বিদেশের বন্ধুর সাথে দেখা করার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। সবারই সুন্দর মুহূর্ত গুলো কাটাতে অনেক ভালো লাগে। আমারও সুন্দর কোন মুহূর্তে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতেও ভীষণ ভালো লাগে। তাই আজকে বন্ধুর সাথে কাটানোর মুহূর্ত টা শেয়ার করলাম। আপনাদেরও আমার পোস্টে আশা করি খুবই ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার খুব প্রিয় বিদেশের এক বন্ধুর সাথে দেখা করা মুহূর্ত। এই মাসের ৭ তারিখে আমি আমার এই প্রিয় বন্ধুর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। যখন আমি বিদেশে নতুন গিয়েছিলাম তখন আমার এই বন্ধুটিও বিদেশের নতুন গিয়েছিল। সর্বপ্রথম একদিন কাজে যাওয়ার সময় তার সাথে আমার পরিচয় হয়। কারণ আমাদের দুজনের বাড়ি একদম পাশাপাশি। তবে আমার বাড়ির নদীর এক পাশে তার বাড়ির নদীর অন্যপাশে। এবং আমাদের গ্রাম ওদের গ্রাম ভিন্ন। আমরা ফেনী জেলা আর আমার প্রিয় বন্ধু কোম্পানীগঞ্জ জেলাতে। তবে দেশে কখনো আমি তাকে দেখিনি সেও আমাকে কখনো দেখে নাই।
ওই সময় আমি আর আমার এই বন্ধু ফরিদ একসাথে যে কোন কাজে যেতাম। এরপর থেকে আমি আর ফরিদ বিদেশে একই রুমেতে ১০ বছর ছিলাম। এবং আমরা দুইজন একসাথে বিদেশে ম্যাচ খাওয়া খেয়েছে। বিগত এক বছর আগে যখন আমি দেশে আসতেছি। তখন আমার এই প্রিয় বন্ধুটি নিজেই গাড়ি ড্রাইভিং করে আমাকে এয়ারপোর্ট এনে দিয়েছে। সত্যি বলতে আপদে বিপদে সব সময় থাকে পাশে পেয়েছি। ঈদের আগের দিন রাত্রে সেই মাত্র ১০ দিনের জন্য দেশে আসলো। হঠাৎ করে আমাকে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে কল দিয়েছে। ঐদিন আমি আমার শ্বশুর বাড়িতে ছিলাম। যখন আমি কলটি রিসিভ করি তখন দেখি ফরিদ ভাই। সে আমাকে মোবাইল বলল আমি দেশে এসেছি মাত্র ১০ দিনের জন্য। সকালবেলা আমার সাথে মোবাইলে কথা হল।
ঐদিন বিকেলবেলা আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে এসে আমি ফরিদ ভাইয়ের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। যখন আমি নদীর ধারে যাই তখন একটি ফটো নিয়ে আমার নিজের। তারপর একটি নদীর ফটোগ্রাফি করি। আমি ফেনী নদী টি পার হওয়ার আগে সেই নদীর ধারে এসে বসে রইলো। এরপর আমি আর ফরিদ ভাই এই দোকানে বসে চা এবং হাতের নাস্তা খেলাম। এরপর আমরা দুজন একটি রিক্সা নিয়ে বাংলাবাজারে গেলাম। অনেকক্ষণ বসে কথাবার্তা বললাম এবং ওখানেও নাস্তা খেলাম। তারপর আমি তার সাথে তাদের বাড়িতে এই প্রথম গেলাম।
কারণ তাদের বাড়িতে আমি আর কখনো যাই নাই। অনেকক্ষণ বসে ফরিদ ভাই এবং তার মা বাবার সাথে কথা বললাম। ফরিদ ভাইয়ের মা বাবা অনেকবার আমার কথা শুনেছে কিন্তু কখনো সামনে থেকে দেখেনি। এরপর রাত আটটার দিকে যখন আমি নদীর ধারে আসতে লাগলাম। তখন ফরিদ ভাই নিজে আমাকে নদীর ধারা পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে। সত্যি বলতে এই পুরনো বন্ধুকে পেয়ে অনেক ভালোই লাগলো। যদিও আমি তাকে আমাদের বাড়িতে দাওয়াত দিলাম। সে একদিন পর বিদেশে চলে যাবে। এ প্রিয় বন্ধুকে দেখে অনেক পুরনো কথা মনে পড়ে গেল।
বিদেশে যখন ফরিদ ভাই যখন করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। তখন তার খাওয়া দাওয়া এবং ডাক্তারের কাছে আমি নিজে নিয়ে গেলাম। ওই সময় আমি রানী জুস কোম্পানি কাজ করতাম। অথচ তার আপন মানুষ গুলো ওই সময় তার কাছে ছিল না। আসলে বন্ধুত্ব এমন হওয়াই দরকার একজনের আপদ বিপদে একজন পাশে থাকা দরকার। আমার একটা কথা এখনো মনে আছে। আমি যখন বিদেশে একবার গাড়ি এক্সিডেন্ট করেছিলাম। সেই অনেক দূরে গিয়ে আমার জন্য ওষুধ নিয়ে আসলো। ওই একমাস সে আমার খাওয়া দাওয়া এবং রুম ভাড়া দিয়েছে। যদিও আমি পরবর্তীতে সেই টাকাগুলো দিয়ে দিয়েছি।এই হচ্ছে আমার প্রিয় বিদেশের বন্ধু ফরিদ ভাইয়ের সাথে দেখা করার অনুভূতি।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1679072080728571904?s=20
বিদেশের প্রিয় বন্ধু ফরিদ ভাইয়ের সাথে তাহলে আপনার দেখা হয়ে গেল। দীর্ঘদিন যাবত আপনি তার সাথে বিদেশে একই সাথে ছিলেন। আসলে কিছু কিছু বন্ধুত্ব আছে অনেক দূর গেলেও ভুলা যায় না। আপনার পোষ্টের মধ্যে জানতে পারলাম তার বিপদ আপনার বিপদ একজনের পাশে একজন ছিলেন। এখনকার সময়ে এরকম বন্ধু পাওয়া অনেক কষ্টের। যাইহোক আপনার বন্ধুতো সারা জীবন থাকুক এই কামনা করি। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন এখনকার সময়ে এরকম বন্ধু পাওয়া কষ্টের। আপনার মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে বন্ধু মানেই রক্তের সম্পর্ক নয় তবুও মনে হয় রক্তের চাইতে বেশি আপনজন বন্ধুত্ব। সত্যিকারের বন্ধুত্ব ভোলা যায় না। বিদেশের প্রিয় বন্ধু ফরিদ ভাইয়ের সাথে তাহলে আপনার দেখা হয়ে গেল। আপনারা দুই বন্ধু বিদেশে একই সঙ্গে ছিলেন সব থেকে মজার বিষয়। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া আপনার জন্য।
কিছু কিছু বন্ধুত্ব আছে রক্তের সম্পর্ক চেয়েও বেশি। আপনি খুব সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন তাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।