জুয়াড়ি (শেষ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগlast year

IMG-20230603-WA0011.jpg

ক্যানভা দিয়ে তৈরি,

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।

এরপর হোসেন বাড়ির লোকদের সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করতে লাগলো। এবং সে কোথায় থেকে মহিলা নিয়ে আসলো তা কেন জিজ্ঞেস করতে লাগলো বাড়ির লোক এই বলে গালাগালি করতে লাগলো। এদিকে প্রথম বউ তাকে জিজ্ঞেস করা এসে বউকে অনেক মারধর করলেন। কিছুদিন সে বাড়িতে দ্বিতীয় বউকে নিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে চলাফেরা করতে লাগল এবং আগের বউ এর সাথে ঝগড়া করতেন। এমত অবস্থা তার প্রথম ওয়াইফের মা-বাবা আমাদের এলাকায় বিচার নিয়ে আসলেন। তারা তার মেয়েকে নিয়ে যাবে এই বলতে লাগলো। এবং সেইদিন বিচারের ডেট ঠিক করল ঐদিন হোসেন পালিয়ে গেল।

এদিকে সেই যে মহিলাটি দ্বিতীয় বিয়ে করলেন ওই মহিলা তার বন্ধুর ওয়াইফ। বন্ধু বিদেশ গিয়েছে এই সুযোগে তার বউকে সেই বিয়ে করে ফেলেছে। এবং ওই মহিলার হাতে কিছু টাকা আছে ওই টাকা দিয়ে হোসেন কিছুদিন ভালো হয়ে চললেন। কিছু মা যাওয়ার পর সেই দ্বিতীয় ওয়াইফকে মারধুর শুরু করলেন। এবং দুই ওয়াই একসাথে হয়ে তাকে কিভাবে ঠিক করা যায় এই চিন্তা করতে লাগলো। এরপর দুই ওয়াইফ মিলে অনেক চিন্তা ভাবনা করতে লাগলো তাকে কি করা যায়। হঠাৎ করে একদিন হোসেন জুয়া খেলে এসে তার প্রথম ওয়াইফকে অনেক মারধর করলেন। বাড়ির লোক গুলো তার ওয়াইফকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন। এরপর প্রথম ওয়াইফের মা-বাবারা আবার তার জন্য কেস করার চেষ্টা করবেন।

এবং তার প্রথম কেস বলতে লাগলো তার জন্য টেস্ট না করার জন্য। এরপর হোসেন কিছুদিন বাড়িতে ছিলেন না। তারপর আবার বাড়ি এসে তার প্রথম ওয়াইফের সাথে ঝগড়া করতে লাগলো। হঠাৎ করে একদিন রাতে তার ওয়াইফ বিষ পান করে ফেললেন। এরপর হাসপাতালের নেওয়ার পথে তার ওয়াইফ মারা গেলেন। এদিকে হোসেন তারপর দ্বিতীয় ওয়াইফ কে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলেন। এদিকে তার প্রথম দুই সন্তান বাড়িতে রয়ে গেল। চার বছরের মেয়ে এবং দুই বছরের ছেলে। তাদের মা ও মারা গেলেন। এবং ছেলে মেয়ে দুটিকে তার জ্যাঠা এবং যেটি দেখাশোনা করে। কিছুদিন আগে যখন হোসেন হঠাৎ করে বাড়িতে আসলো তার ছেলে মেয়েগুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য।

তখন কে বা কারা পুলিশকে বলে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে পুরুষ এসে তাকে ধরার অনেক চেষ্টা করলেন। এবং সে তাড়াতাড়ি পালিয়ে গেলেন। আসলে সত্যি বলতে প্রথমে মেয়ে বিয়ে দেওয়ার সময় ছেলের সম্পর্কে খুব ভালো করে খোঁজখবর নিতে হয়। কারণ এলাকার অনেক লোক বলল ছেলেটি খারাপ সেই সারাদিন জুয়া খেলে। তার কাছে মেয়ে বিয়ে না দেওয়ার জন্য। তারপরও তারা তাদের মেয়ে বিয়ে দিলেন। এখন তারা মেয়ে হারিয়ে বলতে লাগলো কেন এত বড় ভুল করলাম। কারণ অনেকে মানা করার পরও তারা তাদের মেয়েকে বিয়ে দিলেন। এই কথা তার আগের ওয়াইফের মা-বাবা বলতে লাগলো।

তারা তাদের নাতি এবং নাতনিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসলেন। তখন মেয়ে এবং ছেলের জ্যাঠা বাড়িতে থাকার কারণে বলতে লাগলো তাদেরকে দেখাশোনা এবং পড়ালেখা আমি করাবো। এবং তাদের সম্পূর্ণ দায়িত্ব আমি নেব। এই কথা হোসেনের বড় ভাই ফরিদ ভাই বললেন। তখন তারা বলতে লাগলো আপনার কারণে আমার মেয়েকে আপনার ভাইয়ের কাছে বিয়ে দিলাম। এখন আমরা আমাদের মেয়েকে দুনিয়া থেকে হারিয়ে ফেললাম। এদিকে হোসেন আর বাড়িতে আসে না। সে দ্বিতীয় ওয়াইফ নিয়ে কোথায় আছে কেউ ঠিকমতো বলতে পারেনা। এই কারণে বিয়ে দেওয়ার আগে লোকদের সম্পর্কে ভালো করে খাবার নেওয়া দরকার। এবং খারাপ লোকদের থেকে দূরে থাকা দরকার। এই হচ্ছে জুয়াড়ি হোসেনের কাহিনী।

আমার পরিচয়

IMG_20221006_094439.jpg

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

আমি আপনার গল্পের প্রথম পর্বটি পড়েছিলাম। আজকে আমি দ্বিতীয় পর্বটিও পড়লাম। আসলে হোসেনের অত্যাচারে এবং কষ্টে তার প্রথম বিষ পান করেছেন। তারপরও আমি বলবো সে আত্মহত্যা করে ভুল করেছে। কারণ তার একটি মেয়ে একটি ছেলে আছে তাদের কথা চিন্তা করল না। আমার মতে হোসেনকে শাস্তি দেওয়ার দরকার ছিল। কারণ শাস্তি দিলে তা দেখে অন্যজন শিক্ষানীত। সত্যিই আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক খারাপ লাগলো।

 last year 

ঠিক বলেছেন হোসেনের ওয়াইফ আত্মহত্যা করে ভুল করল। সেই চিন্তা করার দরকার ছিল তার একটি মেয়ে একটি ছেলে আছে। সুন্দর মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 61739.92
ETH 2432.22
USDT 1.00
SBD 2.65