কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। বৃষ্টির দিনে বৃত্তিতে মাছ পাওয়া সুন্দর অনুভূতি নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম।
বৃষ্টি হচ্ছে আমার একটি মুহূর্ত। আমি ঘরের মধ্যে বসে রয়েছি, আমার ছেলেটা বেশ চঞ্চল তাই ছুটে বেড়াচ্ছে। সে বাচ্চা হলেও বুঝতে পারছে আব্বা ছোট বাবা বৃষ্টির মুহূর্তে বাইরে গেছে কখন ভেতরে আসবে। হঠাৎ তারা ফিরলো বৃত্তি তে ছোট মাছ নিয়ে। এ দেখে আমার ছেলে এতটাই খুশি তার তাকালেই বোঝা যায়। আর এই মুহূর্তে বাড়িতে তিন চারটা বিড়াল ধানের গোলার নিচে শুয়ে। তাই আমার বাবুকে বললাম আব্বা মাছ পাহারা দাও আমি রান্নাঘর থেকে আসি। রান্নাঘর থেকে ফিরে দেখলাম ছেলে আমার কত সুন্দর করে বসে পাহারা দিচ্ছে।
এই মুহূর্তে ওর ছোট আব্বা, সুমন ভাইয়া এসে বলছে আব্বা আমাকে কিছু দাও। ছেলে কিছুতেই তাকে মাছ দিবে না। একটা একটা করে মাছ দিচ্ছে। যে মানুষ মাছ ধরে আনলো তার হাতে মাছ দিতে চাচ্ছে না, সত্যি কত আনন্দ হচ্ছিল তার এমন দেখে তখন।
ছোট এই মাছ আমাদের সকলের অনেক প্রিয়। হয়তো একটু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে ঝামেলা হয় কিন্তু রান্নার শেষে সবাই মজা করে খেতে পছন্দ করে। তাই মাছগুলো হঠাৎ বৃষ্টির কারণে পুকুর থেকে পাওয়াই খুবই আনন্দ লাগছিল সবার।
দিনটা বৃষ্টি মুখর পরিবেশ হলেও ছোট ছোট এই মাছগুলো পাওয়ার পর, আমার ছেলের জন্য মনে হয়েছিল ঈদের দিন। মাছগুলো তাকে পাহারা দিতে দিয়েছি তাই মাছগুলো তার হয়ে গেছে। শুধু মাছ নয় বৃত্তিটাও শেয়ার তার বাপ চাচাদের দিবে না। যখন যেটা হাতে ধরতে যাওয়া হচ্ছে তখন কাউকে দিতে চাচ্ছে না। ভেজা বৃত্তি সে তো ঘরের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। এমন সময় তার হাতে কাদা লেগে যায়। তারপর তার হুশ হলো এটা আমার জন্য নয়। অতঃপর সে বৃত্তি টা বের করে এনে তার ছোট আব্বার হাতে দিয়ে দিল এমনিতেই।
বৃত্তি টা হাতে পাওয়া মাত্র তার ছোট আব্বা গোলার সাথে রেখে দিল। হাসিমুখে ভাইয়া বলল, আগে স্বাধীনভাবে কাজ করেছি এখন পিচ্ছি আব্বার পারমিশন নেওয়া লাগছে।
এরপর রাজ বাবুর কাছ থেকে মাছগুলো নিয়ে দ্রুত কুটে ধুয়ে ফেললাম রান্নার উদ্দেশ্যে। এরপর রাতে সবাই একত্রে খেলাম। আমার ছেলের পাগলামিতে পরিবারের সবাই কমবেশি আনন্দ পায়, আর এটা আমারও খুব ভালো লাগে।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আপনাদের পারিবারিক কিছু মুহূর্ত দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার ছোট ছেলে বেশ ভালো, কী সুন্দর করে বসে বসে পাহাড়া দিচ্ছে দেখে আমার ভীষণ হাসি পেলো আপু। আর তার কী আগ্রহ এই মাছের প্রতি। মাছগুলো মনে হলো পুটি মাছ। আসলেই এই মাছগুলো কাটতে ঝামেলা। তবে খেতে ভীষণ মজার! আর আপনার পোষ্ট এ কিছু বানান ভুল রয়েছে। পোষ্ট টি আবারো পড়ে ঠিক করে নিবেন আপু।
আমার ছেলে মাছ খুবই পছন্দ করে।
আপনার বাচ্চাকে দেখে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আপু। আপনার ছোট ছেলেটা খুব সুন্দরভাবে মাছ নিয়ে বসে আছে। মনে হচ্ছে যেন পাহারা দিচ্ছে। এ ধরনের সুন্দর মুহূর্তগুলো অনেক স্মৃতিময় হয়ে থাকে। আমার কিন্তু পুঁটি মাছ খুবই প্রিয়। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে পুঁটি মাছ কিনে বাড়িতে নিয়ে আসি। এবং সেগুলো ভাজা করে দিলে আমি মজা করে খেয়ে থাকি। পুরো উপস্থাপনাটা আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
মাছ পেলে ও মেতে যায়। কত রকমের পাগলামি করতে থাকে।