গল্প:- সময় থাকতে কিছু কথা বলা ভালো।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করব। আসলে সময় থাকতে কিছু কথা বলা ভালো। আমি আজকে আমার বড় ভাইয়ের ফুফাতো শালীর বাস্তব কাহিনী আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মেয়েটির নাম হচ্ছে নুপুর। নুপুর স্কুল জীবনে পড়ালেখা চেয়ে প্রেম করাতে প্রথম ছিলেন। স্কুল জীবনে তার পিছনে অনেক ছেলে ঘুরতেন। যদিও সেই তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে প্রেম করতেন। নুপুর এবং তার চাচাতো ভাই দুইজন একই ক্লাসে ছিলেন। বলতে গেলে দুইজন সমবয়সী ছিলেন।
নুপুর যখন দশম শ্রেণী পড়তেন তখন নুপুরের জন্য ভালো একটি ঘর আসলো বিয়ের জন্য। সাথে সাথে নুপুরের ফ্যামিলি ও রাজি হয়ে গেল বিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু ওই সময় নুপুর তার ভালোবাসার কথা বলে নাই। ওদিকে তার চাচাতো ভাই ও কিছু বলে নাই। যদিও ১৬ এবং ১৭ বছর বয়সে ছেলেদের বিয়ে করা ঠিক না। এদিকে নুপুরের বিয়ে ঠিক হয়ে গেল অন্য জায়গায়। ছেলে বিদেশ থাকেন। এবং কিছুদিনের মধ্যে নুপুরের বিয়ে হয়ে গেল। নুপুরের হাসবেন্ড নুপুরকে অনেক পছন্দ করতেন। বলতে গেলে নুপুর খুব সুন্দরী একজন মেয়ে ছিলেন।
নুপুর বিয়ের পর খুব সুখেই ছিলেন। দেখতে দেখতে দশ বছরের মধ্যে নুপুরের দুটো ছেলে-মেয়ে হল। যদিও নুপুরের বিয়ে হয়েছে ১২ বছর আগে। নুপুরের বড় ছেলের বয়স ১০ বছর এখন। আর মেয়ের বয়স বর্তমানে সাত বছর। নুপুর যখন স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে যায়। তখন নুপুর চাচাতো ভাইয়ের সাথে কথা বলে এবং তার সাথে এদিক অধিক ঘুরতে যায়। যদিও প্রথমে অনেকে মনে করতে চাচাতো ভাই বোন। আস্তে আস্তে নুপুরের মা-বাবা এবং তার চাচা চাচি ব্যাপারটি বুঝতে পারবেন। এরপর নুপুরকে তার মা-বাবা প্রথমে ডাক দিলেন।
যদিও নুপুর বলেছে তারা ভাই বোন। এখানে তাদেরকে সন্দেহ করার কিছু নেই। এই কথাই নুপুরের মা-বাবা বিশ্বাস করলেন। কারণ নুপুরের বিয়ে হয়েছে ১২ বছর হয়ে গেলো। যদিও নুপুরের হাজবেন্ড কথাগুলো শুনছিল। কিন্তু নুপুরের হাসবেন্ড কথাগুলো বিশ্বাস করে নাই। কারণ নুপুর তার হাজবেন্ডের সাথে খুব সুন্দর করে কথা বলে। আর বলে তারা ভাই-বোন এ কথাগুলো মিথ্যা। কিন্তু বিগত কয়েক মাস আগে নুপুর ছেলেমেয়ে রেখে তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে পালিয়ে গেল এই বয়সে।
যদিও নুপুরের চাচাতো ভাই এখনো বিয়ে করে নাই। তবে নুপুরের কারণে তার ছেলেমেয়ে দুটোর জীবন অন্ধকার হয়ে গেল। যদিও এই কথাগুলো নুপুর তার ফ্যামিলির সাথে যদি স্বীকার করতেন তাহলে ভালো হতো। এদিকে নুপুর তার নতুন স্বামী নিয়ে বাহিরে আছেন। আর নুপুরের আগের হাজবেন্ড থাকে বিদেশ। বর্তমানে নুপুরের ছেলেমেয়ে দুজনকে দেখা শোনার করার মত কেউ নেই। অথচ ছেলেমেয়ে দুজনকে অনেক অনেক ধরনের বাজে কথা বলে। এই সুন্দর দুটো ছেলে-মেয়েকে রেখে নুপুর অন্য ছেলের সাথে পালিয়ে গেল। এই রকম মেয়েদেরকে মা বলা ঠিক না।
এই কথাগুলো বাড়ির লোকেরা নুপুরের ছেলে-মেয়েকে বলে। তবে নুপুর নিজের সুখের জন্য ছেলেমেয়েদের কথা একবারও ভাবলো না। আর এইসব মহিলা গুলোর কারণে অনেক সময় অনেক ভালো মানুষেরও বদনামি হয়। আসলে কিছু কিছু কথা পরিবারের সাথে আলোচনা করা ভালো। যাইহোক আমার বাস্তব গল্পটি পড়ে আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1804735347286536636?t=pPL5CgojyXDRaFPItj-Xyg&s=19
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই মহিলা গুলোর জন্য অন্য ভালো মহিলাদের বদনাম হয় কেউ স্বাভাবিক ভাবে কারো সাথে মিশতে পারে না সন্দেহের চোখে দেখে মানুষ। কথায় আছে একজনের জন্য দশজন নষ্ট। নুপুরের মোটেও এই বয়সে পালানো ঠিক হয়নি।বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকিয়ে হলেও স্বামীর সংসারে থাকা উচিত ছিলো।খারাপ লাগছে পোস্ট টি পড়ে।তাঁরা অনেক আগে পালাতে পারতো বিয়ের আগে কিংবা বাচ্চাদের জন্মের আগে।এরকম নোংড়া মানসিকতার মহিলাদের জন্য বাচ্চাদের খারাপ কথা শুনতে হয় সারাজীবন। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপু কিছু কিছু মহিলার কারণে ছেলে-মেয়ে কষ্ট করে যেমন নুপুর। তবে আপনার মন্তব্য শুনে খুব ভালো লাগলো।
আপনার গল্পটি পড়ে বেশ খারাপ লাগলো। আসলে কিছু কিছু মানুষের বিবেক কেন এমন হয় জানিনা। আমার তো মনে হয় নুপুর বিয়ের পর খুব সুখেই ছিল। কেন বা সেই বাচ্চাগুলো রেখে তার বিয়ের আগের প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়া। আসলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু মানুষ দোষ করে এবং অনেক মানুষের বদনাম হয়। আমি মনে করি এইসব মহিলা গুলো হচ্ছে এক ধরনের স্বার্থপর। নিজের কথা চিন্তা করে ছেলে মেয়ের কথা চিন্তা করে না। লাস্ট পর্যন্ত এই মহিলাগুলো সুখী হয় না। গল্পটি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আমি যতটুকু জানি নুপুর বিয়ের পর খুব সুখেই ছিল। কিন্তু নুপুরের কারণে নুপুর সম্পর্ক নষ্ট করেছে। তবে আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।