গল্প:-সন্তানের ইনকামের টাকা বাবা মা খাওয়া অনেক কষ্টকর।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

IMG-20230728-WA0000.jpg

ক্যানভা দিয়ে তৈরি,

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি ঘটনা শেয়ার করব। ঘটনাটি আমাদের আত্মীয় মধ্যে হয়েছে। আমার এক আত্মীয় দু'টি ছেলে সন্তান আছে। যদিও ছেলে সন্তান দুটি এখন অনেক বড় হয়ে চাকরি করে। যখন এই দুটি ছেলে ছোট ছিল তখন তার বাবা একটি মসজিদে চাকরি করে তাদেরকে লেখা পড়া করিয়ে মানুষ করেছে। ছেলে দুটির নাম হচ্ছে পারভেজ এবং রুবেল। পারভেজ ফ্যামিলির বড় ছেলে এবং রুবেল ফ্যামিলির ছোট ছেলে।

তার বাবা যখন মসজিদে চাকরি করতেন এবং অবসর সময় ছাত্র-ছাত্রীদেরকে কোরআন শরীফ পড়াতেন। তবে পারভেজ এবং রুবেলের বাবা সম্পত্তি আছে মোটামুটি ভালো। ছোটকাল থেকে ছেলে দুটিকে খুব ভালো করে মাস্টার রেখে পড়ালেখা করিয়েছে। বর্তমানে তার বড় ছেলে একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষাগতা করে। আর তার ছোট ছেলে একটি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষাগতা করে। তবে তার ছেলের পারভেজ এবং রুবেল বিয়ে করে ফেলেছে।

তবে ছেলে দুটিকে তার মা-বাবা পছন্দ করে বিয়ে করেছেন। বড় ছেলে পারভেজকে তার মামাতো বোন বিয়ে করিয়েছেন। আর ছোট ছেলেকে বিয়ে করাইছেন বাইরে মেয়ে দেখে। বর্তমানে তাদের দুই ভাইয়ের ঘরে দুটি মেয়ে সন্তান আছে। পারভেজ তার ফ্যামিলি নিয়ে বাসায় থাকে। আর রুবেল তার ফ্যামিলি নিয়ে নতুন বাড়ি করে মা বাবা থেকে আলাদা থাকে। তবে পারভেজ এবং রুবেল কখনো তার বাবাকে জিজ্ঞেস করে না আপনি কিভাবে চলেন। এবং আপনার খাওয়া দাওয়া ও ওষুধের পয়সা কোথায় পান।

তারা দুইজনে চিন্তা করে তাদের ওয়াইফ এবং মেয়ে ছাড়া পৃথিবীতে আর কেউ নেই। অথচ বড় বাই পারভেজের ওয়াইফ তার আপন মামাতো বোন। সেই পর্যন্ত তার শশুর শাশুড়িকে দেখতে পারে না। এবং শশুর শাশুড়িকে তাদেরকে এক টাকা দিলে তার মনে কষ্ট লাগে। আর ছোট ছেলে তো মা-বাবার সাথে কথাই বলেনা। অথচ রুবেল এবং পারভেজের বাবা বৃদ্ধ বয়সে তার মাকে নিয়ে অনেক কষ্ট করে জীবন যাপন করতেছে। কিছুদিন আগে আমার সাথে দোকানে বসে একসাথে চা খাইতেছে। ওই সময় তাদের বাবা আমাকে বলেন।

আমার দায়িত্ব ছিল তাদেরকে মানুষ করা এবং ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে করানো। আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। এই কথা রুবেল এবং পারভেজের বাবা বলতেছে। লোকটি আমার দুঃসম্পর্কের কাকা হয়। এবং সে বলতেছে বছরে তাদের ছেলে দুটি কখনো এক হাজার টাকা মা-বাবাকে দেয় না। এ কথা বলতে বলতে দুই চোখের কোণে দিয়ে পানি পড়তেছে। এবং শেষ পর্যায়ে আমাকে বলল ছেলেদের ইনকাম খাওয়া মা-বাবার ভাগ্যে থাকা দরকার। হয়তো আমাদের সে ভাগ্যটা নেই। আমার এই গল্পটির পড়ে আপনাদের আশা করে অনেক ভালো লাগবে।

আমার পরিচয়

IMG_20221006_094439.jpg

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 last year 

আসলে প্রত্যেকটা বাবা-মা তাদের দায়িত্ব সব সময় অনেক সুন্দর ভাবে পালন করে। কিন্তু বেশিরভাগ সন্তানরা বাবা মায়ের প্রতি দায়িত্বটা কখনো পালন করে না। বিয়ের পরে তারা আলাদা হয়ে যায় বাবা মায়ের কাছ থেকে। একবার খোঁজ খবরও নেয় না। সত্যি এরকম সন্তান থাকার চেয়ে না থাকাটাই ভালো। খুব খারাপ লাগছে আপনার দূর সম্পর্কের সেই কাকাটার জন্য। আসলে এটাই সত্য যে সন্তানের ইনকামের টাকা খেতে ভাগ্য লাগে।

 last year 

ঠিক বলেছেন আপনি প্রত্যেক মা-বাবা তাদের দায়িত্ব সব সময় সুন্দরভাবে পালন করে। কিন্তু ছেলেরা সেই দায়িত্ব পালন করে না মা বাবার জন্য। সুন্দর মন্তব্য করাই অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

বাস্তব গল্প তুলে ধরেছেন এজন্যই বোধহয় শেষের অংশে এসে খানিকটা মন খারাপ হয়ে গেল, শেষের অংশে এরকম একটা কথা লিখবেন আমি ভাবিনি। তাদের আসলে ভাবা উচিত ছিল তাদের বাবা-মা শেষ বয়সে এসে কিভাবে চলবে। একদিন তাদের মেয়েও বড় হবে তারাও বৃথা হবে।

 last year 

আপনি আমার লেখা গল্পটি নিয়ে খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন ।তাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 last year 

একদম ঠিক সন্তানের ইনকামের টাকা মা-বাবা খাওয়া খুবই কষ্টকর। আপনার কাকার মত এরকম অনেক ফ্যামিলি আছে যার ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে মা-বাবাকে আর দেখেনা এবং বৃদ্ধ মা বাবার খোঁজ-খবর নেওয়ার ও চেষ্টা করে না। যা আসলে কখনোই করা উচিত নয় ওরাও একদিন বাবা হবে। আপনার পোস্ট পড়ে শেষের দিকে আপনার ঐ কাকার জন্য আমার খুব খারাপ লেগেছে। আল্লাহ পাক উনার ছেলেদেরকে সহি জ্ঞান দান করুক।

 last year 

আসলে আমার দূর সম্পর্কের কাকার মুখে কথাগুলো শুনে আমার কাছে অনেক খারাপ লাগলো। পোস্ট নিয়ে সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

সত্যি ভাইয়া নির্মম বাস্তব একটি চিত্র আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ।এ ধরনের মনুষ্যত্বহীন মানুষকে পড়ালেখা শিখিয়ে বড় করে কোন লাভ নেই। যারা নিজের জন্মদাতা পিতা-মাতাকেই ভুলে যায় ।আসলে এগুলোকে পড়ালেখা না শিখিয়ে অশিক্ষিত রাখাই ভালো । এরা কাগজে-কলমে শিক্ষিত হয়েছে কিন্তু নৈতিক মূল্যবোধ এদের মধ্যে গড়ে উঠে নি। সত্যি বেশ খারাপ লাগছে তার বাবা মার জন্য ।আল্লাহ তাদের ভাল রাখুন। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

তবে আজকাল ছেলেরা মা-বাবাকে ভুলে যাই। তারা মা-বাবাকে তাদের ফ্যামিলি সদস্য মনে করে না। সুন্দর মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আসলে ভাইয়া এমন মানুষ আমাদের সমাজে বর্তমানে অভাব৷ নপ। আর সকল ছেলে মেয়েদের ভাবা উচিত আমরা ও বাবা মা।যাইহোক আপনার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে, ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

আমার গল্প নিয়ে স্বাভাবিক মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ভাইয়া, আপনার লেখা বাস্তব গল্পটি পড়ে কিছুটা দুঃখ পেলাম।যদিও বর্তমানে এটা অহরহ ঘটে চলেছে।মা-বাবা অনেক কষ্ট করে ছেলেমেয়েকে মানুষ করে বিয়ে দিচ্ছেন। তারপরই তারা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে বাবা-মায়ের খোঁজ নিচ্ছে না।তবে আপনার লেখা টাইটেলটির শেষে গল্পের সঙ্গে ঠিক মেলাতে পারলাম না।ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আমি আমাদের এক দূর সম্পর্কের কাকার বাস্তব গল্প লেখেছি। আপনি শেষের দিকে কোথায় মেলাতে পারলেন না বুঝলাম না আমি। যাইহোক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

পারভেজ এবং রুবেলের মতো অনেক সন্তান আছে যেগুলো মা-বাবা কোন দায়িত্ব নেয় না। অথচ তারা চিন্তা করে না ছোটকাল থেকে তার মা বাবাই তাকে লালন পালন করে শিক্ষিত বানিয়ে বড় করেছে। বিয়ের পরে যখন ওয়াইফ আছে তখন তাঁরা মা-বাবার দিকে আর খেয়াল রাখেনা। তবে আপনার কাকার বাস্তব গল্পটি পড়ে খুব কষ্ট লাগলো। পারভেজ এবং রুবেল দুইজনে সরকারি চাকরি করে তারপর ও তাদের হাতে টাকা ওঠেনা মা-বাবার জন্য। গল্পটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ঠিক বলেছেন পারভেজ এবং রুবেলের মতো অনেক সন্তান আছে যারা মা বাবার খেয়াল রাখেনা। খুব সুন্দর করে সাজিয়ে মন্তব্য করাই ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

এটা ঠিক বলেছেন ভাই, সন্তানের ইনকামের টাকা বাবা-মা খাওয়া কষ্টকর ব্যাপার। পারভেজ এবং রুবেল এরকম ভালো পজিশনে থাকার সত্বেও নিজের বাবা-মার প্রতি খেয়াল একেবারেই রাখেনা। খেয়াল তো রাখা দূরের কথা, বাবা-মায়ের জন্য টাকাও পাঠায় না কিরকম পাষাণ হতে পারে তারা। আমার তো তাদের কথা ভাবতেই অনেক বেশি ঘৃণা লাগছে। আসলে সময়ের সাথে সাথে সন্তানরাও এরকম নিষ্ঠুর হয়ে যায়।

 last year 

আসলে কিছু কিছু ছেলের কারণে অনেক ভালো ছেলেদেরও বদনামি হয়। আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে ভালো লাগলো তাই ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 65578.21
ETH 2613.33
USDT 1.00
SBD 2.67