গল্প :- শীতের সাথে ফোর টুয়েন্টি।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি বাস্তব একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব । গল্পটি হচ্ছে আমাদের এলাকার একটি লোকের। আমাদের এলাকায় একটি লোকের নাম হচ্ছে কামরুল। কামরুল আমাদের এলাকায় বলতে গেলে এক ধরনের ছোট খাটো নেতা। যদিও সে এলাকাতে কিছু ছেলে নিয়ে মোটামুটি ভালো পজিশন তৈরি করেছে। এবং তার কথা মানুষ শুনে এবং সে যেটা বলে মানুষ ওটা করার চেষ্টা করে। হয়তোবা তাকে মানুষ ভালোবাসে নয়তো বা তার ভয়ে মানুষ তাকে সম্মান করে।
বিগত একমাস আগে আমাদের এদিকে অনেক ঠান্ডা পড়েছে। বলতে গেলে শীতের অতিষ্ঠ মানুষ একদম দিশেহারা হয়ে গেছে। এবং আমাদের পাশের ছোট ফেনী নদী আছে। যদিও তাদের বাড়ি নদীর পাশে এবং বাড়ির সামনে কিছু দোকান আছে। নদী থেকে সামান্য দূরে এই দোকানগুলো। সকাল বেলা এলাকার লোক গুলো ওই দোকানে নাস্তা করে। একদিন সকালবেলা কামরুল গোসল করার জন্য পুকুরে যাচ্ছে। যদিও ওই সময় সকাল সাড়ে সাতটা হবে।
ওই সময় চারপাশে কুয়াশা এবং প্রচুর ঠান্ডা। তার গায়ে শুধু একটা গেঞ্জি ছিল আর গোসল করার জন্য কাপড়-চোপড় নিয়ে যাচ্ছে। যদিও দোকানে যারা নাস্তা করতেছে তারা দোকানের ভিতর বসলো। কামরুল বাহিরে থেকে বসে দোকানদারকে বলতেছে একটা চা দেওয়ার জন্য। দোকানদার বলতেছে দিচ্ছি। দোকানদার ওই সময় বললেন এই শীতের মধ্যে গরম কাপড় কেন গায়ে দিলেন না। কামরুল লোকটিকে বলতেছে তাড়াতাড়ি চা দাও উপদেশ দেওয়ার দরকার নেই।
এবং দোকানদারকে বলতেছে আমি গোসল করার জন্য আসলাম এই কারণে গরম কাপড় নিয়ে আসি নাই। এরপর দোকানদার তার সাথে কথা না বলে চা বানানোর জন্য যাইতেছে। তিন থেকে চার মিনিট পর যখন লোকটি চা নিয়ে দোকানের পাশ থেকে কামরুলকে দেওয়ার জন্য আসলো। তখন কামরুল ওই টেবিলে নাই বাইরের। তখন দোকানদার বলেন চা অর্ডার দিয়ে কামরুল চলে গেলেন। এই বলে দোকানদার আবার তার দোকানের কাজ করতেছে।
তার এক মিনিট পর আরেকজন এলাকার লোক এসে বলতেছে কামরুল বাইরে মাটির মধ্যে পড়ে রইল। তাড়াতাড়ি সবাই কামরুলকে দোকানের ভিতর একটি টেবিলের মধ্যে এনে বসালেন এবং গরম একটি কাপড়ট গায়ে দিল। যদিও ওই দোকানের পাশে গ্রাম্য একটি ডাক্তার ছিল। সাথে সাথে ডাক্তার এসে তাকে দেখতেছে। এবং ডাক্তার দেখে সবাইকে বলতেছে এই সকালবেলা শীতের কারণে এই অজ্ঞান হয়ে গেল। আসলে কামরুল মনে করলো সেই এলাকার নেতা। এই কারণে শীতের সাথে ও নেতাগিরি করতেছে।
অতিরিক্ত শীতের কারণে সে অজ্ঞান হয়ে গেল। মূলত শীতের মধ্যে কারো পাবার চলেনা। এখন এলাকার লোক গুলো পিছে পিছে বলে কামরুল শীতের মধ্যে ফোর টুয়েন্টি করতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেল। আশা করি আমার এই বাস্তব গল্প পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া সব জায়গায় নেতার মূল্য থাকে না। তবে আমরা সবাই শরীরে যতক্ষণ রক্ত গরম থাকে ততক্ষণ কাউকে পরোয়া করি না। আসলে কামরুল কেন যে কোন মানুষের এই থেকে শিক্ষা নেওয়া অবশ্যই দরকার। ধন্যবাদ ভাই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার পোস্ট পড়ে অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1755566148853415995?t=iBLS3TVOGJof1WYBoXFtLw&s=19
লোকটা শীতের মধ্যে বাইরে বের হয়েছিল কোন কিছু না পড়ে। কিন্তু লোকটাকে দোকানদার বলার কারনে দেখছি সে উল্টো তারপর রেগে গিয়েছিল। তারপরে দেখলাম লোকটা ঘুরে পড়ে গিয়েছিল প্রচন্ড শীতের কারণে। কামরুলের অবশ্যই উচিত ছিল শীতের মধ্যে বাহিরে বের হওয়ার সময় গরম জামা পড়ে বের হওয়া। যদিও সে গোসল করার জন্য এসেছিল, তবুও তার উচিত ছিল সোয়েটার পড়া।
এখন সবাই তাকে দেখলে পিছন থেকে অনেক হাস্যকর কথা বলে। যাই হোক সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নেতার নেতা গিরি একেবারে বের হয়ে গিয়েছে 😂। এসব পাতি নেতাদের ভাব দেখলে মনে হয় এমপি মন্ত্রী হয়ে গিয়েছে। কারো কথাই কানে নেয় না এবং যা ইচ্ছে তা-ই করে। কিন্তু প্রকৃতির সাথে পাওয়ার দেখালে কি চলে নাকি। শীত একেবারে উচিত শিক্ষা দিয়ে দিয়েছে কামরুল নেতাকে। এটা সারাজীবন মনে থাকবে তার। যাইহোক বেশ হাসলাম ভাই পোস্টটি পড়ে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই এসব পাতি নেতাদের ভাব দেখলে মনে হয় এমপি মন্ত্রী। খুব সুন্দর করে পোস্ট পড়ে মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।