গল্প :- গরম ডাক্তার।(প্রথম পর্ব)

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বাস্তব একটি গরম ডাক্তারের কাহিনী। আমাদের এলাকায় একজন গরম ডাক্তার আছে। তার নাম হচ্ছে ইউসুফ। সে বিভিন্ন জায়গা থেকে ওষুধ সংগ্রহ করে বিক্রি করে। যদিও সেই পাতা লতা এবং গাছের শিকড় দিয়ে নিজে ওষুধ বানিয়ে বিক্রি করে। অনেকে বলে তার ওষুধ নাকি ভালো। একটু উনিশ বিশ হলে অবস্থা খারাপ হয়ে যায় রোগীর। এবং ইউসুফ মানুষের কাছে পরিচয় দেই সেই গরম ডাক্তার। বিগত কয়েক মাস আগে শীতের সময় তাদের বাড়ির এক মহিলা বলেছে তার কাছে ঠান্ডা লাগে। এবং ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করতে পারে না।

এইজন্য তাকে ওষুধ দেওয়ার জন্য। তখন গরম ডাক্তার তাকে ওষুধ দেবে বলেছে। যদিও তার ওষুধের পয়সা একদম কম। গরম ডাক্তার ওষুধ দিয়েছেন তার ছোট ছেলের কাছে। গাছের একটি শিকড় দিলেন ওষুধ হিসাবে। এবং ছোট ছেলেটিকে বলেছে এই ওষুধটি তোমার আম্মাকে দেবে তবে সাত দিন রাত্রে রাত্রে খাওয়ার জন্য বলবে। ছেলেটির বয়স মাত্র নয় থেকে দশ বছর। তখন ছেলেটি ওষুধ নিয়ে তার মায়ের হাতে দিল। এবং কয়দিন খাওয়ার জন্য বলেছে সেটি বলে নাই তার ছেলেটি। মহিলাটি ওই গাছের শিকড়টি বসে খেয়ে ফেললো পান দিয়ে। এবং সবাইকে বলতেছে গরম ডাক্তার নাকি ঠান্ডা কম লাগার জন্য আমাকে ওষুধ দিয়েছে।

এই কথা বলতে বলতে গাছের শিকড়টি মহিলাটি খাইতেছেন। আর মজা মজা করে কথা বলতেছেন। আধা ঘন্টা পর মহিলাটি বলতেছে তার কাছে নাকি গরম লাগতেছে। এই বলে কিছুক্ষণের মধ্যে সেই শীতকালে বাড়ির এদিক থেকেও অধিক দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দিল। এবং এক ঘন্টা পর এই শীতের মধ্যে সেই পানিতে নেমে সাঁতার কাটতেছে। তার কাছে নাকি গরম লাগতেছে। যদিও ওই সময় রাত আটটা টাইম হবে। এবং বাড়ির ছেলেগুলো ও দোকানের লোক গুলো মহিলাকে দেখতে গেল। গ্রাম অঞ্চলে অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়ে। তবে মহিলাটির পানির মধ্যে সাঁতার কাটতে কাটতে বলতেছে তার কাছে গরম লাগতেছে।

সবাই তাকে জিজ্ঞেস করতেছে কি হয়েছে। মহিলাটি বলতেছে গরম ডাক্তার আমাকে গাছের শিকড় দিয়েছে খাওয়ার জন্য এখন আমার এই অবস্থা। প্রায় এক ঘন্টা পানির মধ্যে সাঁতার কাটার পর মহিলাটি আবোল তাবোল বলতেছে। পরে বাড়ির লোকগুলো তাড়াতাড়ি করে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল। এবং সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলো। আসলে মহিলাটি ভুলের কারণে তার এই অবস্থা হয়েছে। যদিও ডাক্তার আগে বলেছে তার ছেলের কাছে এটি সাত দিন খাওয়ার জন্য। আর মহিলাটি একসাথে খেয়ে এখন গরম ডাক্তারের বদনাম করতেছে।

তবে ভাগ্য ভালো মহিলাকে মারা যায়নি। মহিলাটি সুস্থ হওয়ার পর তাদের বাড়িতে বিচার বসলেন। এবং কি কারনে গরম ডাক্তার তাকে ওষুধ খাওয়ালেন। তখন মহিলাটি বলতেছে সে আমাকে একটি ওষুধ দিয়েছে খাওয়ার জন্য গাছের শিকড়। এবং ঐ শিকড়টি খাওয়ার পর আবার এই অবস্থা হয়েছে। এবং মহিলাটি বলতেছে সে আমাকে হিংসে করে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। এবং গরম ডাক্তার বলতেছে সে আমার কাছে চিকিৎসার জন্য গেলেন। আমি তাকে ওষুধ দিয়েছি সাতদিন খাওয়ার জন্য। কিন্তু মহিলাটি একদিনে খেয়ে ফেলেছে ওই ওষুধ। এই কারণে তার এই অবস্থা হয়েছে।

যদিও মহিলাটি বলতেছে সে আমাকে সাত দিনের কথা বলে নাই। এবং ডাক্তার বলেছে তার ছেলের কাছে দিয়ে আমি সাত দিনের কথা বলেছি। পরবর্তীতে সবাই ডাক্তারকে দোষারোপ করলেন। ছোট বাচ্চার হাতে ওষুধ দিয়েছে এই কারণে ছেলেটি বলে নাই। অন্যায় আপনার ডাক্তার হয়েছে। এই বলে ডাক্তারকে এলাকার কিছু লোক বিভিন্ন ধরনের কথা বললেন। আসলে না বুঝলে যা হয় তাই হল গরম ডাক্তারের বেলা। আর না বুঝে কোন ওষুধও খাওয়া ঠিক না। এবং ডাক্তারের এরকম ঘটনা অনেক আছে। আশা করি এই ঘটনাগুলো পরে পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
( চলবে)