গল্প:-আমার মেয়েকে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে হঠাৎ ঘটে গেল মজার ঘটনা।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি বাস্তব গল্প একটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। ৩-৪ দিন আগে আমার মেয়েকে নিয়ে আমি ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। যদিও ওই দিন ডাক্তারের কাছে আমার ওয়াইফ এবং আমার বাবাও সাথে গিয়েছিল। কিছুদিন যাবত আমার মেয়ে অনেক অসুস্থ ওষুধ দিয়েছে ডাক্তার সেগুলো খেয়েও আমার মেয়ে ভালো হতেছে না। এরপর দ্বিতীয় বার যখন ২-৩ দিন আগে গেলাম আমরা । তখন ডাক্তার আমার মেয়েকে দেখে বলতেছে তার বুকে ঠান্ডা লেগে গেছে এই কারণে জ্বর সর্দি কাশি ভালো হচ্ছে না।
এরপর আমার বাবাকে ডাক্তার দেখলেন। হঠাৎ করে আমার বাবার প্রেশার লো হয়ে গেল। এরপর ডাক্তারকে আমরা জিজ্ঞেস করলাম কত টাকার ওষুধ আসলো। ডাক্তার আমাদেরকে বললেন ৬৩০ টাকার ওষুধ আসলো। তারপর আমি তাকে এক হাজার টাকার একটি নোট বের করে দিলাম। এরপর ডাক্তার এক হাজার টাকা হাতে নিয়ে বলতে লাগলো তার কাছে টাকা ভাংতি নেই। তারপর ডাক্তার ওখানে একটি লোককে ১০০০ টাকা দিলেন ভাংতি নেওয়ার জন্য।
এরপর লোকটি অন্য দোকানে গেলেন টাকা ভাংতি করার জন্য। কিছুক্ষণ পরে সে টাকা নিয়ে আসলো এবং টাকা হাতে দিয়ে দিলেন ডাক্তারের কাছে। তারপর ডাক্তার দেখতে লাগল ওখানে টাকা ১০০০ নেই ২০০ টাকা কম। এরপর লোকটিকে আবার বললেন এখানে ২০০ টাকা কম কার থেকে নিয়ে আসলেন দেখেন নাই। তারপর লোকটি আবার ওই দোকানে গেলেন ২০০ টাকা কম কেন জিজ্ঞেস করার জন্য। তখন ওই দোকান দারটি বলতে লাগলো ২০০ টাকা আপনার কাছে আমি পাই সেগুলো রেখে দিলাম।
এরপর ওই লোকটি বলতে লাগলো এই টাকাগুলো আমার না ডাক্তারের। আমাকে বলতে লাগলো ১০০০ টাকা ভাংতি নিয়ে যাওয়ার জন্য। এই কারণে আমি তোমার কাছে এই ১০০০ টাকার নোট নিয়ে আসলাম। এবং ওই দোকানদারটি বলতে লাগলো কার টাকা আমি জানিনা অনেকদিন পর্যন্ত আমি আপনার কাছে ২০০ টাকা পাই সেই টাকাগুলো আপনি দেন নাই। এই কারণ আমি ওই টাকাগুলো কেটে রেখে দিলাম। লোকটি অনেক করে বলতে লাগলো দোকানে ওষুধ নেওয়ার জন্য টাকাগুলো ডাক্তারকে দিলেন একটি লোক।
লোকটি অনেক বলার পরও ওই দোকানদার ২০০ টাকা দিতেছেন না। এমন সময় ডাক্তার ওখানে গিয়ে বলতেছে এই ১০০০ টাকার নোট আমার। অনেক বলার পরে ২০০ টাকা পরে দোকানদার দিলেন। এরপর ডাক্তার বলতেছে কাউকে কোন টাকা ভাংতি করার জন্য দিলে লাস্ট পর্যন্ত এরকম বিপদে পড়তে হয় এটা আমার জানা ছিল না। এবং ডাক্তার বলতে লাগলো সামনে থেকে আর কাউকে টাকা ভাংতি করার জন্য দেব না। তারপর ডাক্তার তার ওষুধের টাকা রেখে বাকি টাকা আমাদেরকে দিয়ে দিলেন। সত্যি টাকা ভাংতি করার মজার ঘটনা আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি গল্পটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1712868384789115126?s=20
প্রথমে আপনার মেয়ে যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে এই আশাবাদ ব্যক্ত করি। আসলে ছোট বাচ্চারা এখন প্রায় বিভিন্ন রোগে ভুগতেছে তাই তাদের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া খুবই প্রয়োজন। মেয়েকে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে টাকা ভাংতি নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। টাকা ভাংতি করার ঘটনা পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আমার গল্প নিয়ে সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমেই মাইসুন এর জন্য দোয়া করি, যেন সে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। মজার একটা ঘটনা ঘটেছে দেখছি মাইসুনকে ডাক্তার কাছে নিয়ে যাওয়ার পর। দোকানদার লোকটা তো দেখছি আপনার টাকা ওই লোকটার টাকা মনে করে রেখে দিয়েছে। বারবার বলার পরেও যদিও দেয়নি, কিন্তু সবশেষে দিয়ে দিয়েছিল। অন্য কাউকে টাকা ভাংতি আনতে না দিয়ে নিজে ভাংতি আনাই ভালো। বেশ মজা পেলাম গল্পটা পড়ে।
গল্প পড়ে খুব উৎসাহিত ভাবে মন্তব্য করায় ধন্যবাদ আপনাকে।
ওইদিন মাইসুনকে ডাক্তারের কাছে নেওয়ার ফর সত্যি অনেক মজার ঘটনা ঘটে গেল। আমরা ১ হাজার টাকা দিয়েছি ডাক্তারকে। এরপর এই টাকা নিয়ে অনেক তালবাহানা হল। যদি ওই ডাক্তার অন্যজনকে টাকাগুলো ভাংতি করার জন্য দিয়েছিল। এই কারণে ওই লোকটি থেকে অন্য দোকানদার তার পাওনা টাকা নিয়ে নিল। সত্যি ই এই নিয়ে অনেক কথা হয়ে গেল। তোমাকে অনেক ধন্যবাদ মাজার ঘটনাটি সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি ওই দিন ডাক্তার ও অনেক পেরেশানি হয়ে গেল। সুন্দর মন্তব্য করেছে তাই ধন্যবাদ তোমাকে।
আপনার মেয়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।সে যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে। তবে বেশ মজার একটি ঘটনা ঘটল ডাক্তার দেখাতে গিয়ে। কত ধরনের যে ঘটনা ঘটে তার কোন হদিস নেই । তবে বেশ মজা পেলাম আপনার পোস্টটি পড়ে।
সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে পৃথিবীতে যে কত রকমের মানুষ আছে তা আপনার গল্পটি পড়ে বুঝতে পারলাম ।একজনের টাকা আরেকজন কেটে রেখে দিচ্ছে সত্যি মজার ঘটনা। মানুষ কত বিচিত্র হয় ঘটনাটি না পড়লে বুঝতে পারতাম না ।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন একজনের টাকা অন্যজন কেটে রেখে দিচ্ছে। খুব সুন্দর করে মন্তব্য করেন তাই অনেক ধন্যবাদ।
বাহ্! দারুণ একটি মজার ঘটনা শেয়ার করেছেন তো ভাই। টাকা ভাংতি করা নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটে গেল। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষের লেনদেন খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাইতো ভাংতি করার সময় সুযোগে ২০০ টাকা রেখে দিয়েছে দোকানদার। যাইহোক অবশেষে ডাক্তার গিয়ে পুরো ব্যাপারটা সমাধান করেছে। আপনার মেয়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। যাইহোক এমন মজার একটি ঘটনা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।