গল্প:-ছেলের জন্য বাবার জীবন শেষ।(শেষ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

IMG-20240118-WA0000.jpg

ক্যানভা দিয়ে তৈরি,

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।

এরপর পারভেজ ঠিকমতো বাড়িতে আসে না। এবং তার ওয়াইফের সাথে কথাও বলেনা। পারভেজের ওয়াইফ পড়ালেখা করেছে এবং তার ফ্যামিলির মানুষ অনেক শিক্ষিত। এই নিয়ে পারভেজদের ফ্যামিলিদের সাথে তারা অনেক কথা বলেছে এবং বলতেছে আপনার ছেলে এরকম করলে আমাদের মেয়ে কেমন করে থাকবে। এর কিছুদিন পর হঠাৎ করে পারভেজকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পারভেজকে খোঁজ পাওয়া গেল।

মূলত বিয়ের আগে পারভেজ তাদের বাড়ির পাশে একটি মেয়েকে পছন্দ করতেন। এই কথা পারভেজ তার মা-বাবা এবং কাউকে বলে নাই। পারভেজ ওই মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। যদিও কিছুদিন পর জানা গেল মেয়েটি বাড়িতে নেই তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এই কারণে সবাই সন্দেহ করল পারভেজ মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। তারপর মেয়েদের সাথে পারভেজের ফ্যামিলির আলোচনা করলো তাদের মেয়ে কোথায়। মেয়েদের ফ্যামিলি জানে তবে কিছুই বলে না।

এদিকে পারভেজের প্রথম ওয়াইফের বাড়ির লোক গুলো এসে পারভেজের মা-বাবার সাথে ঝগড়া করতেছে। কিছুদিন পর পারভেজ আর দ্বিতীয় ওয়াইফ কে নিয়ে বাড়িতে আসলেন। এই নিয়ে তাদের সংসারে অনেক বড় ঝগড়া সৃষ্টি হল পারভেজের মা-বাবার সাথে পারভেজের। পারভেজের দ্বিতীয় ওয়াইফ নিয়ে যখন বাড়িতে আসলো তখন তার ওয়াইফ দেখে অনেক কান্নাকাটি করল। এবং এই কথা পারভেজ এর প্রথম ওয়াইফ তাদের বাড়িতে মোবাইলে কল করে বলবেন।

এরপর পারভেজ এর প্রথম ওয়াইফের আত্মীয়-স্বজন এসে পারভেজের বাবাকে দোকানে অনেক অপমান করলেন এবং তার দোকানটি ভেঙে ফেললেন। পারভেজ এর বাবা অনেক কষ্ট পেলেন বলে একমাত্র ছেলের জন্য আজ তাকে সবার সামনে অপমান হতে হল। এরপর পারভেজের বাবা অনেক দুঃখ কষ্ট মনে রেখে বাড়িতে গেলে। প্রথমে কাউকে কিছু বলে নাই। পরে বাড়িতে গিয়ে দেখতেছে তার ছেলের প্রথম ওয়াইফ বাড়ি থেকে তাদের বাড়িতে চলে গেল। বাড়িতে গিয়ে দেখে পারভেজ তার মায়ের সাথে ঝগড়া করতেছে।

এরপরে পারভেজ এর বাবা ঘরের সামনে মাথা ঘুরিয়ে পড়ে গেলেন। তারপর তাড়াতাড়ি করে পারভেজের বাবাকে হাসপাতালে সবাই নিয়ে গেল। যদিও পারভেজের বাড়ি থেকে হাসপাতাল অনেক দূরে। এবং হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার পারভেজের বাবাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বলে সে বড় ধরনের স্ট্রোক করেছে এই কারণে মারা গেছে। তার মুখ এবং নাক দিয়ে রক্ত যাচ্ছে। আসলে একমাত্র ছেলে পারভেজের কারণে তার বাবা দুনিয়া থেকে চলে গেলেন।

এখন পারভেজ এর বাবার মৃত্যুর জন্য তাকে দায়ী করেন সবাই। এদিকে পারভেজের দ্বিতীয় স্ত্রী বাড়িতে এসে তার মাকেও একদম দাম দেয় না। এই হচ্ছে পারভেজের জীবন কাহিনী। ছেলের জন্য বাবার জীবনে কষ্ট। আশা করি আমার বাস্তব গল্পটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

আমার পরিচয়

IMG_20221006_094439.jpg

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 6 months ago 

আসলে ভাইয়া আমাদের সমাজে পারভেজের মতো মানুষের জন্য মা বাবার কষ্টের শেষ থাকে না। আপনার গল্প পড়ে সত্যি অনেক কিছু শিখতে পারলাম। সত্যি এমন ছেলে হলে বাবা মার বেঁচে থাকা অনেক কষ্টের। যাইহোক পারভেজের বাবার মৃত্যু হয়তো এভাবেই ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লিখেছেন।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

এটি একদম ঠিক বলেছেন পারভেজ এর মত মানুষের কারণে মা-বাবার কষ্টের শেষ থাকে না। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

আসলে পারভেজ ভুল করেছে প্রেম করার পরেও বিয়ে করে।কি দরকার ছিলো একটি মেয়ের জিবন নষ্ট করার।প্রথম বউ তো কান্না করবে এবং ওনার বাপের বাড়ির মানুষ তো ঝগরা করবেই এটাই স্বাভাবিক। পারভেজের বাবা ছেলের দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে না পেরেই স্ট্রোক করেছে নিশ্চয়ই। ছেলের এমন কাহিনির জন্য বাবার মৃত্য হয়ে গেলো।খুব দুঃখজনক ঘনটা ভাইয়া।ভীষণ খারাপ লাগলো পোস্ট টি পড়ে।ধন্যবাদ

 6 months ago 

আসলে ছেলের কারণে বাবা অনেক কষ্ট পেয়েছে। এবং সেই কষ্টের কারণে তার বাবা মারা গেছে। যাই হোক আপনার মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো।

 6 months ago 

পারভেজ আসলে সবার এতো আদর পেয়েছে বলেই, এভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পারভেজ যদি বিয়ের আগে তার পরিবারকে জানাতো নিজের প্রেমের কথা, তাহলে পারভেজের পরিবার অবশ্যই মেনে নিতো। কিন্তু পারভেজ না বলে বিরাট বড় ভুল করেছে। আর পারভেজের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করলো তার বাবা নিজের জীবন দিয়ে। পারভেজ আসলেই একজন কুলাঙ্গার সন্তান। তবে পারভেজ জীবনে কখনোই সুখী হবে না। যাইহোক এতো সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

হ্যাঁ ভাইয়া পারভেজ যদি বিয়ের আগে তার প্রেমের কথা জানাতো ফ্যামিলিতে তাহলে এত সমস্যা হতো না। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 6 months ago 

এই গল্পে পূর্ববর্তী পর্বগুলো আমি পড়েছিলাম। আজকে এই গল্পের শেষ পর্ব পড়েও খুব ভালো লাগলো৷ আসলে পারভেজ যদি তার পরিবারকে তার প্রেমের কথা জানিয়ে দিত তাহলে হয়তো এরকম পরিস্থিতি কখনো আসত না৷ তার পরিবারকে তার প্রেমের কথা না বলার কারনে তার বাবাকে তার জীবন দিয়ে দিতে হয়েছে যা তার জন্য কখনোই ঠিক নয়৷ কারণ সে তার পিতা মাতার বদ দোয়া নিয়ে নিয়েছে এবং সে তার জীবনে কখনো সুখী হতে পারবে না৷ অনেক ভালো লাগলো আপনার আজকের এই গল্পটি পড়ে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ।

 6 months ago 

তবে কিছু কিছু সন্তানের কারণে মা বাবা অনেক কষ্ট করে। পারভেজের কারণে তার বাবা কষ্ট পেয়ে দুনিয়া থেকে চলে গেল। আপনারা অসাধারণ মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

আসলে বেশি আদর পেলেও সন্তান অনেক সময় মানুষ হয়না। পারভেজের বেলায় ও তাই হয়েছে। আসলে পারভেজের প্রথম বইয়ের বাপের বাড়ির লোকজন এভাবে ঝগড়া এবং তাকে অপমান করাটা স্বাভাবিক একটা স্ত্রী থাকতে সে আবার আরেক টা মেয়ের সাথে এভাবে পালিয়ে গেলে সবাই এরকম করবে। আর তার বাবা ও ছেলের দ্বিতীয় বিবাহ এবং আত্মীয় স্বজনদের অপমান সহ্য না করতে পেরে স্টক করেছে। দুঃখজনক একটি ঘটনা শেয়ার করেছেন আপনি যা পড়ে খারাপ লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

হ্যাঁ আপু কথাটি একদম ঠিক বলেছেন বেশি আদর পেলে সন্তান অনেক সময় মানুষ হয় না। সুন্দর মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো।

 6 months ago 

আসলেই সন্তান মা বাবার দুঃখ না বুঝলে অনেক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যায়।আপনি সুন্দর এবং বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করেছেন।যেটা পড়ে কিছুটা খারাপ লাগলো পারভেজের বাবার জন্য।আসলে পারভেজ এমন কাজ না করলে কখনো অকালে তার প্রাণ যেত না।ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

আপু পারভেজের কারণে তাদের ফ্যামিলি সুখ নষ্ট হয়ে গেলো। এখন পারভেজকে সবাই খারাপ ভাবে। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

আপনার গল্পের প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম। আসলে কিছু কিছু জায়গাতে এক বাবা সন্তান গুলো অনেক সময় দেখা যায় খারাপ হয়। যদি পারভেজ বিয়ের আগে বলতো তার পছন্দের মেয়ে আছে তাহলে এত সমস্যা হত না। এবং পারভেজের কারণে তার বাবা স্ট্রোক করে মারা গেছে। এটি আত্মীয়-স্বজন সবাই বলবে। তবে তার বাবার মৃত্যু এভাবে লেখা ছিল এটাই মেনে নিতে হবে। তারপরও কিছু কিছু মৃত্যু আছে যে মৃত্যু গুলো মেনে নেওয়া খুব কষ্টকর।

 6 months ago 

আসলে এই মৃত্যুর কারণে পারভেজকে সবাই দায়ী করে। তবে এটি ঠিক যার যেভাবে মৃত্যু আসে ওভাবে হবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60510.42
ETH 2615.72
USDT 1.00
SBD 2.60