কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আমাদের দেশ বিভিন্ন প্রকার ফলের গাছে সমৃদ্ধ। আর এই সময় গ্রামবাংলায় গাছে গাছে লক্ষ্য করা যায় ফল ধরে রয়েছে। ঠিক তেমনি তিন প্রকার ফলের সুন্দর ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশা করব গাছে ঝুলন্ত এর ফলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনাদের ভালো লাগবে। পাশাপাশি বর্ণনা পড়ে অনেক কিছু জানবেন।
photography device: Huawei P30 Pro-40mp
প্রথমে আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি আমের ফটোগ্রাফি এবং আমের গাছ। আপনারা এই মুহূর্তে যে আমগাছটা দেখতে পাচ্ছেন এটা আমাদের আমগাছ এবং এটা আমার রান্না ঘরের পাশে অবস্থিত। আমাদের বাড়িতে সব আম গাছের আম ফুরিয়ে গেছে কিন্তু এই গাছের আম এখনো কিছু রয়েছে। এই ফটোগুলো বেশ অনেকদিন আগে আমি ধারণ করেছিলাম আমার মোবাইল ফোনে। আমাদের এই গাছটাতে এত এত বেশি আম ধরেছে তা বলার কথা ছিল না। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয়ে প্রচণ্ড গরমে দিনে দিনে অনেক আম ঝরে গেল। তবে তার মধ্যেও অনেক আম ছিল আমাদের এই গাছে। এখনো কিছু রেখে দেয়া হয়েছে ভাইয়ারা বাড়ি আসলে পারে তখন পাড়া হবে। অন্যান্য আম গাছের আমের তুলনায় এই গাছের আমগুলো বেশ স্বাদ হয়ে থাকে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে এই আম গাছের নিচে যে ছাপড়া এখানে বসে আমরা গরমের দিন চেয়ার টেবিলে বসে পোস্ট কমেন্ট চ্যাটিংয়ের কাজ করি। তাই বলতে পারেন আমটাও যেমন আমাদের প্রিয়, স্থানটাও তেমন প্রিয়।
এবার আত্মীয় স্বজনের বাসায় যাওয়ার পথে কাঁঠাল গাছ গুলোতে এত এত কাঁঠাল দেখেছি,দেখে অবাক হয়ে যেতাম। এর আগে কোন বার এমন ভাবে কাঁঠাল দেখেছি বলে মনে হয় না। আবার মাঝে মাঝে মনে হয় ভেরিফাইড হয়েছি, এরপর ফটো ধারণ করা শুরু করেছি বলে হয়তো চোখে বেশি বাধে। তবে এটা কিন্তু বিশ্বাস করতে হবে যেখানেই গেছে সেখানেই গাছে গাছে এমন কাঁঠাল দেখেছি। আপনারা ফটোতে যেই কাঁঠাল গাছ গুলো দেখতে পাচ্ছেন তাই একটা ফটো চার জায়গার গাছের। একটা আমার খালাম্মার বাড়ি থেকে আসতে পথে কাঁঠাল গাছের ফটো ধারণ করেছিলাম এটা বামুন্দি এলাকা। আর একটা কাঁঠাল গাছের ফটো ধারণ করেছিলাম এটা শহড়াবারিয়া এলাকা। আর ঠিক এমনই দুইটা স্থান এরিয়ার মধ্যে থেকে চারটা গাছের কাঁঠাল। তবে গাছগুলো যে পাশাপাশি গাছ তা কিন্তু না অনেক দূর দূরান্তের গাছ। আমি একটা জিনিসই বেশি খেয়াল করেছি কাঁঠাল গাছ মানে কাঁঠালের পরিপূর্ণ এবার। তবে আমাদের গ্রামে কিন্তু কাঁঠাল গাছে এত বেশি কাঁঠাল হয়নি। এছাড়া আমাদের গ্রাম পার হয়ে গেলে যেদিকে তাকিয়েছি, সেদিকেই কাঁঠাল গাছে এমন অবস্থা। তবে বলতে পারি এগুলো সম্পূর্ণ আল্লাহর রহমত বা বরকত। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের এলাকার মাটি এত উর্বর করেছে যে ফল গাছগুলোতে এমন সুন্দর ফল ধরেছে। এর চেয়ে সৌভাগ্য আর কি হতে পারে।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বেশ কিছু তাল গাছে তালের চিত্র। অন্যান্য ফলের মত তাল আমি খুবই পছন্দ করে থাকি। বিশেষ করে তালশাঁস খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কম রয়েছে। তবে আপনারা জেনে খুশি হবেন যে আমাদের দুইটা তালগাছ রয়েছে, সেই দুইটা গাছে অনেক অনেক তাল ধরেছিল এবার। আর এই মুহূর্তে যে তাল গাছের ফটো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি সেটা খালাম্মার বাসা থেকে বাড়ি ফিরতে পথে ধারণ করেছিলাম। আর এদিকে একটা ধারণ করেছি আমাদের পাড়া থেকে। আমাদের গ্রামে বেশ অনেক তালগাছ রয়েছে। কিন্তু মায়ের গ্রামে তালগাছ দেখা যায় না। তালগাছ প্রত্যেকটা গ্রামে বেশি বেশি থাকা প্রয়োজন। এমনিতে এ বিষয়ে সরকার মানুষকে সজাগ করে। কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে তালগাছ আমাদের বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সবকিছুর রক্ষাকর্তা মহান সৃষ্টিকর্তা,তাই মহান সৃষ্টি কর্তা এমন কিছু সৃষ্টি করে রেখেছে সেগুলো মানুষের খুব উপকারে আসে। ঠিক তেমনি তাল গাছ অন্যতম।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
তিন প্রকার ফল গাছের ফল সহ দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন। কাঁঠাল গুলো দেখতে বেশ চমৎকার লাগতেছে। অনেকে কাঁঠাল ধরেছে। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি কাঁঠালের ছবি তুলে ধরেছেন ও তিন প্রকার ফল গুলো বেশ দারুন ছিল খেতেও বেশ ভালো লাগে। দারুন লাগলো আপনার অনুভূতি।
বর্তমান আম আর কাঁঠালের সিজন চলতেছে। বর্তমান সময়ে প্রতিটি আম এবং কাঁঠালের গাছের মধ্যে আম কাঁঠাল দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।আর যে কোন ফল গাছের ফল দেখতে পারলে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি দেখছি আজকে বেশ কয়েকটি ফল গাছের ফল সহ আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা প্রতিটি ফল গাছের ফল সহ ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে।
আসলে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় যে কোন ফল দেখতে খুব ভালো লাগে। গাছে তো বেশ কাঁঠাল ধরেছে দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তালশাঁস দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আসলে আগে বন্ধুরা সবাই মিলে পড়ন্ত বিকেলে তালশাঁস খেতাম। গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় কাঁচা আমের ফটোগ্রাফি দুর্দান্ত হয়েছে । এত অসাধারণ ফলের ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আপু আপনি। তিন প্রকার গাছের ফল এবং গাছের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন অসাধারণ লেগেছে। আম গাছের ফটোগ্রাফি, কাঁঠাল গাছের ফটোগ্রাফি এবং তাল গাছের ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো। প্রতিটি গাছের মধ্যে সুন্দর সুন্দর ফল দেখা যাচ্ছে।
এই সময়টা ফলের মাস। সব ধরনের গাছই ফলে একদম পরিপূর্ণ থাকে। আপনি আজকে খুব সুন্দর গাছের ফটোগ্রাফি করেছেন। আমার কাছে তালসহ তাল গাছের ফটোগ্রাফিটা খুব ভালো লেগেছে। তাছাড়া কাঁঠাল গাছও দেখছি অনেক কাঁঠাল ধরেছে। এখনতো পাকা আমের সময় চলে এসেছে কাঁচা আম দেখে লোভ লেগে গেল আপু। ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
বাহ একসাথে ফলসহ তিন প্রকার গাছের ফটোগ্রাফি দেখে আমাদের কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এখানে আমরা দেখতে পেলাম আম গাছে অনেক সুন্দর সুন্দর আম ঝুলতেছে। আবার দেখলাম রাস্তার পাশে বাগানে কাঁঠাল গাছে প্রচুর কাঁঠাল ধরে আছে। এবার মনে হচ্ছে কাঁঠালের ফলন বেশি হয়েছে। আবার সব শেষে দেখলাম তালগাছে প্রচুর তাল ধরেছে। সবকিছু দেখে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
আপনি তো তিন প্রকারের ফল গাছের এবং ফলসহ চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো আমার কাছে। তবে তাল গাছের তাল গুলো যদি খেতে পারতাম বেশ ভালো লাগতো। সুন্দর ফটোগ্রাফি করে সুন্দর বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কাঁঠাল গাছগুলোতে সত্যি অনেক কাঁঠাল হয়েছে। আর এই সময় অনেক রকমের ফল দেখা যায়। আপু আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। দারুন সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে।
এখন নানা রকম ফলের মৌসুম যেদিকে চোখ যায় সেদিকে শুধু নিত্যনতুন ফল আর ফল। আপনি বেশ সুন্দর সুন্দর ফল সহ ফলের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।