আবার হঠাৎ মাইসুনকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার মেয়ে মাসুনকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া। আমার মেয়ে মাইসুন বিগত কয়েকদিন অসুস্থ। তার শরীরের মধ্যে ছোট ছোট কি যেন উঠলো। এ নিয়ে আমাদের পরিবার সবাই চিন্তিত ছোট বাচ্চা মাত্র ৮ মাস হয়েছে। কিছুদিন আগে আমি প্রথম তাকে হোমিও ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম। যদিও হোমিও ডাক্তার বলেছে এলার্জি এই কারণে এগুলো গায়ের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। এরপর হোমিও ডাক্তার তাকে ওষুধ দিয়েছে দুইবার করে। খাওয়ার পরে কিছুদিন আর এগুলো দেখা যায় না এরপরে আবার দেখা যায়।

কালকে আমি হঠাৎ করে চিন্তা করলাম বড় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব। কারণ ছোট মেয়েকে যখন কোলে নিই সেই সারাক্ষণ গায়ের এগুলোকে হাত দিয়ে খায়জ্জিনের চেষ্টা করে। মেয়ের এগুলো দেখে সত্যি আমার কাছে অনেক খারাপ লাগে। আমার ওয়াইফ কেও আমি বলেছি বড় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব এরপর আমার ওয়াইফ বলেছে তুমি যা ভাল মনে কর। সকালবেলা আমার মাদ্রাসা থাকে এই কারণে দুপুরবেলা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি ঠিক করেছি।

এদিকে আমি রকি ভাইকে কল করে বললাম একটু হাসপাতালে ডাক্তারের চেম্বারে আসার জন্য। যদিও দাগনভূঞা ডাক্তারের চেম্বার আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় ৯-১০ কিলোমিটার দূরে। এরপর দুপুর একটা বাজে আমি আমার ওয়াইফ ও আমার একমাত্র মেয়ে মাসুমকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলাম। যদিও ডাক্তারটি শিশু ডাক্তার এই কারণে ওখানে মোটামুটি রোগী আছে। কিছুক্ষণের মধ্যে যখন আমরা সিরিয়াল পেয়ে গেলাম আমার মেয়ের নাম ধরে ডাকতেছে। তখন আমরা ডাক্তারের চেম্বারে গেলাম।

ডাক্তার দেখে ওষুধ দিয়েছে এবং সে বলতেছে এলার্জির লক্ষণ। তবে কোনো খাওয়ার ওষুধ দেয় নাই শুধু গায়ে মলম লাগানোর জন্য ওষুধ দিয়েছে। এবং ডাক্তার বলতেছে এত টেনশনের কিছু নেই। ছোট বাচ্চা এখন ওষুধ খাওয়ানোর দরকার নেই শুধু এই মলনটি লাগান। ডাক্তারি ওষুধের পয়সা একদম কম আসলো কিন্তু যাতায়াত খরচ অনেক বেশি। তখন নিজের মধ্যে খুব ভালো লাগলো যে ডাক্তার বলতেছে এই ওষুধটি দিলে ভালো হয়ে যাবে।

আসলে ছোট বাচ্চা বা ছেলে-মেয়ে যদি অসুস্থ থাকে মা বাবার কাছে অনেক খারাপ লাগে। সত্যি বলতে কিছুদিন যাবত মেয়ের চিন্তা আমার ঘুম হচ্ছে না। কারণ মেয়ের গায়ে এগুলো দেখে অনেক চিন্তা লাগে সব সময়। তবে এখন ডাক্তার দেখানোর পর নিজের কাছেও ভালো লাগতেছে। সত্যি বলতে ডাক্তারের কথা শুনলে মানুষ অনেক সময় সুস্থ হয়ে যায়। যাইহোক সবাই আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন। এবং সবাইর দোয়া কামনা করি। আল্লাহ যেন আমার মেয়েকে সুস্থ রাখে। এবং নেক হায়াত দান করে।