কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম পুকুরপাড়ের শিম উত্তোলনের মুহূর্তের সুন্দর একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি আমার এই পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে।
editing by college maker GridArt
আপনারা অনেকেই জানেন এবার আমাদের পুকুর পাড়ে অনেক শিম হয়েছিল। আর সেই শিম উত্তোলন করার জন্য আমাদের পরিবার থেকে তিন চার জন চলে যেতাম খাওয়া দাওয়া শেষ করে পুকুরপাড়ে। প্রচন্ড গরমের মুহূর্তের শিম উত্তোলন করাটা একটু আমাদের জন্য কঠিন থাকলেও, পুকুর পাড়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ আমাদের জন্য ছিল মনোমুগ্ধকর। কারণ পুকুর পাড়ে এসে শাকসবজি উত্তোলন করার মুহূর্তে আমাদের মন হাসিখুশি থাকতে এবং আনন্দের সাথে কাজ করতে পারতাম। তবে মাঝেমধ্যে আমার বাবু একটু বিরক্ত করতো, তার মধ্যেও ছিল অন্যরকম আনন্দ। প্রথমে আপনারা যেই বাগানটা দেখতে পাচ্ছেন এটা আমাদের সবচেয়ে ছোট বাগানটা।
তবে সারা বাগান জুড়ে এবার শিম গাছ লাগানো হয়েছিল। এখানে 8 থেকে 10 টা গাছ ছিল শিমের। গাছগুলো এত সুন্দর ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল যে সম্পূর্ণ বান ধরে শিমের বান তৈরি করে দেয়া হয়েছিল, সেই সমস্ত বান অতিক্রম করেও শিম গাছ লাস্টের দিকে ছোট্ট বাঁশের ঝাড় রয়েছে, সেখানে উঠে পড়েছিল। আর দূর থেকে শিমের ফুল ফুটে থাকা দেখতে বেশ ভালো লাগতো, বান সহ বাঁশ ঝাড়ের গায়ে। ফটো দেখে আপনারা যতটুকু সৌন্দর্য দেখতে পাচ্ছেন, তার চেয়েও অনেক গুণ বেশি সৌন্দর্য ছিল আমাদের এই বাগানের পরিবেশ। যে এই জায়গায় উপস্থিত হয়েছে একমাত্র সেই বলতে পারবে তার সৌন্দর্যের কথা।
শিম গাছের নিচে গেলে হয়তো সৌন্দর্য ভালো বোঝা যায় নায় কিন্তু এপাশ থেকে ওপাশ থেকে বেশ ভালো লাগতো দেখতে। কারণ চারিপাশে সবুজ পাতা তার পাশ দিয়ে শিষ বের হতো এবং ফুল ফুটে থাকত। এরপর জায়গায় জায়গায় সিম ধরত এই তিনটা জিনিসের সৌন্দর্য ফুটে উঠতো প্রতিনিয়ত। তাই শিম উত্তোলন করতে গেলে প্রথমেই ফটো ধারণ করার চেষ্টা করতাম। এমন কি বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে ফটো ধারণ করেছি।
শিম উত্তোলনের মুহূর্তে আমরা যে যার মত সুবিধা বুঝে হাতের কাছে পাত্র অথবা ব্যাগ রেখে দিতাম। কারণ এই মুহূর্তে জায়গায় জায়গায় এত বেশি শিম থাকতো, একবারে হাত লাগালে এক মুঠো উঠে আসতো। এক কথায় বলতে গেলে একবারে একপোয়া করে পাওয়া যেত। এইজন্য সাথে সাথে পাত্রের মধ্যে রাখতে হত। আমি সব সময় গামলা কাছে রাখতাম। আর এভাবেই তার মধ্যে রাখতাম। এতে বেশ সুবিধা হতো আমার জন্য।
আর ঠিক এভাবেই পুকুরপাড়ের প্রত্যেক শিম বান থেকে শিম উত্তোলন করে বড় একটি বস্তা লোড করতাম। অর্থাৎ প্রথম বান থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত চলে যেতাম, একদিনে যতটা উত্তোলন করা সম্ভব হয় সে চেষ্টা করেছি। আর এভাবে প্রায় বস্তা লোড হয়ে যেত এরপর আমরা বাগান তালা মেরে বাইরে বের হয়ে আসতাম। অবশেষে বস্তা মাথায় করে রাজের ছোট আব্বু অথবা রাজের আব্বু নিয়ে আসতো। আর ঠিক সেই সাথে বাবুর সুন্দর ছবিও উঠাতাম।
এরপর বাড়িতে এনে সানের উপর রেখে দেওয়া হয়। যেন শিম গুলো বস্তার মধ্যে থেকে ভাবসে না যায়। থাকার জায়গায় রাখলে আলো বাতাস লেগে ভালো থাকে। এরপরে নিজেদের খাওয়ার মত রেখে দিয়ে শিম গুলো বাছাই করে পরবর্তী দিন ভাইয়া অথবা রাজার আব্বু নিয়ে চলে যেত আড়োতে। আর এভাবে আমাদের সুন্দর শিম উত্তোলনের মুহূর্ত অতিবাহিত হতো এবং কাজ শেষ হতো।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বিষয় | পুকুর পাড়ের শিম |
লোকেশন | Location |
মোবাইল | Infinix Hot 11s |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
ফেলে আসা সেই দিনের সুন্দর স্মৃতি ব্যক্ত করতে দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার। খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন শীতের মুহূর্তের শিম তোলার অনুভূতি। রাজ আমাদের পাশে থাকলে বেশ ভালো লাগতো। হয়তো মাঝেমধ্যে একটু দুষ্টামি করতো তবুও আনন্দে থাকতাম।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া
আপনার পোস্টটি পড়ে আমি মুগ্ধ হয়েছি! পুকুর পাড়ের শিম উত্তোলনের এই সুন্দর মুহূর্তগুলো আপনি যেভাবে বর্ণনা করেছেন, তা সত্যিই অনুপ্রেরণামূলক। প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে আপনার আনন্দের বর্ণনা পাঠকদের মনে এক অনন্য ছবি এঁকে দেয়। এটা একদমই ভিন্নমাত্রার একটি পোস্ট, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এর জন্য।
হ্যাঁ আমাদের পুকুর পাড়ে এভাবেই সবজি উৎপাদন করা হয়
আপনার পোস্টটি পরে আগেকার দিনের কথা মনে পরে গেলো আপু। ছবিতে শিম গাছ গুলো দেখেও বেশ তাজা তাজা লাগছে। যাই হোক , আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু
এই শিম কে নিয়ে খুব সুন্দর সুন্দর ব্লগ দেখেছি আপনাদের মাধ্যমে। তাছাড়াও সুমন ভাইয়ের মাধ্যমে খুব সুন্দর ভিডিও দেখেছিলাম। আজকে আপনি শিম উত্তোলনের ব্লগ শেয়ার করলেন অনেক ভালো লাগলো। আপনি তো দেখছি অনেক গুলো শিম তুললেন গাছ থেকে। এরকম ফ্রেশ শিম দিয়ে ভর্তা খেলে খুবই ভালো লাগবে। তাছাড়া মাছের সাথে খেতে ভালো লাগবে। বিস্তারিত পড়ে ভালো লাগলো।
ও আচ্ছা আমরা তিনজনই ফটো ধারণ করতাম ভিডিও ধারণ করতাম
আপনার নিজের গাছের শিম উত্তোলন করা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার ৮ থেকে ১০ টি গাছের অনেকগুলো শিম তুলেছেন। আসলে তাজা সবজি খেতে কার না ভালো লাগে। আপনি প্রতিটি গাছের ফটোগ্রাফি বেশ সুন্দরভাবে করেছেন। পুকুর পাড়ে গাছ থাকলে সে গাছের সৌন্দর্য দ্বিগুণ হয়ে যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এবার অনেক খেয়েছি আপু
নিজেদের শিম বাগান থেকে শিম সংগ্রহ করার দারুন অনুভূতি শেয়ার করলেন আপু। আসলে নিজের বাগান থেকে যে কোন সবজি বা ফল সংগ্রহ করতেই অনেক ভালো লাগে। আপনাদের পুকুর পাড়ে অনেক শিম গাছই দেখলাম। অনেক গুলো শিম সংহগ্রহ করেছেন। ধন্যবাদ।
এবারও ইনশাল্লাহ হবে
অসময়ের শিম দেখে অনেকটাই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। পরে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝলাম এগুলো শীতকালের ছিল। বেশ ভালোই শিম ধরেছে দেখছি গাছে।নিজেদের কাছ থেকে এমন সবজি তোলার মজাই আলাদা। নিজেদের গাছ থেকে শিম তোলার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু এগুলো শীতের