয়া হয়। তাই পুকুরে যেতে দেখলাম একটা পুকুর পাড়ে মেশিন রেখে দেওয়া হয়েছে।
একটি পুকুর পাড়ে অনেকগুলো পাতিহাঁস বসে রয়েছে। গ্রামে পুকুর বেশি থাকলে পাতি হাঁস অনেক পোষা যায়।
বলতে বলতেই একটি পুকুর প্রস্তুত করার জন্য ছেঁকে দেওয়া হয়েছে তেমন দৃশ্য দেখতে পেলাম। এমন দৃশ্য শীতের সময় বেশি চোখে পড়ে।
এইতো সেদিন চোখের সামনে ধানগাছ লাগানো। সবজি তুলতে এসে দেখলাম লাগাচ্ছে, আর এরপর কয়েক দিনের মধ্যেই গাছগুলো এমন হয়ে গেছে। এতেই বোঝা যায় আমাদের দেশের মাটি কত উর্বর।
এরপর পৌঁছে গেলাম আমাদের পুকুরপাড়ের দ্বিতীয় সবজি বাগানের কাছে। সেখানে শিম গাছে পরিপূর্ণ শিম। শুধু বাগানের তালা খুলে প্রবেশ করে উত্তোলন করতে হবে।
দেখে আমার দেবর পুকুরে পানি দেওয়ার জন্য কারেন্টের মোটর প্রস্তুত করে চালু করেছে। এই মুহূর্তে দেখতে পারলাম মোটরটা রানিং।
এটা মটর থেকে পুকুরে পানি যাওয়ার মুহূর্ত। দেখতে পারছেন পাইপের মধ্য দিয়ে পুকুরে পানি পড়ছে। এমন পানি পড়ার মুহূর্ত দেখতে ভালো লাগে।
এটা আরও একটি পুকুর। পানি ছেঁকে দেওয়া হয়েছে প্রস্তুত করার জন্য। এই মুহূর্তে আমরা যাচ্ছিলাম আমাদের তিন নম্বর বাগানটাতে, সেখান থেকে বিভিন্ন শাকসবজি উত্তোলন করার জন্য। তবে দেখলাম এই পুকুরে অনেক আয়রন জমে রয়েছে কাঁদা পানির উপর।
পুকুরপাড়ের কলাগাছ গুলোতে বেশ কলা ঝুলছে। আর এভাবেই প্রায় পুকুরে কাঁচা পাকা সকল প্রকার কলা গাছ লাগানো হয়। আর এখন তো রোজার সময় এসে গেছে পাকা কলা গুলো বেশি কাজে লাগবে। তবে অনেকে কাঁচা কলা ছেনা করে খেতে পছন্দ করে রোজার মধ্যে। আর এভাবেই চলতি পথে রেনডম ফটোগ্রাফি করে ফেললাম।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
ধন্যবাদ সকলকে।
আজকে প্রথম আপনার ফটোগ্রাফি পোস্টগুলি দেখলাম এবং প্রথম অবস্থায় বেশ দুর্দান্ত ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো এবং স্যালো মেশিন শীতের সময় আপনি তুলে ধরেছেন দেশ দারুনভাবে এবং পুকুর পাড়ে পাঁতিহাস এটা সব জায়গায় দেখা যায়, এরা পুকুরে থাকতে বেশি ভালোবাসে এবং চোখের সামনে ধান গাছ লাগানো দেখতে পারতেছি, অনেক সুন্দর ভাবে গ্রামীণ পরিবেশ দেখিয়ে দৃষ্টি জুড়িয়ে গেল। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
পুকুরে যেতে যা চোখে বেধেছে তাই ছবি তুলেছি।
পুকুর পাড়ে গিয়ে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন দেখছি। পুকুর শুকিয়ে গেছে আবার অন্য একটি পুকুরের চারিপাশে কলার বাগান দারুন একটা পরিবেশ । এরকম পরিবেশ সবারই করা উচিত। পুকুর পাড়ে গড়ে তোলা ভালো লাগলো আপনার করা ফটোগ্রাফি সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া আমাদের পুকুর পাড়ে বিভিন্ন রকমের সবজি কাজ রয়েছে। বিকেলে গেলে খুব ভালো লাগে।
গ্রাম্য পরিবেশের কিছু সৌন্দর্য ফোন ক্যামেরার মাধ্যমে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে সবুজ ধানক্ষেতের দৃশ্যটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। চমৎকার ছবিগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ সত্যি বলেছিলেন গ্রাম্য পরিবেশের মধ্যে আলাদা একটা সুন্দর মায়া লুকিয়ে আছে। আমার পোস্টটি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
সবজি উত্তোলন করার জন্য পুকুর পাড়ে যেতে গিয়ে দারুণ কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। প্রাকৃতিক দৃশ্যের এবং গ্রামের দৃশ্যের এই সুন্দর ফটোগ্রাফি এগুলো দেখে আমি মুগ্ধ সত্যি বলতে গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো বরাবরই দেখে আমি মুগ্ধ হই। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে চমৎকার উপস্থাপনার মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য।
মাঝেমধ্যে সবজি উত্তোলন করতে যেতে আমারও ভালো লাগে ভাই।
বিভিন্ন ধরণের রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন। সেলো মেশিন দেখে ছোট বেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। ছোট বেলায় গরম এর দিনে বন্ধুদের সাথে মেশিন এর পানি দিয়ে অনেক গোসল করেছি। সোনালী দিন গুলোর কথা মনে পড়লে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
ও আচ্ছা, সুন্দর কথা বলেছেন।
পুকুর পাড়ে যাওয়া অবস্থায় আপনি অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি বেশ ভালো হয়েছে। ফটোগ্রাফি আমিও করতে অনেক পছন্দ করি। ফটোগ্রাফি সম্পর্কে সুন্দর বর্ণনাম দিয়েছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ফটোগুলো ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম
আমাদের পুকুরপাড় থেকে তোলা সব কয়টি ফটোগ্রাফি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। বিশেষ করে পুকুরে পানি দেওয়ার ফটোগ্রাফিটি এবং আমাদের পুকুরের পাশে অবস্থিত সবুজ ধান ক্ষেতের ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। এভাবে আরো সুন্দর সুন্দর দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করতে হবে।
আমারও ভালো লাগে।
পুকুর পাড়ে যাওয়ার সময় বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আজকে আমাদের মাঝে তুলে শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে দেখতে বেশ অসাধারণ হয়েছে। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে কাঁচা কলার ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি চেষ্টা করেছি বিভিন্ন প্রকার ছবি ধারণ করতে।
অনেকগুলো গ্রামীন পরিবেশের ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এ ধরনের প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির সাথে দারুন ভাবে বর্ণনা গুলো লিখেছেন। অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমারও অনেক ভালো লাগে আপু।
আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে গ্রামেএ পুকুর পারের সুন্দর দৃশ্য গুলো ফুটে উঠেছে।খুবই সুন্দর হয়েছে আপনার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য । শুভ কামনা রইলো।
দোয়া করবেন যেন আরো সুন্দর সুন্দর পোস্ট শেয়ার করতে পারি।