লাইফ স্টাইল:-নদীর কূলে কাবাব খাওয়ার মুহূর্ত।

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।

IMG-20231017-WA0017.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব অনেকদিন আগে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার মুহূর্ত। আমি যখন বাড়ি থেকে আমার শ্বশুর বাড়িতে গেলাম। তখন আমি আমার ওয়াইফ কে বললাম আমরা সবাই কোথাও ঘুরতে যাব। কথাটি শুনে আমার ওয়াইফও রাজি হয়ে গেল। এরপর আমি চিন্তা করলাম কোথায় ঘুরতে যাব। দাগনভূঞা বাজারে রেস্টুরেন্ট অনেকবার গিয়েছিলাম আমরা। এই কারণে আমরা চিন্তা করলাম অন্য কোথাও যাওয়া যায় কিনা। এরপর প্রথমে কয়েকটি জায়গার নাম বললাম যাওয়ার জন্য আমার ওয়াইফ রাজি হলো না।

IMG-20231017-WA0007.jpg

তারপর আমার ওয়াইফ বলতে লাগলো মিয়াজির ঘাটে একটা নতুন রেস্টুরেন্ট হয়েছে ওখানে যাবে। আমি তাকে বললাম ওই জায়গাটি দূর আর আমাদের মেয়েও ছোট। এরপর আমার বলতে লাগলো ওখানে যাবে। তখন আমি আর আমার ওয়াইফ দুইজন ছিলাম। তারপর আমার ওয়াইফ কে বললাম সবাই একসাথে গেলে ভালো লাগবে। এরপর আমার ওয়াইফ সোনিয়া আপু এবং রকি ভাইয়াকে কল করলেন। তাদেরকে বলতেছে সবাই মিলে ঘুরতে যাবে। প্রথমে রকি ভাইয়া রাজি হয়নি।

IMG-20231017-WA0005.jpg

মূলত সে ব্যস্ততার কারণে যেতে পারবে না। কিছুক্ষণ পরে কল করে বলল যাবে। এরপর আমি আর আমার ওয়াইফ এবং আমাদের এক বাগদি সাদিয়া আমরা সবাই রকি ভাইয়াদের বাড়িতে চলে গেলাম। কারণ ওখান থেকে আমরা সবাই একসাথে হয়ে মিয়াজির ঘাটে ঘুরতে যাব। এরপর আসরের পর আমরা সবাই একসাথে গাড়ি ঠিক করে মিয়াজির ঘাটে উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা ওখানে সবাই পৌঁছে গেলাম। মূলত নদীর পাশে রেস্টুরেন্ট এই কারনে ওখানে সব সময় মানুষগণ বেশি থাকে।

IMG-20231017-WA0018.jpg

তারপর আমরা ওখানে গিয়ে অনেকক্ষণ নদীর ধারে ঘুরলাম যদিও এর আগে আমরা আমাদের পছন্দের খাবার গুলো অর্ডার করলাম। তবে আমি আমার ওয়াইফকে বললাম কি খাবে। তারপর আমার ওয়াইফ সোনিয়া আপুকে বলে সবাইর জন্য অর্ডার দিলেন। কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরির পর আমরা তখন একটাই কামড়ায় বসলাম। এরপর আমাদের খাবার গুলো দিল সবাই মিলে খুব মজা করে খাবারগুলো খেলাম। প্রথমে আমরা যেগুলো অর্ডার করলাম সবাই মিলে খেয়ে ফেললাম। তারপর আবার বাড়তি কিছু অর্ডার দিলাম।

IMG-20231017-WA0009.jpg

এরপর রেস্টুরেন্ট লোকটি আমাদেরকে বিল দিলেন। আমরা যতটুক ধারনা করেছি টাকা তার চেয়ে কম এসেছে। এরপর আমরা টাকাগুলো পেমেন্ট করে বাহির হলাম এবং ওখানে কয়েকটা ফটোগ্রাফি করলাম। আসলে রেস্টুরেন্টে বসার জায়গাটি খুব সুন্দর। বিশেষ করে নদীর পাশে এবং পরিবেশ মানুষকে বেশি মুগ্ধ করে। তারপর আমরা অনেকক্ষণ ওখানে আরো ঘুরাঘুরি করলাম। এরপর আমি আর রকি ভাইয়া মিলে গরম চা খেলাম। তারপর আমরা সবাই মিলে আবার গাড়ি ঠিক করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আসলে সবাই মিলে কোথাও ঘুরতে গেলে মজাই আলাদা। এই হচ্ছে নদীর কূলে কাবাব হাউজের কাবাব খাওয়ার মুহূর্ত।

আমার পরিচয়

IMG_20221006_094439.jpg

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 6 months ago 

ছোট বাচ্চা থাকলে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া বেশ কষ্টকর। তাছাড়া এক রেস্টুরেন্টে বারবার খেতে ভালো লাগে না। এজন্য আপনারা অন্য রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। একা একা যাওয়ার থেকে সবাই মিলে একসঙ্গে গেলে বেশি মজা হয়। আপনারা রকি ভাইয়াদের নিয়ে গিয়েছিলেন জন্য বেশি মজা হয়েছিল মনে হয়। যাইহোক বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন সবাই মিলে। ভালো লাগলো দেখে।

 6 months ago 

হ্যাঁ আপু ছোট বাচ্চা থাকলে দূর কোথাও ঘুরতে যাওয়া খুব কষ্টকর। আর ঐদিন সোনিয়া আপু এবং রকি ভাইয়া থাকার কারণে বেশি ভালো লাগলো। উৎসাহিত মূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 6 months ago 

সবাই মিলে কাবাব খেতে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। সবার সাথে একসাথে কোথাও ঘুরতে গেলে কিংবা খেতে গেলে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 6 months ago 

হ্যাঁ আপু ঐদিন সবাই মিলে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম। যাইহোক সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

হ্যাঁ আপু ঐদিন অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছে সবাই মিলে। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

আসলেই ভাই, সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করলে সেই মুহূর্তের আনন্দ যেন আরো বেড়ে যায়। আমরা সকলেই চাই আমাদের খুশির মুহূর্ত গুলোই সবার সাথে শেয়ার করে নিতে। রকি ভাই সোনিয়া আপু আপনারা সবাই মিলে একসাথে বেশ জম্পেশ খাওয়া দাওয়া করে এবং একসাথে ঘুরাঘুরি করে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন , দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এভাবেই সকলে মিলেমিশে ভালো থাকুক, সেই দোয়া।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

রকি ভাইয়া এবং সোনিয়া আপু সবাইকে একসাথে নিয়ে মোটামুটি ভালই সময় কাটিয়েছিলাম। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

এটি একদম ঠিক বলেছেন সুন্দর মুহূর্তগুলো শেয়ার করলে সে আনন্দ আরও বেড়ে যায়। অসাধারণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

একদমই ঠিক বলেছেন ৷ ঘোরাঘুরি'র সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখতে এবং শেয়ার করতে ভীষণ ভালো লাগে ৷ আপনি আপনার ওয়াইফের সাথে কিছু দিন আগে ঘুরতে বের হয়েছেন এবং রেস্টুরেন্টে কাবাব খাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে , আপনার কাটানো সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ৷

 6 months ago 

ঐদিন আমার ওয়াইফ এবং রকি ভাইয়া ও সোনিয়া আপু আরও ভাগ্নি ছিল সবাই একসাথে ঘুরতে গেলাম। অসাধারণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

সবাইকে একসাথে দেখতে পেরে কিন্তু বেশ ভালো লাগছে ভাইজান। আপনারা নদীর পাড়ের সুন্দর এই রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া দাওয়া করেছেন, সত্যি ব্লগারদের যখন একসাথে দেখতে পারি তখন আনন্দে মনটা ভরে ওঠে। মন চায় সবাই যদি একসাথে এভাবে পথ চলতে পারতাম কতই না ভালো হতো।

 6 months ago 

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এত সুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 6 months ago 

আসলে নদীর পাড়ে রেস্টুরেন্টে বসতে খাওয়া-দাওয়া করতে অনেক ভালো লাগে। খুব সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

নদীর ধারে হাটতে কিংবা বসে থাকতে ভালো লাগে আর সেই নদীর ধারে যদি এতো সুন্দর রেষ্টুরেন্টে ও মজাদার সব খাবার পাওয়া যায় তাহলে তো জমে যায় বিষয় টা।আপনারা রকি ভাইয়া ও সোনিয়া আপুকেও ফোন করে নিয়ে গেছেন এবং এক সাথে সময় কাটিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।আপনার বাবুটাকে কোলে নিতে মন চাচ্ছে। আপনাদের বাবুকে কোলে নেয়ার ফটোগ্রাফি টি ভীষণ সুন্দর হয়েছে। নীল আকাশ আপনাদের ফটোগ্রাফির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছেন দ্বিগুণ। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মুহুর্ত গুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

 6 months ago 

সেই কাবাব হাউস টি একদম নদীর ধার হয়েছে। ওখানে খোলামেলা জায়গাতে ঘুরতে ভালো লাগে এবং পছন্দের খাবার ও খাওয়া যায়। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন নদীর পাশে রেস্টুরেন্ট থাকলে সেই পরিবেশটা দেখতে কিন্তু বেশ লাগে। একদিকে নদীর অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা যায়, অন্যদিকে রেস্টুরেন্টের মুখরোচক খাবার গুলো খেয়ে স্বাদ গ্রহণ করা যায়। আর এ দুটো যখন একসাথে পাওয়া যায় তখন ভাললাগাটা সত্যিই থাকে অন্যরকম। আপনাদের নদীর কূলে কাবাব খাওয়ার মুহূর্তটি খুবই ভাল ছিল, দেখে ভালো লাগলো ভাই।

 6 months ago 

হ্যাঁ ভাইয়া নদীর ধারে রেস্টুরেন্ট থাকলে পরিবেশটা দেখতে বেশ ভালো লাগে। এবং এই পরিবেশ সবাই উপভোগ করে। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

আপনি ঠিক বলছেন ভাইয়া মাঝেমধ্যে যখন ঘুরতে যাওয়া হয় মনটা বেশ ফ্রেশ হয়ে যায়। তাছাড়া বেশ নিজেকে হালকা মনে করা যায়। সেই বিষয় গুলো যখন শেয়ার করা যায় সবার সাথে অনেক ভালো লাগে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আপনারা খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটালেন। তাছাড়া কাবাব খাওয়ার মুহূর্ত টি অসাধারণ ছিল।

 6 months ago 

আপু মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মনটা বেশ ফ্রেশ হয়ে যায়। তাই মাঝে মধ্যে আমি পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে যাবার চেষ্টা করি। অসাধারণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57899.47
ETH 3134.16
USDT 1.00
SBD 2.39