গল্প:-জন্মদিলে বাবা হওয়া যায় না।(প্রথম পর্ব)

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।

আজকে আমি বাস্তব একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। ঘটনাটি আমাদের দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়র ঘটনা। যে লোকটি সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করব তার নাম হচ্ছে মানিক। কিছুদিন আগে আমাদের বাড়ির সামনে বসে সে অনেকক্ষণ আমার সাথে তার জীবন কাহিনী আলোচনা করলো। মানিক যখন বড় হয়েছে। তখন সেই বাড়ির পাশে একটি মেয়ের সাথে সম্পর্ক হয়েছে। যদিও মানিক ফ্যামিলির বড় ছেলে তিন ভাইয়ের মধ্যে। মানিক আবার আমার বড় ভাইয়ের সাথে লেখাপড়া করেছে।

মানিক ভাই যেই মেয়ের সাথে প্রেম করতো সেই মহিলাটাকে আমি চিনতাম। যখন দুইজন ইয়াং ছিলেন তারা দুজন খুব সুন্দর ছিল। এরপর তাদের প্রেমের সম্পর্ক ফ্যামিলির সবাই জেনে গেল। যদিও বাড়ির পাশে প্রেম এই কারণে কেউ রাজি ছিল না। এক সময় মানিক ভাই তার প্রেমিকাকে নিয়ে চট্টগ্রামে চলে গেলেন। এবং তাকে সেই বিয়ে করেছেন। কিছু মাস যাওয়ার পর মানিক ভাই তার ওয়াইফকে নিয়ে বাড়িতে আসলো। এরপর দুই ফ্যামিলি খুব সুন্দর করে তাদের বিয়েটি মেনে নিলেন এবং অনুষ্ঠান করল।

তারপর মানিক ভাই এবং তার ওয়াইফ অনেক সুখে শান্তিতে বসবাস করতেছে। যদিও বিয়ের এক বছর পর মানিক ভাই তার মা-বাবা থেকে আলাদা হয়ে গেল। এরপর মানিক ভাইয়ের ৫ বছরের মধ্যে একটি ছেলে একটি মেয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। মেয়েটি বড় এবং ছেলেটি ছোট। তবে অনেকে তাদের সুখ দেখে বলতো প্রেম করে তারাই সুখী হয়েছে। এরপর মানিক ভাইয়ের ফ্যামিলিতে অশান্তি শুরু হয়ে গেল। এক পর্যায়ে মানিক ভাই তার ওয়াইফকে অনেক মারধর করলেন। এদিকে মানিক ভাইয়ের ওয়াইফ বলতেছে অন্য মহিলার সাথে তার সম্পর্ক আছে।

এই নিয়ে তাদের সংসারে প্রায় এক বছরের মত ঝগড়া হয়েছে। দুইদিন ভালো থাকলে একদিন আবার তাদের ঝগড়া হতো। এক পর্যায়ে মানিক ভাই তার ওয়াইফকে ডিভোর্স দিয়েছেন। যদিও ওই সময় মানিক ভাইয়ের ওয়াইফ তার সংসার করতে রাজিও ছিল না। এবং মানিক ভাইয়ের ওয়াইফের পরিবার অনেক ভালো। এবং তাদের কাছে টাকা পয়সা ছিল অনেক। যখন মানিক ভাই তার ওয়াইফকে ডিভোর্স দিলেন তখন দুটি ছেলে মেয়ের জীবনে কষ্ট নেমে আসলো।

মানিক ভাই তার মেয়ে এবং ছেলেটি খাওয়া দাওয়া করেছে তার কোন খোঁজ খবর রাখতেন না। যদিও ওই সময় তার বড় মেয়ের বয়স ৬ বছর এবং ছেলের বয়স মাত্র দুই বছর। এদিকে মানিক ভাইয়ের শ্বশুরবাড়িতে গেলে তারা ছেলে-মেয়ে দুইজনকে গালাগালি করে। এর কয় মাস পর হঠাৎ করে মানিক ভাইয়ের ওয়াইফকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিলেন তার ফ্যামিলি। এদিকে তার বড় মেয়ে এদিক ওদিক থেকে কিছু নিয়ে আসলে কারো কিছু কাজ করলে সেগুলো তার ভাইকে খাওয়াতেন।(চলবে)