গল্প :-কিছু ভুলের জন্য আজীবন কষ্ট করতে হয়।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি ঘটনা শেয়ার করব আমাদের বাড়ির একদম পাশের ঘটনা। আমাদের বাড়ির পাশে দূর সম্পর্কের জ্যাঠাতো ভাই হয়। লোকটির নাম হচ্ছে বাবুল ভাই। বাবুল ভাই অতি সাধারণ এবং সরল মানুষ। সেই দীর্ঘদিন যাবত বিদেশ করতেছে। আমি ছোট থেকে দেখতেছি সেই বিদেশ করে। বাবুল ভাই বিগত 20 বছর আগে বিয়ে করেছেন। তার সুখের সংসারে একটা ছেলে একটা মেয়ে আছে। মেয়েটি বড় এবং ছেলেটির ছোট।

বাবুল ভাই বর্তমানে ওমান থাকেন। বাবুল ভাই প্রায় দুই থেকে আড়াই বছর পর পর দেশে আছে। বাবুল ভাই যখন বিদেশ থাকেন তখন তার ওয়াইফ অন্য একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক হয়েছে। এই নিয়ে তাদের সংসার অনেক অশান্তির সৃষ্টি হয়। বাবুল ভাইয়ের ওয়াইফ ছেলেটিকে পরিচয় দিয়েছে তার রিস্তা খালাতো ভাই হয়। প্রথম দুই বছর তেমন কেউ জানতে পারে নাই লোকটিকে বা কেন আসে তাদের বাড়িতে। একপর্যায়ে বাড়ির সবাই এবং আত্মীয়-স্বজন জানতে পারে ছেলেটির সাথে তার ওয়াইফের সম্পর্ক আছে।

এই নিয়ে তাদের সংসারে ও অনেকদিন যাবত অশান্তি চলতেছে। যখন তার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষা দেবে। এমন সময় একদিন তার ওয়াইফ বাড়ি থেকে সকাল বেলা বাইর হল রাত হল বাড়িতে আসলো না। এরপর মেয়েটি এবং মেয়েটির ভাই নানার বাড়ি হইতে সবার কাছে মোবাইলে কল করতেছে। কোথাও তার খোঁজ পেল না। এদিকে তার বাবা এই কথা শুনে দুই দিনের মধ্যে দেশে চলে আসলেন। পরে জানতে পারেন ওই ছেলের সাথে তার ওয়াইফ পালিয়ে বিয়ে করে ফেলেছেন। এদিকে বাবুল ভাই বাড়িতে এসে মাথায় হাত দিয়ে বসলো। বিদেশে তার সম্পূর্ণ টাকা তার ওয়াইফের কাছে। কারণ বাবুল ভাই ভাইগুলো সব আলাগ আলাগ হয়ে গেছে আরো আগে।

এর কিছুদিন পর তার ওয়াইফ বাবুল ভাইয়ের কাছে লোক পাঠিয়েছে তার বিয়ের কাবিননামা দেওয়ার জন্য। এদিকে আমাদের এলাকার লোকগুলো বলতে লাগল সেই নিজের ইচ্ছায় গিয়েছে কেন তাকে কাবিননামা দিতে হবে। এই নিয়ে অনেক কথাবার্তা হয়েছে। কিছুদিন পর বাবুল ভাই আবার বিদেশ চলে গেলেন। এবং বাবুল ভাইয়ের ওয়াইফ যে ছেলেটির সাথে গিয়েছে। এক বছর পর সেই ছেলেটি বাবুল ভাইয়ের ওয়াইফ কে তাড়িয়ে দিয়েছে। ও সংসারে তার একটি ছেলে সন্তান হয়েছে। যখন বাবুল ভাইয়ের ওয়াইফকে ছেলেটি তাড়িয়ে দিয়েছেন সে অনেক চেষ্টা করেছেন বাবুল ভাইয়ের সংসার আসার জন্য।

কিন্তু অনেক চেষ্টার পরও সে আর আসতে পারে নাই। এদিকে তার মেয়েটি এখন কলেজে পড়ে। কিন্তু মেয়েটির জন্য বিয়ের জন্য আসলে তার মায়ের কথাগুলো আসে। এই কারণে মেয়েটির এখন বিয়ে হচ্ছে না। এদিকে বাবুল ভাইয়ের ওয়াইফ বাবুল ভায়ের কাছে পর্যন্ত মোবাইলে কল করেছে। তাকে একবার ক্ষমা করার জন্য। কিন্তু বাবুল ভাই তার কথাই রাজি হলো না। তোমার কারনে আমার ছেলেমেয়েদের জীবন নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আমার মেয়েটিকে আমি বিয়ে দিতে পারতেছি না। এবং বাবুল ভাইদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছেও সে অনেক কান্নাকাটি করেছে তাতে কোন লাভ হয় নাই। এই হচ্ছে কিছু কিছু সম্পর্কের জন্য আজীবন কাঁদতে হয়।