লাইফ স্টাইল :- রকি ভাইয়া এবং সোনিয়া আপুর সাথে নাস্তা খাওয়ার মুহূর্ত।

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।

IMG-20230827-WA0020.jpg

আজকে আমিও শেয়ার করব আপনাদের মাঝে রকি ভাইয়া এবং সোনিয়া আপুর সাথে নাস্তা খাওয়ার মুহূর্ত। কিছুদিন আগে আপনারা আমার একটি পোস্ট দেখেছিলেন আমার মেয়ের জন্য আমি কেনাকাটা করেছিলাম। ঐদিন কেনাকাটা করার পর আমি চিন্তা করলাম ভাইয়া এবং আপুর সাথে একসাথে বসে নাস্তা করব। কারণ ভাইয়ার সাথে অনেকদিন বসে নাস্তা খাওয়া হয় নাই। এই কারণে কাপড়-চোপড় কিনার পর যখন আমি তাদেরকে বলতে লাগলাম রেস্টুরেন্টে যাব নাস্তা করার জন্য। তখন ভাইয়া এবং আপু মানা করলেন তারা এখন যাবে না নাস্তা করার জন্য। পরে আমি অনেক রিকোয়েস্ট করার পর তারা রাজি হয়েছে নাস্তা করার জন্য যাবে।

IMG-20230827-WA0017.jpg

IMG-20230827-WA0022.jpg

এরপর আমি ভাইয়া এবং আপু তিনজন মিলে কোথায় নাস্তা করব ঠিক করলাম। দাগনভূঞা একটি রেস্টুরেন্ট আছে মোটামুটি মার্কেট থেকে কাছে। এরপর আমরা কথা বলতে বলতে ওই মার্কেট থেকে রেস্টুরেন্টের দিকে যেতে লাগলাম। পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমরা ওই রেস্টুরেন্ট গেলাম। যখন আমরা রেস্টুরে গেলাম তখন ওখানে বসার জায়গা নেই। দোকানের লোক বলতে লাগলো পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করার জন্য এরপর বসার জায়গা করে দেবে বসার জন্য। ৫ মিনিট পর আমি এবং আপু ভাইয়া রেস্টুরেন্টে বসলাম। এরপর আপু এবং ভাইয়াকে আমি জিজ্ঞেস করলাম তারা কি নাস্তা খাবে। আপু প্রথমে বলল হালকা কিছু খাবে।

IMG-20230827-WA0009.jpg

IMG-20230827-WA0026.jpg

পরে আমি আপুকে বললাম আপনি যেটি পছন্দ করবেন আমরা সবাই ওই নাস্তাই খাব। কিন্তু আপু কোন নাস্তা খেতে চাচ্ছে না। এরপরে ভাইয়া এই নাস্তাগুলো অর্ডার করেছে। তবে আমি চা গুলো অর্ডার করলাম। এরপর ১০ মিনিটের মধ্যে নাস্তাগুলো আমাদের সামনে দিয়ে দিল। যদিও আমি পরোটা খেতে পছন্দ করি না। এরপর আমি ভাইয়া এবং আপুর সবাই মিলে একসাথে পুরোটা ডাল সবজি এগুলো খেলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে আমাদেরকে চা ও দিলেন। সত্যি বলতে ওই দোকানের চা গুলো এত সুস্বাদু বলে বোঝানো যাবে না। যে একবার এই চা গুলো খাবে সে বারবার খেতে চাইবে।

IMG-20230827-WA0023.jpg

IMG-20230827-WA0024.jpg

বিশেষ করে চা গুলো যতই দাম হোক না কেন খেতে অনেক সুস্বাদ। এরপরে আমি আপু কে জিজ্ঞেস করলাম এবং ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করলাম অন্য কিছু খাবে কিনা। তবে রকি ভাইয়া ঐদিন চা খেলেন না। এরপর আমি ঠান্ডা অর্ডার করলাম। ভাইয়া এবং আপু ঠান্ডাটি খেলেন। এবং ভাইয়ের সাথে আমি অনেকক্ষণ বসে বসে ওখানে কথা বললাম। আসলে ব্যস্ততার কারণে আমরা একসাথে বসে কথা বা দেখাশোনা কম হয়। এরপর আমরা যখন কাউন্টারে আসলাম বিল দেওয়ার জন্য। দেখতেছি খাবারের দাম গুলোর রেট তেমন বেশি না। তবে খাবারের রেট কম হলো রেস্টুরেন্টের পরিবেশ এবং খাওয়া গুলো খুব ভালো।

IMG-20230827-WA0013.jpg

IMG-20230827-WA0014.jpg

এরপর আমরা একসাথে বের হয়ে ভাইয়া এবং আপু বাইক নিয়ে আমার থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। এরপর আমি আমার মেয়ের জন্য কাপড়-চোপড়ে কিনেছিলাম সেগুলো নিয়ে একটি রিক্সা সঠিক করে নিলাম। রিক্সাওয়ালার সাথে দরদাম করে বাড়ির দিকে চলে আসলাম। যদিও দাগনভূঞা বাজার আমাদের থেকে অনেক দূর। ভাইয়ারে থেকে অনেক কাছে দাগনভূঞা বাজার। সত্যি ওই দিন ভাইয়া আপুর সাথে নাস্তা খাওয়ার মুহূর্ত অনেক ভালো লাগলো। ভাইয়া ও আপু আমাদের যে কোন আপদ বিপদে সব সময় আমাদের পাশে থাকে। আশা করি আমাদের নাস্তা খাওয়ার মুহূর্ত তোমাদের অনেক ভালো লাগবে।

আমার পরিচয়

IMG_20221006_094439.jpg

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 11 months ago 

বেশ সুন্দর একটি মুহূর্ত আজ আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। অনেক ভালো লাগলো আপনাদের এই আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে। আপনাদের সুন্দর বন্ধন যেন এভাবে অটুট থাকে আজীবন।

 11 months ago 

সত্য ওই দিনটি অনেক ভালো কেটেছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্য শোনার পর সত্যি অনেক ভালো লাগলো তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 11 months ago 

আপনি মাইসন এর জন্য কিনাকাটা করতে গিয়ে রকি ভাই এবং সোনিয়া আপুর সাথে নাস্তা খাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে প্রিয় মানুষগুলোর সাথে একসাথে বসে নাস্তা খাওয়ার মজাই আলাদা। খুব ভালোই লাগলো একসাথে বসে নাস্তা খেয়ে ভালো সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 11 months ago 

ঠিক বলেছেন প্রিয় মানুষগুলোর সাথে একসাথে নাস্তা খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ তাই আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59596.75
ETH 2659.83
USDT 1.00
SBD 2.45