ভ্রমণ:- নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করবো। আসলে ঘুরতে যেতে কমবেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আর আমি মনে করি মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ফ্রেশ থাকে। সেই জন্য আমি চেষ্টা করি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়ার। তেমনি আজকেও আপনাদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা মুহূর্ত শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। বিগত কয়েক মাস আগে আমি আমার ওয়াইফ এবং মেয়েকে নিয়ে নদীর ধারে ঘুরতে গেলাম। আসলে নদীর ধারে ঘুরতে গেলে এমনিতে ভালো লাগে। বিশেষ করে নদীর সৌন্দর্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবকিছু উপভোগ করা যায়। আর এসব জায়গাতে গেলে মন খারাপ থাকলে মন ভালো হয়ে যায়। তাই মাঝে মধ্যে চেষ্টা করি ঘুরতে যেতে। একদিন মাদ্রাসা বন্ধ থাকার কারণে আমি চিন্তা করলাম ঘুরতে যাব। তখন আমার ওয়াইফ কে বললাম কোথাও ঘুরতে যাব। এরপর দুজন মিলে ঠিক করলাম কোথায় ঘুরতে যাব। তারপর আমরা সকালবেলায় বাহির হলাম নদীর ধারে পৌঁছে যাব এবং পাশে এলাকাতে ঘুরতে যাব।

আর যে নৌকার ঘাট আছে এটি মোটামুটি আমাদের বাড়ি থেকে দূরে আছে। আর আপনারা হয়তো অনেকে জানেন আমাদের এইখানে সুইজগেট ভেঙে যাওয়ার কারণে সকাল এবং সন্ধ্যা দুই সময় নদীতে জোয়ার আছে। যখন নদীতে জোয়ার থাকে না তখন নদীতে পানি থাকে না এবং কাদামাটি থাকে অনেক। আর কাদা মাটির কারণে চলাফেরা করতেও কিন্তু কষ্ট হয়। কারণ অনেক খানি জায়গার মধ্যে কাদামাটি থাকে। আর একটু এদিক ওদিক হলে কাদা মাটিতে মানুষ পড়ে যায়। আর যখন জোয়ার আসে তখন নদীতে পানি অনেক বেশি থাকে। ওই সময় নদীতে পানি থৈ থৈ করে। যারা সব সময় চলাফেরা করে তারা নদীতে ভয় পায় না। আর যারা হঠাৎ করে চলাফেরা করে নদীতে তারা নদীতে ভয় পায়।

তারপর আমরা নাস্তা করে বাহির হলাম নদীর ধারে ঘুরতে যাওয়ার জন্য। এবং বাড়ির সামনে থেকে একটি রিকশা নিয়ে আমরা নদীর ধারে গেলাম। আর ওই সময় নদীর ধারে গিয়ে দেখি নদীতে পানি নেই। আর কাদামাটি অনেক সেটা দেখে সত্যি ভয় লেগে গেল। কারণ যেখানে নৌকা আছে ওই পর্যন্ত হেঁটে যেতে হবে কাদামাটি দিয়ে। প্রথমে আমরা সিদ্ধান্ত করলাম নৌকায় উঠবো না এবং নদীর ওই পাড়ে যাবো না। পরবর্তীতে যখন আসলাম সেই কারণে নদীতে যাবো এবং নৌকাতে উঠবো ঠিক করলাম। এরপর আমি আমার মেয়েকে কোলে তুলে নিলাম। এবং মেয়েকে নিয়ে আমি নৌকাতে উঠলাম। এবং পিছন দিয়ে আমার ওয়াইফ গেল নৌকাতে ওঠার জন্য। আর ওই সময়ের নদীতে পানি খুব কম ছিল। এই কারণে অনেকখানি জায়গা আমরা হাঁটতে হয়েছে।

তবে নৌকাটা দেখি ছোট্ট একটি ছেলের নৌকা চালাচ্ছে। এই সময় ছেলেটি পড়ালেখা করার সময়। হয়তোবা ফ্যামিলির কারণে এত ছোট ছেলে নৌকা চালাচ্ছে। তখন আমরা নৌকাতে উঠে বসলাম। আর ওই সময় কিছু লোক ও ছিল। তারপর আমরা নৌকা করে নদীর ওপারে গেলাম। তবে নদীর দুইপাশে সরকারি গাছ থাকার কারণে ঘুরতে গেলে ভালো লাগে। কারণ গাছ গুলো একই সমান এবং গাছগুলো সৌন্দর্য ভালো লাগে। এরপর আমরা ওই পাশে গিয়ে কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত করলাম। তারপর দোকান থেকে কিছু নাস্তা এনে আমরা ওইখানে বসে গেলাম। নদীর এক পাশ হচ্ছে কোম্পানীগঞ্জ আর অন্য পাস হচ্ছে ফেনী জেলা। আর এই কারণে নদীর দুইপাশের এলাকার মানুষ এইখানে ঘুরতে আসে।

তারপর আমরা কিছুক্ষণ সময় বসে আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আর ঐদিন কিন্তু রোদ অনেক ছিল। আর রোদের কারণে খোলা জায়গা গুলোতে হাটা যায় না। তারপর আমরা নৌকায় করে আবার আমাদের এই পাশে চলে আসলাম। তবে মজার বিষয় হচ্ছে নদীর মাটি গুলো যখন পায়ে লাগলো। তখন সাফাই করতে গিয়ে দেখি মাটি গুলো পায়ে থেকে যায় না। এমনিতে মাটি পায়ে লাগলে হালকা সাফাই করলে চলে যায়। আর এই মাটিগুলো সত্যি অনেকক্ষণ সময় পর্যন্ত সাফাই করতে হয়। এরপর আমরা একটি গাড়ি নিয়ে আবার বাড়িতে উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এবং দুপুরের আগে আবার আমরা বাড়িতে চলে আসলাম। মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে। এই হচ্ছে পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

device : Huawei

_{লোকেশন}

আমার পরিচয়

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।