বেশ কিছু ফলের রেনডম ফটোগ্রাফি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। বিভিন্ন প্রকার রেনডম ফলের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মনে করি, আমার এই ফটোগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন বন্ধুরা আর কথা না বলে এখনই বিভিন্ন ফলের সাথে পরিচয় লাভ করি এবং আমার ফটোগুলো দেখি।
রেনডম ফটোগ্রাফি
এখানে শুরুতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বেশ কিছু ডাবের ফটোগ্রাফি। এগুলো সব আমাদের গাছের ডাব। এক ডাব ক্রেতা এসেছিলেন আমাদের বাড়িতে। তিনি আমাদের গাছ থেকে এগুলো প্রতি পিস ৬০ টাকা দামে কিনে নিয়ে গেছিলেন। আর ঠিক তখন আমি ফটো ধারণ করেছিলাম এগুলোর। আমরা জানি ডাব আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমরা সুযোগ পেলে চেষ্টা করব এর ফল কিনে খাওয়ার জন্য। কারণ এই ফলটা বিভিন্ন কারণে ডাক্তার খেতে বলে।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি সফেদা গাছের বেশ অনেক সফেদা ধরে রয়েছে। একদিন একটা পুকুর পাড়ে ঘুরতে গেছিলাম। সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়ে দেখলাম গাছে অনেক সুন্দর সফেদা ধরেছে। গ্রাম গঞ্জে এই ফলটা তেমন বেশি দেখা যায় না। বিশেষ করে আমার জানা পরিচিত আত্মীয়-স্বজনের কোন বাড়িতে তেমন এই গাছ দেখি না। তবে আমি মনে করি এগুলো আমাদের সকলের বাড়িতে কমবেশি থাকা প্রয়োজন। এই ফলটা অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে তাই খেতে ভালো লাগে।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন একটি আমের থোকায় অনেকগুলো আম ধরেছে। বুঝতেই পারছেন এই আমের ফটোটা ধারণ করেছিলাম আমাদের গাছ থেকে। এটা আমার রান্নাঘরের পিছনের আমগাছ। পাশাপাশি আম আর আমড়া গাছ রয়েছে। এতগুলো আম একটি থোকায় হাওয়া দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। তাই ফটোটা ধারণ করেছিলাম নিজ থেকে।
এ পর্যায়ে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন লিচু ফল। বেশ কয়েকদিন আমাদের গাছ থেকে লিচু সংরক্ষণ করে। এ লিচু গাছটা আমার ঘরে জানালার পাশে। ঘরের জানালা থাকে লিচু ছড়ানো যেত। এমন ভাবেই ধরেছিল আমাদের এই গাছটা। কিন্তু বিভিন্ন পাখিতে এবং ইঁদুরে খুব দ্রুত নষ্ট করে ফেলছিল তাই কাঁচা অবস্থায় অনেক সংরক্ষণ করা হয়েছিল। আর সেই মুহূর্তে এ ফটো ধারণ।
এতক্ষণ গাছের ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। এবার বাজার থেকে ফল কিনতে যাওয়ার মুহূর্তে ধারণ করা ফলের ফটোগ্রাফি। দেখতে পাচ্ছেন একই জায়গায় কোন এক ফল বিক্রেতা খুব সুন্দর ভাবে ফলগুলো সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রয়ের জন্য। আমের সময় ফলগুলো ফটো ধারণ করেছিলাম। আপেল আঙ্গুর কমলালেবুর পাশাপাশি আম রয়েছে সেখানে। আমি যখন এই ফলের ফটোগ্রাফি করেছিলাম তখন আঙ্গুর ফলের দাম খুব কম ছিল। এখন আবার আঙ্গুর ফলের দাম অনেক হয়ে গেছে।
এটা দেখতে পাচ্ছেন একটি সুন্দর ছোট কাঠাল। বারো কাঁঠাল ধরার সময় কিন্তু চলে আসছে সামনে। শীতকাল পার হলেই গাছে কাঁঠাল ধরবে। বুঝতে পারছেন এই কাঁঠালের ফটোগ্রাফি করা প্রায় এক বছরের কাছে হতে চলল। যাইহোক আমাদের গাছের এই কাঁঠাল কিন্তু খুবই সুমিষ্ট। আমি খুবই পছন্দ করি আমাদের এই কাঁঠাল গাছের কাঁঠাল রান্না করে খেতে এবং পাঠিয়ে খেতে। মাত্র একটি গাছ রয়েছে আমাদের বাড়িতে তবে গাছটাতে কুড়ি ৩০ টা পর্যন্ত কাঁঠাল ধরে। আর এতে আমাদের পরিবারের ভালো রকমের কাঁঠাল খাওয়া হয়ে যায় প্রত্যেক বছর।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কাঁচা লটকন। লটকন আমি অনেক অনেক পছন্দ করে থাকি। এটা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল। এই ফলটা আমাদের গাংনী বাজারে খুব কম দেখতে পাওয়া যায়। তবে মাঝেমধ্যে যখন লটকন ফল বিক্রয় করতে আসে। আমি যেভাবে হোক সংরক্ষণ করার চেষ্টা করি। কারণ এটা আমার প্রিয় ফল বলে কথা।
ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
---|---|
বিষয় | ফলের ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
x-promotion
আজকের কাজ সম্পন্ন
আপনার ধারণকৃত প্রত্যেকটি ফলই টাটকা ও তরতাজা, বিশেষ করে নারকেল,আম, কাঠাঁল আর লিচুর ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে, বাকি ছবি গুলোও দারুণ।লটকন আমারও প্রিয় ফল, তাছাড়া টক জাতীয় যেকোনো ফল আমার ভালো লাগে, তবে লটকন খেলে মাঝে মাঝে জ্বরও আসে। আপনার ছবিগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন সেজন্য ধন্যবাদ আপু।
বিভিন্ন রকম ফলের ফটোগ্রাফি দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। দারুন লাগলো আপনার ক্যাপচার করা ফলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। লটকন ফল টা অনেক বেশি পছন্দের আমার। তবে এটার সিজন খুব কম সময় থাকে। ভালো লাগলো আপনার ফলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে।
বিভিন্ন রকমের ফলের ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো। এখন অনেক রকমের ফল বাজারে দেখতে পাওয়া যায়। আর আপনি দারুন ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে।