কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি বিভিন্ন প্রকার রেনডম ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মনে করি, আমার এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে, এখনি দেখে আসি ফটোগুলো এবং জানি পোস্টের বিস্তারিত বর্ণনা।
প্রথমে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন খুব সুন্দর করে সাজানো কমলালেবুর চিত্র। বাজারে ফলের দোকানগুলোতে ফল সাজানো দেখলে মন ভরে যায়। বিশেষ করে কমলালেবু আর আপেল এত সুন্দর করে সাজানো থাকে, খাওয়ার চেয়ে যেন চেয়ে চেয়ে দেখাটাই সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে।
এটা এক প্রকার কচুর শাক। কেউ দস্তলিয়া নামের চিনে। আবার কেউ একে কামিল কচু বলে জানে। আমার খুবই ভালো লাগে এই শাক আর ডাটা খেতে। একদিন কচুর শাক উঠানোর জন্য ঘরের পিছনে গেলাম কিন্তু দেখলাম খুব নোংরা লেগে। আর তাই উঠানো হলো না শুধু ফটো ধারণ করে চলে এলাম।
এটা দেখতে পাচ্ছেন আপনার আমার সুপরিচিত আতা ফল। আমাদের বাড়িতে বেশ চার-পাঁচটা আতা গাছ রয়েছে। আর প্রত্যেক গাছে ফল ধরেছিল। আমার ছেলের জন্য আতা পাড়তে গিয়ে, সেখান থেকে ফটো ধারণ করেছিলাম আমি।
আমরা কম বেশি ভালোবাসা পেতে পছন্দ করি। তবে কেউ ভালোবাসা পায় আবার কেউ ভালোবাসা পায় না। অনেকের ভালোবাসা ধুলাই লুটায়। তবে ভালোবাসার প্রতীক যদি পায়ের নিচে এভাবে অবস্থান করে কাজে লাগে এটাও কিন্তু মন্দ নয়। হ্যাঁ আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি ভ্যান গাড়িতে পা রাখার জায়গা হিসেবে সুন্দর একটি লাভ আকৃতি লাগিয়ে রাখা হয়েছে। এটা দেখামাত্র আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম, আর বারবার ১৪ ই ফেব্রুয়ারি কথা মনে করছিল।
এটা আমার ঘরের পিছনে লিচু গাছের ফুলের দৃশ্য। আমাদের দুইটা লিচু গাছ রয়েছে। তবে এই গাছটায় প্রায় প্রত্যেক বছর লিচু ধরে। এবার অনেক ফুল এসেছিল। তবে লক্ষ্য করে দেখা যাচ্ছে লিচু সংখ্যা খুবই কম ধরেছে। নিকটে রান্না ঘরের ধোঁয়া থাকায় ফল ঝরে যায়।
আমাদের বাড়ির পাশের একটি চাচা শীতের সময় অনেক খেজুর গাছ থেকে রস তৈরি করেন। এবং নির্দিষ্ট এই আঁকায় রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করেন। এটা মূলত রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করার আঁকা।
এটা আমাদের বাড়ির কুল গাছের কুলের দৃশ্য। আমাদের এই গাছটাতে অনেক কুল ধরে কিন্তু কেউ খেতে চায় না। কুল গুলো একটু টক হয়ে থাকে। তবে আচার খাওয়ার জন্য খুবই উপযুক্ত।
এটা পুকুরের চিত্র। পুকুরে পাঙ্গাস মাছ আবাদ করলে বিভিন্ন প্রকার উপাদানের সমন্বয়ে তার খাবার তৈরি করতে হয়। আর এই সমস্ত উপাদানের জন্য পুকুরে এমন আয়রন সৃষ্টি হয়। যখন পুকুরে মাছ থাকে তখন পুকুরের পানি দেখতে ঘন সবুজ হয়ে ওঠে। আর যখন মাছ বিক্রি করে দেওয়া হয় অন্যান্য মাছ থাকে তখন আস্তে আস্তে পানি এমনটা হয়ে ওঠে। আর বিশেষ করে শীতের সময় এমনটা বেশি দেখা যায়। পুকুরের পানি নিষ্কাশনের পরেও এমন রয়েছে।
এটা আমাদের বাড়ির গাছের কাঁঠালের চিত্র। আমাদের একটিমাত্র কাঁঠাল গাছ রয়েছে। কাঁঠাল গাছটাতে বাইশটা কাঁঠাল ধরেছে। বাড়িতে লোক সংখ্যা সাতজন হলেও দশটা কাঁঠাল থাকলেই অনেক। সে জায়গায় কাঁঠাল একটু বেশি হয়ে থাকে। তবে আমাদের বাড়ির মানুষ দোয়া করে জাম গাছে জাম কাঁঠাল গাছে কাঁঠাল কম হয়ে যদি আম গাছে আমার লিচু গাছে লিচু বেশি হয় তাহলে খুশি। কিন্তু সবই তো মহান সৃষ্টিকর্তার দান তাই না।
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
বিষয় | রেনডম ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার ধারণ করা এই ফটোগুলো বেশ ভালো লেগেছে আমার। যেখানে বিভিন্ন পর্যায়ের ফটো দেখতে পারলাম। ফুল ফল থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক পরিবেশের চিত্র ফুটে উঠেছে এখানে।
এই জাতীয় ফটো ধারণ করতে আমার ভালো লাগে ভাইয়া।
এখানে ছোট্ট একটা ভুল হয়েছে ওটা ঠিক করুন। বেশ সুন্দর করে ছবিগুলোর বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।