লাইফ স্টাইল :- চাচাতো ভাইয়ের সাথে জুতা কিনার মুহূর্ত

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।

কিছুদিন আগে চাচাতো ভাইয়ের সাথে জুতা কেনার জন্য ফেনীতে গিয়েছিলাম। শুক্রবার দুপুর বেলা নামাজ পড়ে খাওয়া দাওয়া খেয়ে আমরা দুজন ফেনীতে যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম। একটি সিএনজি নিয়ে আমরা যখন ফেনীর দিকে যাচ্ছিলাম। কিছুদূর যাওয়ার পর আমাদের ওই সিএনজিটি নষ্ট হয়ে যায়। ভাগ্য ভালো অনেক বড় এক্সিডেন্ট থেকে আমরা বেঁচে যাই। এরপর আমরা অন্য গাড়ি নিয়ে ফেনীতে গিয়েছিলাম। মূলত চাচাতো ভাই বিদেশ থাকে তাকে নিয়ে অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরি করব এবং কিছু কেনাকাটা করব। আমার নিজের জন্য এবং চাচাতো ভাইয়ের জন্য কিছু কিনাকাটা করব।

এরপর আমরা অনেকগুলো মার্কেটের সামনে গেলাম। ওই দিন শুক্রবার বিকাল বেলা অনেক মার্কেট বন্ধ ছিল। কারণ ফেনী আমাদের বাড়ি থেকে অনেক দূর। পরে চিন্তা করলাম এত দূর থেকে আসলাম কি করা যায়। এরপর আমরা একটি দোকানে বসে নাস্তা খেলাম এবং দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলাম কোথায় গেলে জুতা এবং কাপড় পাওয়া যাবে। এরপর লোকটি আমাদেরকে বললেন ফেনীতে বৃত্তিরের মার্কেটে গেলে জুতা এবং কাপড় পাওয়া যাবে আজ। এরপর আমরা একটি রিক্সা নিয়ে ওখানে গেলাম মার্কেট গুলোর সামনে। প্রথমে আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের জন্য কিছু কাপড় কিনলাম।

এরপর আমি আমার জন্য কাপড় এবং জুতা কিনলাম। আজকে আপনাদের মাঝে জুতার কিনার অনুভূতিটি শেয়ার করব। আমরা কয়েকটি দোকানে যখন দেখতেছি অনেক ধরনের জুতা। যখন জুতা পছন্দ হয় টাকার সাথে মিলে না। আবার টাকার সাথে মিল হলে জুতা গুলো পছন্দ হয় না। এরপর ভিতরে একটি দোকানের সামনে থেকে আমি এই জুতা গুলো পছন্দ করলাম। কিন্তু জুতা গুলো প্রথমে যেভাবে আমার কাছে দাম চেয়েছে আমি কথা না বলিয়ে চলে আসতাম চাইলাম। কারণ দোকানদার আমার কাছে এই জুতা গুলো ১২০০ টাকা চেয়েছে।

এমন সময় জুতার দোকানদার লোক টি বলতেছে আমি কত টাকা দেবো জুতাগুলো। আমি অনেক চিন্তা ভাবনা করে বলতে লাগলাম 500 টাকা দেব। লোকটি আমাকে হাসি দিয়ে বললো এই জুতা গুলো ৫০০ টাকা দাম। এরপর আমি তাকে বললাম জুতাগুলো আমি ৫০০ টাকা হলে নেব। না হলে জুতা গুলো আমার লাগবে না। এমন সময় আমার চাচাতো ভাই বলতেছে আরো ৫০ টাকা বেশি দেব। এবার আমরা দুজন যখন চলে আসতে লাগলাম। এমন সময় পিছন থেকে দোকানদার লোকটি আওয়াজ দিয়ে বলতেছে জুতা গুলো আরেকটু বেশি দাম দিলে দিয়ে দেবে।

এরপর আমি দোকানদারকে বললাম আর এক টাকা ও আমি বেশি দেব না। এরপর দোকানদার বারোশো টাকা থেকে ৭০০ টাকা চাইলে দাম আমার কাছে। আমি তারপরও বললাম ৫৫০ টাকা চেয়ে আর বেশি দিতে পারব না। এই কথার পর দোকানদার জুতাগুলো আমাকে দিয়ে দিলেন। এরপর আমি ৫৫০ টাকা দিয়ে এই জুতাগুলো কিনলাম। যেভাবে দোকানদার জুতার দাম চাইল তাতে শুনে অবাক হয়ে গেলাম। এবং বলতেছে জুতা গুলো ভালো ব্যান্ডের। এই জুতাগুলো এক দাম কম দামে পাওয়া যাবে না। অথচ শেষ পর্যন্ত ৫৫০ টাকায় জুতাগুলো আমি কিনলাম।

আমার চাচাতো ভাইয়ে পরে বলতেছে দোকানদার যেভাবে বারোশো টাকা চাইলো আমি তো মনে করলাম জুতাগুলো এক হাজার টাকা হবে। আসলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেভাবে দাম ছাই মানুষ চিন্তা করতেও কষ্ট হয়। যাই হোক লাশ পর্যন্ত যতগুলো ৫৫০ টাকা কিনে নিলাম। হয়তোবা জুতাগুলো তেমন ভালো হবে না ।তারপরও জুতাগুলো আমার পছন্দ হয়েছে। এই হচ্ছে আমার জুতা কেনার মুহূর্ত।