জেলেদের মাছধরা দেখার অনুভূতি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। পোস্টের টাইটেল পড়ে বুঝে গেছেন আজকে আমি কি বিষয়ে পোস্ট করতে চলেছি। হ্যাঁ আজকে আমি আপনাদের মাঝে আবার উপস্থিত হয়েছি মাছধরা দেখা সুন্দর অনুভূতি নিয়ে। আশা করব সমস্ত পোস্ট জুড়ে আপনারা থাকবেন পড়বেন এবং জানবেন অনেক কিছু।
আমাদের সকলের বেশ প্রিয় জিনিস মাছ। মাছ আমরা সবাই কমবেশি পছন্দ করে থাকি। আমাদের দেশে বিভিন্ন রকমের মাছ পাওয়া যায়। আবার অনেক জায়গায় বিভিন্ন রকমের মাছ চাষ হয়ে থাকে। আমাদের এলাকায় আমি লক্ষ্য করে দেখেছি পাঙ্গাস আর তেলাপিয়া মাছ প্রধান। এছাড়া সিলভার গ্লাস কাপ কাতলা জাপানি মৃগেল বাটা সরপুটি কালবাউশ সহ হরেক রকমের মাছ চাষ হয়ে থাকে। তবে সমস্ত মাছের মধ্যে পাঙ্গাস আর তেলাপিয়া মাছ যেন বেশি হয়ে থাকে। একদিন হঠাৎ জানতে পারলাম আজকে আমাদের পুকুরে মাছ ধরবে। তখন আমি কাপড় কাঁচা জন্য প্রস্তুতি নিছিলাম। তখন জানতে পারলাম জেলেরা অলরেডি চলে এসেছে। আমি তাড়াহুড়ো করে আমার কাজকর্ম গুছিয়ে ঘর গুছিয়ে পুকুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেব। আমাদের পুকুরগুলো বাড়ি থেকে বেশি দূরে নয়। তবে মাঠের মধ্যে এটা সত্য। প্রতিনিয়ত চলাচল মানুষজন থাকেন বাগানে। এজন্য এখন আর আগের মত তত একটা কিছু মনে হয় না। সব সময় ছেলে মানুষ মেয়ে মানুষের উপস্থিতি থাকে। তাই বাড়ির পুরুষ সদস্যরা দ্রুত চলে গেল আমিও বললাম কিছুক্ষণের মধ্যে আমি এসে উপস্থিত হব। এদিকে মোবাইলে বেশি চার্জ ছিল না। ঝটপট মোবাইলটা তো কিছু চার্জ করে নিলাম। এরপর রওনা দিলাম পুকুরের উদ্দেশে। দেখলাম বাগানের মধ্যে জেলে ভাইয়েরা তাদের ভ্যান গাড়ি গুলো রেখে দিয়েছে। তারা মূলত বিভিন্ন গাড়ির করে মাছ নিয়ে যায়। এই সমস্ত দেখতে দেখতে পুকুরের উপস্থিত হয়ে দেখলাম এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে জাল টেনে নিয়ে চলে গেছে, মাছ ঘেরাও করা হয়ে গেছে। ঐদিন যেন বড় মিস করে ফেললাম প্রাথমিক পর্যায়ের দৃশ্য দেখতে না পেরে। আরো জানতে পারলাম পুকুরের মধ্যে জাল দুইবার টানা হয়েছে। প্রথমবার মাছ কম উঠেছিল পুকুরের মাঝখানে বাঁশ কুঞ্চি বেঁচে গেছিল তাই। ব্যস্ততার জন্য আর মোবাইলে চার্জ কম থাকার জন্য দেরি করে আসা হয়েছিল। তাই মাছ ধরার মুহূর্তটা দেখার সৌভাগ্য হলো না।
তবে লক্ষ্য করে দেখলাম যে যার মত মাছ ধরেছে। সে মাছগুলো ডিজিটাল কাটা মেপে নেওয়ার জন্য পুকুরের ওই প্রান্ত থেকে এই প্রান্তে হাঁড়ি হাতে করে ভাসিয়ে নিয়ে চলে আসছে। পুকুরে জেলেদের এমন দৃশ্যটাও দেখতে বেশ ভালো লাগে। জানো প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে এক অন্যরকম ভালোলাগা খুঁজে পাওয়া যায় সেখানে। যে যার মত ছুটে চলে আসছেন এবং ছোট ছোট পোনা জাতীয় মাছ গুলো হাড়ের মধ্যে লাফিয়ে পড়েছে সেগুলো বের করে দিচ্ছেন। আকাশে রোদ থাকায় চারপাশে গাছ থাকায় ফটোগুলো যেন মনমুগ্ধকর হচ্ছিল। আর আমি যে সমস্ত ফটো ধারণ করতেই ব্যস্ত হয়ে পড়লাম এবং সম্পূর্ণ মাছ ধরা দেখতে না পাওয়ার খারাপ লাগাটা ফটো ধারণের মধ্যে দিয়ে মন থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করলাম। তবে মাছ ধরার দুইটা পর্ব থাকে। একটা হচ্ছে মাছ ধরা আর একটা হচ্ছে মাছ মাপার বিষয়। তবে এটা চান্স ছিল মাছ মাতা তো দেখতে পারবো। দূর থেকে একটু সাইট থেকে মাছগুলো মাপা দেখা যায় মাঝেমধ্যে লক্ষ্য রাখা যায় জেনে রাখ ঠিকঠাক ভাবে মাছ মেপে নিচ্ছে কিনা। অর্থাৎ বাড়ির একজন সদস্য দেখাশোনার জন্য পাশে থাকলে পারে ভালো হয়।
এরপর শুরু হয়ে গেল মাছ মাপার সময়। আমিও সবজি বাগানের বেড়ার পাশ থেকে ক্ষত ধারণ করতে থাকলাম দেখতে থাকলাম তাদের কার্যক্রম। একদিকে মাছ মাপার কার্যক্রম চলতে থাকলো। আর একদিকে জেলেরা তাদের মাছগুলো কুকুরের মধ্যে থেকে হাঁড়ি টেনে উপরে আনতে থাকল। আবার অনেকেই বলতে থাকলো মাছের গায়ের বিজলি কাটাতে হবে তাই কেউ মাটিতে মাছ ঢেলে ফেলল। কেউ নেটের উপর মাছ ঢেলে রাখল। আবার অনেকেই হাড়ির মধ্যে মাছগুলো রেখে হাঁড়ি আলগা করে রাখল যতক্ষণ না তাদের মাছ মাপার পর্ব আসলো। এদিকে রাজের আব্বা আর জেলেদের হালদার বা প্রধান যিনি দুইজন একসাথে মাছ মাপার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। আজকে রাজ্যের দাদু ভাই খাতায় লেখার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। আর এদিকে আমি চেষ্টা করছিলাম ফটো ধারণ করতে এবং দেখতে। ওদিকে ছোট ভাইয়া উপরে কঞ্চি ফেলায় ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। অর্থাৎ আমরা আমাদের নিজ নিজ দায়িত্বে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম তখন। আর এভাবেই একটা মুহূর্তে মাছ মাপার কাজ সম্পন্ন হল। এছাড়া যে সমস্ত ফটো ধারণ করেছি পরবর্তীতে শেয়ার করব।
ধন্যবাদ সকলকে
বিষয় | মাছ |
---|---|
স্থান | জুগীরগোফা |
লোকেশন | জুগীরগোফা,গাংনী-মেহেরপুর |
মোবাইল | Infinix Hot 11s |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
দেশ | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
👋 I am @xpilar, fully committed to driving the growth and innovation of the STEEM ecosystem. Through the development of BotSteem and the World of xpilar community, now with over 25,000 members, we reward content creators with $2000 every day and continuously push the boundaries with new tools, bots, and automations. Your support is crucial in this journey! Please take a moment to visit the witness voting page and cast your vote for xpilar.witness. Together, we can strengthen STEEM and build a brighter future for all. 💪
If you wish to stop receiving further comments from me, please reply with stop.
Please also feel free to visit my profile: @xpilar to stay connected and learn more about my journey.
Note: This comment is made under the promotion of @xpilar.witness witness campaign and is followed by automatic curation of this post from @xpilar.witness and @steem.botto.
ওয়াও আপু আপনি মাছ ধরা দেখার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভোরে অনেক ভালো লাগলো। ছোটবেলায় পুকুরের পাড়ে দাঁড়িয়ে মাছ ধরা দেখতাম সেই সময়টা এখন খুব মিস করি। আপনাদের এলাকায় পাঙ্গাস মাছ আর তেলাপিয়া মাছ বেশি চাষ করা হয়। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া সুযোগ পেলে আমি এখনো দেখি
আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন জেলেদের মাছধরা দেখার অনুভূতি। আসলে আমিও নিজে চোখে বেশ অনেকবার দেখেছি জেলেদের মাছ ধরা। আপনাদের পুকুরের পাঙ্গাস মাছগুলো দেখতে বেশ বড়। এত সুন্দর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ দেড় থেকে ২ কেজি সাইজ ছিল
মাছ ধরার এরকম মুহূর্ত গুলো সামনাসামনি কখনো দেখা হয়নি। আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেক মাছ ধরা হয়েছে দেখছি। আপনার অনুভূতিগুলো পড়ে ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো । সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
চেষ্টা করবেন দেখার জন্য
আপু মেয়েদের ঘর থেকে বের হতে গেলে একটু দেরি তো হয়েই যাবে। সংসারের সবকিছু শেষ করে রেখে যেতে যেতে আপনার মাছ ধরা প্রথম অংশটুকু দেখতে পারিনি। তাতে সমস্যা কি আমার কাছে তো যখন সবগুলো মাছ একত্রে লাফালাফি করে সেই সময়টা সবথেকে বেশি ভালো লাগে। জেলেদের মাছ ধরা দেখার সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ সংসারের কাজের জন্য দেরি হয়ে যায়
জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য গুলো খুবই মজার ব্যাপার কারণ তারা খুবই যত্ন সহকারে মাছগুলো ধরে থাকেন। আর আপনি খুব সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করে সেই দৃশ্যটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। মনে হচ্ছে আমি নিজেই সেখানে উপস্থিত হয়েছি আপু।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন আপনি
মাছ ধরার দৃশ্য গুলো দেখতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। যখন গ্রামের বাসায় যেতাম তখন এরকম দৃশ্য অনেক দেখা হতো। এখন আর সেভাবে দেখার সুযোগ হয় না। আপু আপনি যেহেতু গ্রামের বাসায় থাকেন তাই তো এই সুন্দর সময় গুলো উপভোগ করতে পারেন।
ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে চমৎকার একটি অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আসলে এভাবে যখন জেলেরা পুকুরে মাস্টার দেখতে খুবই ভালো লাগে। এমন দৃশ্য অনেকবার দেখার সুযোগ আমার হয়েছে। মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবে এটা দেখতে খুব ভালো লাগলো।
বেশ ভালো কথা