হঠাৎ আবার বাবাকে ডাক্তার দেখার মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে পোস্ট করব আমার বাবাকে ডাক্তার দেখার মুহূর্ত। আপনারা অনেকেই জানেন আমার বাবা বিগত কয়েক মাস ধরে অসুস্থ। যদিও কিছু মাস হালকা একটু ভাল ছিল। এখন চার পাঁচ দিন যাবত আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছে। যদিও আমি বড় ডাক্তারের ওষুধগুলো খাওয়াচ্ছি। আবার গ্রাম্য ডাক্তারের ওষুধও খাওয়াচ্ছি। তবে ওষুধগুলো যখন ভালো হচ্ছে না তখন আমি চিন্তা করলাম তাকে বড় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো। এরপর আমি বিকেল বেলা চারটা বাজে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম । যদিও আমি প্রথমে ডাক্তারের সাথে মোবাইলে কথা বললাম।

এরপর যখন আমি ডাক্তারে চেম্বারে গেলাম তখন আমার বড় ভাইকে মোবাইলে কল দিলাম। যদিও এই পাইভেট হাসপাতাল অনেকবার গেয়েছি বাবা এবং ফ্যামিলি লোকদের নিয়ে। হাসপাতালের নামটি হচ্ছে এপোলো মেডিকেল সেন্টার। অনেকক্ষণ বসার পর ডাক্তার যখন আসলো আমরা বিজিট দিয়ে ভিতরে গেলাম। তখন ডাক্তার আমার বাবাকে দেখে হেসে কথা বলেন। কারণ এই ডাক্তারের এক সময় আমার বাবাকে বাদ দিয়ে দিয়েছে। কারণ হায়াত যা কয়দিন আছে বাড়িতে রাখার জন্য বলবো। এরপর সে আগের রিপোর্ট এবং বর্তমানে কিছু টেস্ট দিলেন।

এরপর তার শারীরিক সবকিছু একে একে জিজ্ঞেস। যদিও ডাক্তার তেমন পরীক্ষা তার দেয় নাই। বলতেছে এই কয়দিন এই ওষুধগুলো খাওয়ান শুধুমাত্র এই দুটি টেস্ট করান। রক্ত পরীক্ষা ডায়াবেটিস ও এবং কোলস্ট অন্য আরেকটি টেস্ট। এবং যে হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়েছি ওই হাসপাতালে এই পরীক্ষাগুলো করানোর জন্য কথা বললাম। এবং এই পরীক্ষাগুলো করানোর জন্য তারা আমাদের কাছে ২০০০ টাকা চাইলো। আমি প্রথমে মনে করলাম এখানে পরীক্ষা গুলো করবো। এরপর আমার বড় ভাই আমাকে বলতে লাগলো তুমি কিছু বলো না। এরপর আমার বড় ভাই বলতে লাগলো আমি দুইদিন পরে এই পরীক্ষাগুলো করাবো।

এই কথা বলে আমার ভাইয়ের পরিচিত আরেক হাসপাতালে এই টেস্টগুলো করালাম। মাত্র ৯০০ টাকা কোথায় ২ হাজার টাকা আবার কোথায় ৯০০ টাকা। আসলে এখন ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে গেলে মানুষ অনেক পেরেশানি হয়। যদিও কথাটি আমি ডাক্তারকে বললাম। ডাক্তার আমাকে বলল যেখানে কম পাবেন ওখানেই করেন কোন সমস্যা নেই। বর্তমানে আমার বাবার শারীরিক অবস্থা তেমন ভালো নেই। আমি দশ দিনের ওষুধ নিয়েছি তার জন্য প্রায় এক হাজার টাকার উপরে। সবগুলো ওষুধ অনেক পাওয়ার। তারপর ওষুধগুলো তাকে ধরতেছে না।

আসলে মানুষের বয়স হয়ে গেলে ওষুধও তখন ধরে না। বাড়িতে আমি আর আমার ওয়াইফ আর আমার মা আছে। যদিও আমার মাও অসুস্থ তারপরও যতটুক সম্ভব সেবা করার চেষ্টা করতেছে আমার বাবার। তবে বাড়িতে যে সন্তান থাকে তার কাছে মা-বাবার সব দায়িত্ব কাঁধে পড়ে। তবে যারা অফিসার বার শিক্ষিত লোক বাইরে থাকে তাদের উপর এই দায়িত্ব গুলো খুব কম পড়ে। তবে সবচেয়ে বড় কথা আল্লাহ যেন আমার বাবাকে সুস্থ করে দেয়। তিনি একজন কোরআন হাফেজ আল্লাহ তাকে যেন মাফ করে। তবে আপনারা সবাই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।