গল্প :-ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করলে সবাই সুখী হয় না। (প্রথম পর্ব)

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ভালোবাসা নিয়ে সুন্দর একটি বাস্তব কাহিনী। স্কুল জীবনে অনেকের প্রেম এর সম্পর্ক হয়। ওই সময় দেখা যায় আবেগের কারণে অনেক সময় ক্লাসমেট বা নিচে এক ক্লাস মেয়েদের সাথে অনেকের সম্পর্ক করে। আবার দেখা যায় বাড়ির মধ্যে বা বাড়ির আশেপাশে সম বয়সের মধ্যেও প্রেম হয়। আর ওই সময় মানুষের আবেগও বেশি থাকে। এবং স্কুল জীবনে যখন মানুষ প্রেম করে তখন তাদের মধ্যে বেশি আবেগ কাজ করে। এই আবেগের কারণে অনেক সময় অনেকে বড় বড় ভুল করে। কারণ ওই সময় সঠিক এবং ভুল বুঝতে পারে না অনেকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় স্কুল জীবনে প্রেম করে বিয়ে করলে ছেলেদের কষ্ট বেশি হয়।

কারণ ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে কম ছেলে বিয়ে করে। হয়তো বা মেয়েদের ক্ষেত্রে একটু ভিন্ন রকম থাকে। আমাদের পাশে একটি ছেলে আর একটি মেয়ে স্কুল জীবন থেকে প্রেম করেছে। আর ছেলেটির নাম হচ্ছে সাইমুন। সে তার বাড়ির পাশে একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করল। এবং ওই দুইজন স্কুলের ক্লাসমেট ছিলেন। আর সাইমুন ওই সময় তার ভালোবাসার মানুষকে বেশি ভালবাসতেন। আর মেয়েটি ও সাইমুন কে অনেক ভালবাসতেন। আর ওই সময় ভালোবাসা গুলো ভালোবাসার আবেগ আরো বেশি কাজ করে। এবং সাইমুন ও তার ভালোবাসার মেয়েটি প্রায় অনেক বছর প্রেম করেছেন। আর মেয়েটির নাম হচ্ছে সাইফা। তবে সাইফা দেখতে অনেক সুন্দর।

এবং সাইফার বাবা বিদেশ থাকে ও তাদের অনেক টাকা পয়সা আছে। আর সাইমুন এর বাবা দেশে থাকে নিজের সাংসারিক কাজ করে। তবে ইস্কুল জীবনে যখন তারা প্রেম করত অনেকবার তাদেরকে পরিবার থেকে মানা করেছে যেন একজনের সাথে একজন কথা না বলে। তারপরও তারা কথা বলতেন এবং একজনের সাথে একজন সম্পর্ক রাখলেন। আর যখন তারা এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে তখন দুইজন পরীক্ষার শেষ দিন পালিয়ে গেলেন। এবং পালিয়ে তারা বিয়ে করেছেন। হয়তোবা তারা দুইজন মনে করলো এই দুনিয়া অনেক রঙিন। আর ওই সময় সাইমুন এর কোন কাজ নেই বা কোন কাজের আগ্রহ নেই। কিছুদিন সাইমুন এবং সাইফা এদিক ওদিক ছিলেন। এরপর সাইফা একদিন এসে বাবার বাড়িতে উঠলো।

এদিকে সাইফার মা তাকে ঘরে আসতে মানা করলেন। এবং বাড়ির আশেপাশের লোকগুলো বুঝিয়ে তার মাকে রাজি করলো যেন মেয়েকে ঘরে রাখে। আর সাইফার বাবা বিদেশ থাকে বিধায় তাকে বলাতে সে রাজি হয়ে গেল। কারণ বাবারা মেয়েদের কে একটু বেশি আদর করে। আর এদিকে সাইমুন বাইরে ছিলেন। তবে সাইমুন এর বাবা এবং পরিবার এর কোনমাথাব্যথা নেই বিয়ে নিয়ে। তারা বলে ছেলে বিয়ে করেছে সে তার ওয়াইফকে দেখাশোনা করবে খাওয়া-দাওয়া করাবে। আমরা ছেলের জন্য কিছুই করব না। আর ছেলে কিছুদিন বাইরে কাজ করলেন এবং চেষ্টা করলেও নিজের জীবন সুন্দর করতে।

এরপর এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দেওয়ার পর সাইমুন পরীক্ষায় পাস করলেন আর সাইফা পরীক্ষায় ফেল করলেন। আর এইখান থেকে তাদের ভালোবাসার মধ্যে হালকা-ফাটল ধরেছে। এবং সাইমুন পড়ালেখা করার জন্য চেষ্টা করলেন। যদিও সাইফা তেমন ভালো ছাত্র ছিলেন না। আর সাইমুন কলেজে ভর্তি হলেন পড়ালেখা করবে বলে। এবং যখন সাইমুন কলেজে ভর্তি হলেন তখন থেকে সাইমুন আস্তে আস্তে পরিবর্তন হতে লাগলো। আর ওই সময় সাইমুন অন্যের বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করবেন। এদিকে সাইফাকে বাড়িতে সবাই কম বেশি আজেবাজে কথা বলতো। গরিবের ছেলের কাছে বিয়ে বসলে সে তোমাকে কি দেবে। এবং তুমি তোমার বাবার টাকা তাকে দিতে হবে ।( চলবে)