অনুভূতি :-বন্ধুর মামাতো বোনের বিয়ে খেতে যাওয়ার মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বন্ধুর মামাতো বোনের বিয়ে খেতে যাওয়ার মুহূর্ত। এর আগে আমি একটি পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আজকে শেষ পর্বটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে লাগলাম। আসলে আমার বন্ধুর মামাতো বোন এবং তাদের পরিবার থাকে চট্টগ্রামে। আর ছোটকাল থেকে তারা চট্টগ্রামে বসবাস করে। আর সেই সুবাদে তার বিয়ে ঠিক হয়েছে চট্টগ্রামে। এই কারণ অনুষ্ঠানটি করা হয়েছে চট্টগ্রাম একটি রেস্টুরেন্টে। আর বন্ধুর মামাতো বোনের বিয়ের উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে দাওয়াত দিলেন এবং ৭ থেকে ৮ টি গাড়ি ধরালেন। মূলত মাইক্রো করে গ্রামের বাড়ির লোক গুলো বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য দাওয়াত দিলেন। আমি যখন শেয়ার করেছিলাম বন্ধুর মামাতো বোনের বিয়ের উপলক্ষে আমরা ঐখানে গেলাম। আর আমাদের এই জায়গা থেকে চট্টগ্রাম যেতে পাই তিন থেকে চার ঘন্টা সময় লাগে।

প্রথমে আমরা যাওয়ার পর শুক্রবার থাকার কারণে সবাই নামাজ আদায় করে নিলাম। এরপর আমরা সবাই কমিটি সেন্টারে গেলাম। যদিও গ্রাম অঞ্চলের বিয়ের অনুষ্ঠান আর শহরের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ গ্রাম অঞ্চলের বিয়ের অনুষ্ঠানগুলো তিনদিন পর্যন্ত থাকে এবং সুন্দর করে অনুষ্ঠান করা হয়। আমার বর্তমানে এখন কমিটির সেন্টারে একই দিনে অনুষ্ঠান শেষ করে ফেলে। আর সজীব আমার ছোটকালের বন্ধু এবং একসাথে লেখাপড়া করেছি। এবং সজীব আমাদের বাড়িতে আসত আমি তাদের বাড়িতে যেতাম। আর সেই হিসাবে সজীবের মামাদের সাথেও আমার ভালো সম্পর্ক। আর যখন ওই কমিটির সেন্টারে গেলাম প্রথমে এলাকার কয়েকজন বসে গেল খাওয়া-দাওয়া করার জন্য।

যদিও আমি প্রথমে বসার সুযোগ পাই নাই পরে দেখলাম আমাদের লোক যারা বসলেন তাদের ওইখানে একটি টেবিল খালি আছে। আর এই কারণে ওইখানে ওই সময় আমি বসার সুযোগ পেলাম। দুই পক্ষের লোক একসাথে হওয়ার কারণে রেস্টুরেন্টে মোটামুটি ভালই জামিলা ছিল। তবে খাওয়া-দাওয়া গুলো তারা একে একে পরিবেশন করতে লাগল ওইখানের লোক গুলো। আর আমি এই প্রথম বিদেশ থেকে আসার পর চট্টগ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলাম। কারণ বিগত কয়েক বছর বাইরে থাকার কারণে চট্টগ্রাম কোন অনুষ্ঠান দেখি নাই। এই কারণে চট্টগ্রামের অনুষ্ঠানে গেলাম। আর খাওয়া-দাওয়াগুলো সুন্দরভাবে দিল ওই সময় আমি কিছু ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম।

যদিও খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা একটি কক্ষে বসে রইলাম। কারণ গ্রাম থেকে অনেক লোক গেল সবাই একসাথে আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবো একসাথে এই কারণে। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত ওইখানে ছিলাম খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম। ওই সময় পর্যন্ত বর এবং পাত্রী কেউ রেস্টুরেন্টে আসে নাই। এই কারণে আমি বর এবং পাত্রী কাউকে দেখিনি। যদিও সজিবের মামাতো বোনকে আমি ছোটকালে দেখেছিলাম। আর এখন অনেক বড় হয়ে গেল এই কারণে একটু দেখার আগ্রহ ছিল। এবং বর এবং পাত্রীকে দেখার জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলাম।

আর অনেকক্ষণ বসার পর যখন আমাদের এইখানে গাড়িগুলো চলে আসবে তখন চলে আসতে লাগলাম। যদিও আমার বন্ধু বলেছিল তার সাথে যাওয়ার জন্য। আর আমি চিন্তা করলাম দূরে রাস্তা বিদায় জলদি আসতে পারলে ভালো। এই কারণে ওই সময় চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিলাম। আসলে চট্টগ্রাম বিয়েতে গিয়ে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগলো। যদিও দূর এলাকায় বিয়ে গুলোতে গেলে গাড়িতে জার্নি অনেক বেশি হয়। আর সুন্দর সময়ও কাটে। আবার আমরা যখন ওখান থেকে রওনা দিলাম মাগরিবের পর পরে আমরা বাড়িতে পৌঁছে গেলাম। তবে বর এবং পাত্রী না দেখার কারণে তাদের ছবি দিতে পারলাম না। আশা করি চট্টগ্রাম বন্ধুর মামাতো বোনের বিয়েতে দাওয়াত খেতে যাওয়ার মুহূর্ত দেখে আপনাদের ভালো লাগবে।