ভ্রমণ :- ঈদের সময় নাশিয়াকে নিয়ে নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভালো আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ঈদের সময় ভাগ্নির নাশিয়াকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। ঈদের সময় ছোট বড় সবাই ঘুরতে যেতে খুব পছন্দ করে। ঈদের পরের দিন ভাইয়া এবং আপুর সাথে নাশিয়া আমাদের বাড়িতে আসলো। এবং আসার পর দুপুরবেলা খাওয়া দাওয়া করে যখন আমরা রেস্ট করতেছি। তখন নাশিয়া বায়না ধরেছে তাকে নিয়ে ঘুরতে যেতে। যদিও ঈদের দিন আরো অন্যান্য মেহমান আসলো।
পরে আমি নাশিয়াকেক্ষ একটু পরে ঘোরানোর জন্য নিয়ে যাবো। বলার সাথে সাথে সে অনেক খুশি হয়েছে। এরপরে বারবার জিজ্ঞেস করতেছে তাকে ঘোরানোর জন্য কোথায় নিয়ে যাবে। তখন তাকে আমি বললাম নদীর ধারে ঘুরাতে নিয়ে যাবো। সাথে সাথে নাশিয়া বলতেছে তাকে নদীর নৌকায় তুলতে হবে। ছোট ভাগ্নির আবদার রক্ষা করার জন্য আমি ঠিক করেছি নদীতে নৌকায় তুলবো। কিছুক্ষণ পরে একটি রিক্সা নিয়ে নাশিয়াকে নিয়ে নদীর ধারে ঘুরতে গেলাম।
কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা মাভুলের ঘাট নদীর ধারে পৌঁছে গেলাম। যদিও এই নদীর ঘাট অনেক পুরনো এই কারণে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসে ঘুরতে। এবং নদীর দুইপাশে অনেক বড় বড় চর ও সরকারি গাছ রোপন করেছে দেখতে পরিবেশ অসাধারণ। আমি নিজেও প্রায় সময় নদীর ধারে ঘুরতে যাই। যখন নদীর ধারে নাশিয়াকে নিয়ে গেলাম সে অনেক খুশি হয়েছে। সাথে সাথে বলতেছে মামা নৌকায় উঠবো।
তারপর আমি তাকে নিয়ে নৌকায় উঠলাম এবং নদীর ওইপাশে গেলাম। আসলে নাশিয়ার খুশি দেখে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। এরপর নদীর ঐপাশ দোকান থেকে চিপস ও অন্যান্য জিনিস নিয়ে দিলাম। এরপর সে নদীর ধারে অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরি করতেছে। একবার বলতেছে নৌকায় আবার উঠবো আবার বলতেছে সামনের দিকে যাব। যদিও নাশিয়াকে ঘুরতে আমি একাই নিয়ে গেলাম। এই কারণে আমার কাছে খুব ভয় লাগতেছে। কারণ ছোট বাচ্চা দৌড়াদৌড়ি করলে সমস্যা হতে পারে।
এরপর নাশিয়া আরো জিজ্ঞেস করতেছেন নদীর মধ্যে পানি এত বেশি কেনো। আমাদের বাড়ির পুকুরে পানি কম। যদিও আমি তাকে নিয়ে অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরি করার পর বাড়িতে আসতে চাইলাম। সে বলতেছে আরো অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরি করবে। আর নদীর ওপারে সরকারি গাছের নিচে বসে অনেক খেলাধুলা করতেছে। যদিও নদীর ধারে ঘাসের কারণে গায়ে মাটি লাগেনা। এরপর আমি নাশিয়াতে নিয়ে বাড়িতে আসার জন্য রিক্সা নিয়ে নিলাম। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদের বাড়িতে চলে আসলাম। বাড়িতে আসার পর বলতেছে সে আবার ঘুরতে যাবে নদীর ধারে। তারপর আমি তাকে বুঝিয়ে বললাম অন্যদিন ঘুরাতে নিয়ে যাব। এই হচ্ছে নাশিয়াকে নিয়ে নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।
device : Huawei
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1780200280153567484?t=ia10HsvZmQppjzK5lgY6-A&s=19
আমি আগে জানতাম না রকি ভাইয়া ও সানিয়া আপুদের সাথে আপনার কেমন সম্পর্ক। তবে এই পোষ্টের মাধ্যমে ভালোভাবে জেনে গেছি। ঈদের সময় নাশিয়াকে নিয়ে নদীর ধারে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। ঈদের সময় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে খুবই ভাল লাগে। তবে অন্যদিনের তুলনায় ঈদের সময় একটু বেশি মানুষের ভিড় হয় বিভিন্ন জায়গাতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
তাহলে আপু এখন জানতে পারলেন রকি ভাইয়া এবং সোনিয়া আপু আমার কি আত্মীয় হয়। তবে আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
তাহলে ঈদের সময় নাশিয়াকে নিয়ে নদীর ধারে ঘুরতে গেলেন। তবে নদীর ধারে ঘুরতে গেলে এমনিতে বেশ ভালো লাগে। দুই পাশে অনেক বড় বড় চর এবং বিভিন্ন ধরনের গাছ রোপন করেছে নদীর ধারে। বলতে গেলে প্রাকৃতিক পরিবেশ মানুষকে নদীর ধারে বেশি আকৃষ্ট করে। যাইহোক নাশিয়াকে নিয়ে সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন নদীর ধারে তা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
হ্যাঁ নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার অসাধারণ মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
ছোট ভাগ্নির আবদার রক্ষা করার জন্য আপনি তাকে নিয়ে নদীর ধারে ঘুরতে গিয়েছেন, এটা তো ভালো কথা ভাই। তবে আপনি যেহেতু আপনার ভাগ্নিকে নিয়ে একাই ঘুরতে গিয়েছিলেন, তাও আবার নদীর মতো এরকম একটা জায়গা, সেক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতেই হত । যাইহোক, শেষ পর্যন্ত তাকে নিয়ে আপনি ঘুরে ফিরে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন এবং সেও অনেক খুশি হয়েছিল, এটাই সব থেকে বড় কথা।
হ্যাঁ ভাইয়া নদীর ধারে ঘুরতে গেলে ছোট বাচ্চা নিয়ে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোট বাচ্চারা ঘুরাঘুরি করতে অনেক পছন্দ করে। আর তাদের আনন্দ দেখেও ভালো লাগে।নাশিয়াকে দেখে অনেক ভালো লাগলো।নাশিয়াকে নিয়ে নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। অনেক অনেক শুভকামনা রইল মামনির জন্য।