জেনারেল রাইটিং:-মানুষের বিপদ কিভাবে আসে বলে আসে না।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমাদের চারপাশে এবং বাস্তবে কিছু শিক্ষনীয় বিষয় ঘটে যেগুলো আমাদেরকে অনেক কিছু শিক্ষা দেয়। আমাদের সবার উচিত ঐসব কিছু শিক্ষার বিষয় থেকে নিজেদেরও কিছু শিখা। আপনাদের সবাইকে দেখি এরকম বিভিন্ন রকম শিক্ষার বিষয় নিয়ে পোস্ট করতে। তাই আমিও চেষ্টা করতেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার বিষয় নিয়ে পোস্ট করার জন্য। আপনাদেরও আমার পোস্টে আশা করি খুবই ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব মানুষের বিপদ কিভাবে আসে বলে আসে না। কিছুদিন আগে আমাদের এলাকায় একটি ঘটনা আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আমাদের পাশের বাড়ি একটি লোক আছে তার নাম জাহিদ। জাহিদ অনেক বছর বিদেশ ছিলেন আফ্রিকাতে। প্রায় ১০ থেকে ১১ বছর পর দেশে আসলো। তবে এসে সেই তার পুরনো ভালবাসার মানুষের সাথে যোগাযোগ শুরু করল। জাহিদ এই মহিলা সাথে বিদেশ যাওয়ার আগে প্রেম করতেন। তবে জাহিদ বিদেশ যাওয়ার পর এই মহিলাটির বিয়ে হয়ে গেল অন্য জায়গায়। এবং মহিলাটি ওখানে সুখেই ছিলেন।

এবং মহিলাটি ওইখানে দুটি সন্তানের মা হলেন। তবে জাহিদ যোগাযোগ করার পর মহিলাটি ওখানে হাজবেন্ডকে তালাক দিয়ে জাহিদকে বিয়ে করেন। জাহিদ ও তার মনের মানুষকে পেয়ে অনেক খুশি হলেন। তবে বিয়ে করার পরপর এক বছরের মধ্যে জাহিদের ঘরে একটি পুত্র সন্তান হলো। যদি ও জাহিদ অনেক দেরিতে বিয়ে করেছেন তার বয়স হিসেবে। এবং তার ঘরের সন্তান হওয়ার কারণে সে অনেক খুশি ছিলেন । বিগত কিছুদিন আগে তারা অটো রিক্সা করে জাহিদ তার ওয়াইফ ও বাচ্চা নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে জাহিদের ওয়াইফের কাপড় রিক্সার চাকার মধ্যে লেগে গেল। সাথে সাথে জাহিদ এর ওয়াইফ এবং বাচ্চা রাস্তায় পড়ে গেলেন।

যদিও জাহিদের বাচ্চার বয়স মাত্র দুই মাস হয়েছে। আর বাচ্চাটি এতই ছোট ছিল রাস্তাতে পড়ার সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে গেল বাচ্চাটি। এবং জাহিদের ওয়াইফের একটি হাত ভেঙে গেল। সাথে সাথে জাহিদ তাড়াতাড়ি করে তার বাচ্চাকে বড় হাসপাতালে নিয়ে গেল আমাদের গ্রামের। এবং ডাক্তার তাড়াতাড়ি দেখে বলতেছে আপনি চট্টগ্রামে নিয়ে যান বড় হাসপাতালে। জাহিদ পাগলের মত হয়ে গেল তার বাচ্চার এবং ওয়াইফের এই অবস্থা দেখে। এবং চট্টগ্রাম বড় হাসপাতাল নেওয়ার পর দুই দিন পর জাহিদের বাচ্চাটি মারা গেল। এবং জাহিদ সত্যি পাগলের মত হয়ে গেল বাচ্চার শোকে। এদিকে তার ওয়াইফের একটি হাতের হাড্ডি ভেঙ্গে গেল।

আসলে মূলত চলন্ত গাড়ি এবং পাকা রাস্তা এই কারণে এত বড় ক্ষতি হয়েছে। এদিকে জাহিদের শ্বশুরবাড়ি ও তার ওয়াইফের আগের স্বামীর বাড়ির লোক গুলো এখন নানার কথা বলতেছে। বলতেছে জাহিদের ওয়াইফের পাপের কারণে তার বাচ্চাটি মারা গেল। যদিও এই নিয়ে জাহিদ কাউকে কিছুই বলতেছে না। নিরবে কথাগুলো শুনে যাচ্ছে। তবে কারো বিপদ দেখে কেউ এভাবে কথা বলাটা আমি মনে করি ঠিক না। হয়তো ভালোবাসার কারণে জাহিদ ভালবাসার মানুষকে বিয়ের পরে নিয়ে এসে সে বিয়ে করে সুখী হওয়ার চেষ্টা করেছে। এবং জাহিদের মা-বাবাও জাহিদের ওয়াইফের উপর মোটেও সন্তুষ্ট না।

শুধু একমাত্র জাহিদ তার ভালোবাসার মানুষের উপর অগাধ বিশ্বাস এবং ভালোবাসা আছে। তবে আমি মনে করি বিশেষ করে যেসব মহিলারা রিকশায় বসে তারা অন্তত একটু হলেও খেয়াল রাখা দরকার যেন তাদের কাপড় বা বোরকা কোনমতে গাড়ির চাকার সাথে না লাগে। কারণ কিছু কিছু ভুলের কারণে মানুষ আজীবন কান্নাকাটি করতে হয়। সত্যি জাহিদের দুই মাসের বাচ্চাটি মারা গেল আমার নিজের কাছেও অনেক খারাপ লেগেছে শুনে। আর ছোট বাচ্চা হচ্ছে নিষ্পাপ। এবং জাহিদ এখনো তার একমাত্র বাচ্চার জন্য কান্নাকাটি করে। এই হচ্ছে কিছু কিছু বিপদ আছে বলে আসে না। আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে এবং সবাই একটু সচেতন হতে পারবে।