মোবাইল ফোনে ধারণ করা বিভিন্ন ফটোগ্রাফি
রেনডম ফটোগ্রাফি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। বিভিন্ন প্রকার রেনডম ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মনে করি, আমার এই ফটোগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
প্রথমে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম রাতে তোলা মাধবীলতা ফুলের ফটোগ্রাফি। আমাদের এখানে বেশ বড় একটি মাধবীলতা ফুলের গাছ রয়েছে। সেই গাছটায় অনেক অনেক ফুল ফুটে থাকে। মাধবীলতা ফুল আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। কারণ এই গাছটা লতা জাতীয় হয়ে থাকে আর প্রচন্ড ঝগড়া হয়। সারা গা জুড়ে এই ফুল ফুটে থাকে। মাধবীলতা গাছের ফুলগুলো দুই কালারের হয় আরো সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। তাই এই ফুলটা আমার কাছে অতি প্রিয়।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন লাউ ফুলের ফটোগ্রাফি। লাউ বারোমাসি একটা সবজি। এই সবজিটা আমি খুবই পছন্দ করে থাকি। সবুজ গাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে এমন সাদা সাদা লাউয়ের ফুল ফুটে থাকে। তবে এ ফুলগুলো দীর্ঘস্থায়ী নয়। অনেক সুন্দর ভাবে রাঙিয়ে তোলে বিকেল সন্ধ্যার মুহূর্ত লাউ হলে। কারণ বিকেল বেলা থেকে লাউ ফুল ফোটা শুরু হয়। এই ফটোটা ধারণ করেছিলাম আমাদের লাউএর বান থেকে।
এ মুহূর্তে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বেশ কিছু রাজহাঁস। এগুলো পাড়া থেকে আমাদের বাড়ির দিকে চরাই করতে আসে। বেশ ভালো লাগে এই হাঁসগুলো। তবে মাঝেমধ্যে এরা ঠকানোর জন্য চেষ্টা করে। সেটা খুব আতঙ্ক মত মনে হয় আমার কাছে। আমি নিজেও এই হাঁস পুষেছি। তবে মাঝেমধ্যে কেন জানি আতঙ্ক মনে হয় যখন ঠুকাতে যায়। যারা রাজহাঁস ভয় পান তারা অবশ্যই কমেন্ট করে যাবেন রাজহাঁসের দৌড়ানি খাওয়ার ছোটখাটো বিষয়।
এটা আমাদের বাড়িতে হওয়া একটি চাল কুমড়ো। গাছটা কেউ লাগায়নি। হয়তো আমরা পাকা চাল কুমড়ো বড়ি দেওয়ার জন্য ব্যবহার করেছিলাম,ওই মুহূর্তে এখানে বীজ পড়েছিল। আর সেই থেকে টিউবওয়েল এর পাশে বেশ গাছটা হয়ে উঠেছে এবং এভাবেই ফল ধরছে। এতদিনে প্রায় দশটার মতো চাল কুমড়া রান্না করে খাওয়া হয়ে গেছে। এখনো গাছের দিকে তাকালে চার-পাঁচটা রয়েছে। এটাকে বলা হয় বরকত। এভাবে বাড়িতে অনেকগুলো গাছ হয়েছে কিন্তু কোন গাছে ধরেনি এই গাছটাতে বেশ ধরছে এমন। আমরা সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছি গাছটা যেন আরো বৃদ্ধি পায় এবং বেশি বেশি ফল ধরে।
আমার মত পাক্কা কাঁঠাল খাওয়ার মত মানুষ কয়জন আছে এই কমিউনিটিতে তা আমার জানা নেই, তবে আপনারা জেনে খুশি হবেন আমি অত্যধিক পাখা কাঁঠাল পছন্দ করি। এক কথায় বলতে গেলে পাকা কাঁঠাল পেলে মাথায় কাজ করে না। আমি খুবই পছন্দ করে থাকি এবং অন্যদের খাওয়াতেও খুব স্বাস্থ্যন্দ বোধ করি। আমি নিজে হাতে আমাদের পরিবারের লোকজনের সহ আরো অন্যান্যদের পাকা কাঁঠাল উঠিয়ে খাওয়াইছি। তবে প্রচন্ড গরমের দিন এটা না খাওয়াই উত্তম অথবা কম খাওয়া উচিত। কারণ যাদের প্রেশারের সমস্যা রয়েছে গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য খুবই খারাপ একটা ফল।
সেদিন হঠাৎ মাশরুমের ফটো ধারণ করছিলাম। কারণ অনেকদিন পর চোখের সামনে খুব সুন্দর সুন্দর মাশরুম দেখতে পেরেছিলাম পুকুরপাড়ে। আর ওই মুহূর্তে হঠাৎ আমার পাশ দিয়ে একটা কেললু যাচ্ছিল। আমি এই জিনিসটাকে খুবই ভয় পেতাম। দেখলে যেন কেমন কেমন লাগতো আমার। তবে এখন অনেকটা কমে গেছে। তত একটা ভয় পায় না। তবে হঠাৎ পাশ দিয়ে যাচ্ছিল তাই ফটো ধারণ করেছিলাম। কি আছেন এই জিনিসটাকে বেশি ভয় পান। অবশ্য কমেন্টে জানাবেন।
এটা আমাদের গ্রামের রাস্তা। এই ব্যাক হলে আমাদের বাড়ি। আর যেখান থেকে ফটোটা ধারণ করেছিলাম সেখান থেকে পুকুর পাড়ে যাওয়া হয়। অর্থাৎ চিরসেনা একটি রাস্তা হয়ে গেছে আমার জন্য। যা পূর্বে পরিচিত ছিল না। অর্থাৎ এ রাস্তা দিয়েই মাঝেমধ্যে পুকুরে পাড়ে সবজি তুলতে যাওয়া,মাছ ধরতে যাওয়াসহ এমনি ঘুরতে যাওয়ার জন্য চলাচল করতে হয়।
এখন পেয়ারার মৌসুম। গাছে গাছের পেয়ারা লক্ষ্য করা যায়। আমাদের বাড়িতে তিনটা পেয়ারা গাছে ব্যাপক পেয়ারা ধরেছিল কিন্তু একটা পেয়ারা গাছের পেয়ারা আমার পছন্দ হয় না। একটু পেকে গেলে কেমন জানি হয়ে যায়। তবে বাজার থেকে কেনা পেয়ারা গুলি খুবই ভালো লাগে আমার কাছে। তবে এই ফলটা শরীরের জন্য খুবই উপকার। যা অন্যান্য ফলের তুলনায় ব্যাপক উপকার করে থাকে।
পুকুর পাড়ে যেতে রয়েছে ফসলের কিছু জমি। আর সে ফসলের জমিতে ধান চাষ করা হয়। কৃষক ভাইয়েরা সেখানে ধান লাগান। আর ধান লাগানোর পূর্বেই তো ধানের চারা দেওয়া লাগে। এগুলো হচ্ছে ধানের চারার ফটোগ্রাফি। ঘন সবুজ ঘাসের মতো দেখতে। ঘন সবুজ এই ফসলের চারার পান তাকিয়ে থাকতে দেখতে ভালো লাগে। কত সুন্দর ভাবে গাছগুলো বেড়ে উঠছে এরপর কৃষক ভাইয়েরা সেগুলো উঠাবে ফসলের জমি চাষবাস করবে এবং সেখানে লাগাবে। হয়তো এই ধানের গাছগুলোর জন্য অনেকের ছোটখাটো স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। হয়তো কোন চাষী ভাই তার স্ত্রীকে এই ধানের বিনিময়ে একদিন পোশাক আশাক অথবা স্বর্ণ অলংকারকে নিয়ে যেতে পারে। আর এভাবে মানুষের স্বপ্ন পূরণ হয় বিভিন্ন মাধ্যমে।
এটা আমাদের পুকুর পাড়ের ঢেঁড়স গাছের সুন্দর ঢেঁড়সের ফটোগ্রাফি। আমাদের সবজি বাগানের মধ্যে বেশ কিছু এই গাছ রয়েছে। তাই আমি যখন পুকুর পাড়ে উপস্থিত হয়ে থাকি প্রায় এই গাছ থেকে সবজি তুলে থাকে। বেশ ভালো লাগে এই মুহূর্তে ফটোগুলো ধারণ করতে।
ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
---|---|
বিষয় | রেনডম ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
মোবাইল ফোনে খুব চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে প্রথম ছবিটা বেশি ভাল লাগছে।
খুবই ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটা।
আজকে আবারো আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার সুন্দর এই রেনডম ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লেগেছে আমার। দারুন হয়েছে আপনার আজকের এই ফটোগুলো ধারণ করা। যেখানে বেশ কিছু রকমের ফটো দেখতে পারলাম ফুল থেকে শুরু করে ফল ফসলের মাঠ সহ ইত্যাদি জিনিস। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার এই ফটোগ্রাফি।
এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের দিনগুলো কতই সহজ হয়ে গেছে। আমরা খুব সহজে চাইলে ফটোগ্রাফি নিতে পারি। আবার আমরা চাইলে খুব সহজে ভিডিও নিতে পারি পছন্দের কিছু। মোবাইল সবকিছু আমাদেরকে অতি সহজ করে দিয়েছে। আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি নিলেন বিভিন্ন দৃশ্যের দেখে খুব ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ আপু একদম ঠিক বলেছেন আপনি।
মোবাইল ফোনে ধারণ করে খুবই চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার পেয়ারা গাছে পেয়ারা দেখে খুবই ভালো লেগেছে। পেয়ারা আমি খুব পছন্দ করি। তবে কাঁঠাল আমি ছোটবেলা থেকে খাইনা এটার গন্ধও শুনতে পারিনা। আপু আপনি খাওয়াতে পছন্দ করেন যেনে অনেক ভালো লাগলো।
এভাবে পাশে থাকলে আরো সুন্দর সুন্দর ফটো শেয়ার করতে পারব।
মোবাইল দিয়ে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আপনি ধারণ করেছেন।সবগুলো ফটোগ্রাফি সুন্দর ছিল।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করেছি আপু
মোবাইল ফোনে ধারণ করা বিভিন্ন ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে। আপনি প্রতিটি ফটোগ্রাফি সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফির মাঝে চাল কুমড়ো ও লাউ ফুলের ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু প্রতিটি ফটোগ্রাফির বর্ণনা সহ উপস্থাপনা করার জন্য।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার ফটোগ্রাফি ধারণ করার হাত অনেক পাকা হয়ে গিয়েছে দেখছি। মাধবীলতা ফুলের ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু।আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর হয়েছে।খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে প্রতিটা ফটো উপস্থাপন করেছেন।যা দেখে বেশ মুগ্ধ হলাম।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।