এ কেমন বাবার বিচার ( শেষ পর্ব )
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার। আজকে গল্পটার শেষ পর্ব নিয়ে আসলাম।
সব সময় ছেলের বউয়ের সাথে ঝগড়া করে। এমত অবস্থায় কুদ্দুস মিয়ার ওয়াইফ কুদ্দুস মিয়াকে বুদ্ধি দিলেন তার বড় ছেলেকে পৃথক করে দেওয়ার জন্য। এবং কুদ্দুস মিয়া তার দ্বিতীয় ওয়াইফের কথা শুনে। এই কথা বলার পর কুদ্দুস মিয়া তার প্রথম ছেলেকে পৃথক করে দিবেন। এরপর কুদ্দুস মিয়ার বড় ছেলেকে কোন জায়গা জমি দেয় নাই। তার বড় ছেলেটি মানুষের কাজ করে চলতেন। এভাবে কুদ্দুস মিয়ার বড় ছেলের সংসার অনেক কষ্টে যেতে লাগলো। এবং কুদ্দুস মিয়া তার বড় ছেলেকে এখন দেখতে পারে না।
এর কয় বছর পর কুদ্দুস মিয়া তার ছোট ছেলেকে বিয়ে করালেন। এবং কুদ্দুস মিয়ার ছোট ছেলের বউকে কুদ্দুস মিয়ার ওয়াইফ অনেক আদর করতেন। কিভাবে কুদ্দুসের ওয়াইফ কুদ্দুস মিয়াকে বুঝিয়ে সব জায়গা সম্পর্কে ছোট ছেলের নামে লিখে নিলেন। বড় ছেলেকে কোন জায়গায় দিলেন না। এরপর বড় ছেলে যখন শুনলো তখন এলাকার লোকদেরকে নিয়ে বসলেন। কিন্তু কুদ্দুস মিয়া সিদা বললেন বড় ছেলেকে কোন জায়গা দিবেন না। তার সম্পত্তি সে ছোট ছেলেকে দিয়ে দিলেন।
এরপর এলাকা লোক গুলো বলতে লাগলো তোমার বাবার সম্পত্তি সে যাকে দিবে সেই পাবে। সম্পত্তিগুলো যখন ছোট ছেলের নামে দিয়ে দিলেন। তখন ছোট ছেলে তার ওয়াইফ কে নিয়ে বাসায় চলে গেলেন। যেখানে সে চাকরি করে। এবং যাওয়ার কিছু মাস পর কুদ্দুস মিয়া এবং তার ওয়াইফ ছোট ছেলের বাসায় গেলেন। কি নির্মম পরিহাস কুদ্দুস মিয়া ছেলের ওয়াইফ তাদেরকে দেখতে পারেনা। এবং কুদ্দুস মিয়ার ছোট ছেলে ও তার মা-বাবাকে দেখতে পারেনা। এমত অবস্থায় কুদ্দুস মিয়া অনেক বিপদে পড়ে গেলেন।
তখন কুদ্দুস মিয়া তার ওয়াইফ কে বলতে লাগলো তোমার কারনে আমি সব সম্পত্তি ছোট ছেলেকে দিয়ে দিলাম। আমার কাছে আমি কিছুই রাখলাম না। এখন তোমার ছোট ছেলে আমাদেরকে দেখতে পারেনা। এরপর কুদ্দুস মিয়া ওয়াইফকে নিয়ে পুরান বাড়িতে চলে আসলেন। অথচ এখন তাদের বয়স হয়ে গেল তাদের দেখাশোনা করার জন্য লোকের দরকার। এবং তার ছোট ছেলে বাবা মায়ের জন্য একটা টাকা দেয় না। এমত অবস্থা কুদ্দুস মিয়ার বড় ছেলে তার বাবা এবং সৎ মাকে তার ঘরে নিয়ে গেলেন।
এবং সে অন্যের কাজ করে যতটুক সম্ভব মা-বাবাকে একসাথে রাখতেছেন। অথচ তার বাবা এবং সৎ মা এত অত্যাচার পরেও বড় ছেলে তার মা-বাবাকে দেখতেছেন এবং তাদের সম্পূর্ণ খরচ বহন করতেছেন। তখন কুদ্দুস মিয়ার হাতে এবং কুদ্দুস মিয়ার ওয়াইফের হাতে কিছু নেই। সব সম্পত্তি কার ছোট ছেলেকে দিয়ে দিলেন। অথচ বড় ছেলেকে এক ডিসিম জায়গাও দিলেন না। সে কিন্তু তার বাবা এবং সৎ মাকে ফেলে দিলেন না। আসলে কিছু কিছু মা বাবার কারণে অনেক ছেলে কষ্ট করে।
বাবার ভুলের কারণে বড় ছেলেটি কোন সম্পত্তি করেন না। এত কিছুর পরও বড় ছেলে আজ মা-বাবাকে দেখতেছি। এখন এলাকার লোকগুলো তার বৃদ্ধ বাবাকে বলতে লাগলো। আপনি আপনার ওয়াইফের কথা শুনে বড় ছেলেকে ঠকিয়েছেন। যে ছেলের জন্য আপনি এত কিছু করলেন সেই ছোট ছেলেটি আজ আপনাদের খোঁজখবর নেই না। এই কথা শুনলে কুদ্দুস মিয়া বসে বসে কান্না করে। এই হল কুদ্দুস মিয়ার কাহিনী।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
আপনার গল্পের প্রথম পোস্ট আমি পড়েছিলাম। কুদ্দুস মিয়ার দ্বিতীয় ওয়াইফ তার প্রথম ঘরের সন্তান ও তার ওয়াইফ কে দেখতে পারে না। তবে এটা শুনে খুব খারাপ লাগলো কুদ্দুস মিয়া সব সম্পত্তি পরের ঘরে ছোট ছেলেকে লেখে দিলেন। কিছু কিছু মা-বাবা সমাজে আছে যারা সন্তানের উপর অন্যায় করে। আসলে ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস ছোট ছেলেকে পড়ালেখা করালেন তার কাছে তার মা-বাবা ঠাই হলো না।। যে সন্তানকে দেখতে পারলো না সেই সন্তানের কাছে লাস্ট পর্যন্ত মা-বাবার ঠাঁই হলো। আপনি গল্পটি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তাই আপনার অসংখ্য ধন্যবাদ।
যে সন্তানকে বেশি অবহেলা করে লাস্ট পর্যন্ত মা-বাবা তাদের কাছে জায়গা পায়। আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।