অহংকারী মেয়ে। ( শেষ পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার। এই গল্পটির প্রথম পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আজকে দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব নিয়ে আসলাম।
তারপরও তার বাবা চাইলো ছেলেটি কিছু করুক তাহলে তার মেয়েকে সে বিয়ে দেবে। এদিকে পুনম মেয়েটি সেই ছেলে ছাড়া অন্য কারো সাথে বিয়ে করবে না। একদিন রাতে হঠাৎ করে মেয়েটিকে পাওয়া যাচ্ছে না। দুই তিন দিন পর খবর পাওয়া গেল মেয়েটি ওই ছেলেটির সাথে পালিয়ে বিয়ে করে ফেললেন। এবং ছেলেটি মেয়েটিকে রাখার জায়গাটিও নেই। কিছুদিন তারা ছেলেটির এক বন্ধুর বাড়িতে ছিল। এরপর মেয়েটিকে বলতে লাগলো তার পরিবারের সাথে কথা বলে সবকিছু ঠিক করার জন্য।
মেয়েটি তার মায়ের সাথে মোবাইলে কথা বললেন। বললেন তার ভুল হয়ে গেছে তাদেরকে মেনে নেওয়ার জন্য। এদিকে মেয়ের বাবা অনেক কষ্ট পেলেন। কারণ তার একটিমাত্র মেয়ে সে বলল ছেলেটি কিছু করলে তারপর তাকে বিয়ে দেবে ছেলেটির কাছে। তারপর পুনম কি করে পালিয়ে বিয়ে করলেন। তার বাবা বলতে লাগলো এলাকায় আমার মুখটি আর রাখল না। কারণ ছোটকাল থেকে মেয়েকে সবাই অনেক আদর করতেন। মেয়েদের ফ্যামিলির অনেক টাকা পয়সা আছে। সেই হিসাবে ছেলেটির কিছুই নেই।
এরপর একদিন পুনমের বাবা বিয়েটি মেনে নিলেন। খুব সুন্দর করে অনুষ্ঠান করে সবাইকে দাওয়াত খাওয়ালেন। এরপর ছেলেটি পুনমের বাবাকে বললেন। সে কোন একটি কাজ ঠিক করার পর পুনমকে নিয়ে যাবে। এভাবে তাদের সংসার এক বছর খুব ভালোই গেলেন। তারপর পুনমের হাসবেন্ড তাকে একটি বাসায় নিয়ে গেলেন। তার কাছে কোন টাকা পয়সা নেই সব সময় পুনমকে বলতে থাকে তাদের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে নেয়ার জন্য। এবং তাকে বাইরের কোন রাষ্ট্রে পাঠানোর জন্য টাকা দেওয়ার জন্য বলতে থাকে।
এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর সব সময় পুনমের হাসবেন্ড সব সময় তাকে মারধর করে। অযথা সব সময় গালাগালি করে থাকে। এদিকে পুনম কথাগুলো তার মা-বাবাকে বলতে পারছে না। কারণ সে নিজেই বিয়ে করলেন। তার জন্য অনেক ভালো বল সম্বন্ধ আসলো। সেগুলো সেই প্রত্যাহার করে এই ছেলেকে বিয়ে করলেন। এদিকে পুনমের হাজবেন্ড ঠিকমতো তার তিন বেলা খাওয়ারও যোগান করতে পারছে না এবং সব সময় ঝগড়া করে।
এই কথা একসময় পুনম তার মাকে বললেন। এরপর পুনমের মা তাকে বলতে লাগলো তুমি তোমার পছন্দের পাত্র বিয়ে করলে এখানে আমরা কি বলবো। এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর পুনম তার হাজবেন্ডের সংসারে আরো অনেক কষ্টের মধ্যে আছে। এক পর্যায়ে পুনম একদিন বিষ পান করে ফেললেন। এরপর পাশের বাসার লোক গুলো তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেন। তার মা-বাবা শুনে হাসপাতালে গিয়ে তার চিকিৎসা করালেন। অতএব তার হাজব্যান্ড তাকে হাসপাতালে দেখতে যায়নি।
এবং পুনম স্বামী সবসময় খারাপ ছেলেদের সাথে আড্ডা দিয়ে থাকেন। এরপর পুনম যখন সুস্থ হলে তাকে তার মা-বাবা তাদের বাড়িতে নিয়ে গেলেন। এর কিছুদিন পর পুনমের হাসবেন্ড তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিলেন। এবং ডিভোর্স দিয়ে সে পালিয়ে গেলেন। তার সাথে কোন মতে আর যোগাযোগ করতে পারছে না। এদিকে সবাই পুনম কে বলতে লাগলো তার অহংকার এতই বেশি ছিল যে। তার কারণে তার এই অবস্থা হল। কারণ পুনম বিয়ের আগে বাড়ির লোকগুলোর সাথে ঠিকমতো কথা বলতেন না।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
অহংকারী মেয়ের প্রথম পর্বটিও আমি পড়েছিলাম। ফ্যামিলির একমাত্র মেয়ে সেই কারণে সবাই তাকে অনেক আদর করতেন। মেয়েটির জন্য অনেক ভালো ভালো বিয়ের জন্য সম্বন্ধ আসলেন। কিন্তু সবগুলো সে প্রত্যাখ্যান করলেন। অথচ মেয়েটি যাকে ভালবেসে পালিয়ে বিয়ে করলেন। তার অত্যাচারে শেষ পর্যন্ত সে বিষ পান করলো। এবং তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিলেন। তবে আমার মতে মেয়েটি তার অহংকারের কারণে আজকে এই শাস্তি পেয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনার গল্পটি পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। কারণ প্রথম পর্বটি আমি পড়েছিলাম। পুনম তাদের সংসারে একটিমাত্র মেয়ে তাই সবাই তাকে অনেক আদর করতেন। এবং সে অনেক অহংকারও করতেন। আপনার গল্পের মধ্যে লিখেছিলেন একটি ছেলে তাকে দেখার জন্য আসলেন। এবং সেই ছেলেটির সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করলেন। তারপরও সে তার পছন্দের ছেলের সাথে পালিয়ে বিয়ে করলেন। অথচ পছন্দ ছেলের জন্য এত কিছু করলেন। তার অত্যাচারে শেষ পর্যন্ত সে বিষ পান করলেন। আসলে অতি অহংকার ও ভালো না। আমি নিজেও মনে করি পুনম অতি অহংকার করলেন এই কারণে আজকে তার এই অবস্থা।
কখনো কখনো প্রেমের বিয়ে গুলো এমনই হয়। সুন্দর ভাবে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যদিও গল্পটির প্রথম পর্বগুলো পড়া হয় নি।তবে শেষ পর্ব পড়ে বুঝতে পারলাম ভালোবাসা ঘটিত গল্প।সত্যিই অহংকার পতনের মূল আর পুনমের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।যদি পুনম তার বাবার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করতেন তাহলে এমন দিন হয়তো তার জীবনে আসতো না।ভালো ছিল গল্পটি,এমনটা মুভিতে দেখা যায়।ধন্যবাদ আপনাকে।
সাজিয়ে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মেয়েটির একটু বেশি অহংকার ছিল তাই তো শেষে এরকম পরিণতি হয়েছে। আসলে যারা এরকম অহংকার করে তারা শেষে তাদের কাজের ফল অবশ্যই পায়। মেয়েটি একটু বেশি আদর পেত তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে। তাইতো এরকম অহংকার হয়ে গিয়েছে তার। শেষ পর্যন্ত এরকম পরিণতি তারপর ডিভোর্স হয়ে গেল। যদি সে তার বাবা-মায়ের পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করত তাহলে অবশ্যই সে সুখী হতো
অনেক সময় প্রেম করলে বাবা মার কথা শোনে না অনেকে। লাস্ট পর্যন্ত তাদের পরিণতি অনেক খারাপ হয়। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।