গল্প:- অন্যের ক্ষতি করে নিজের উন্নতি করা যায় না।(শেষ পর্ব)
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
এই কথা শুনে বোন দুটি বিশ্বাস করতেছে না। তারা বলতেছে আমার বড় ভাই এত ভালো তাকে সবাই সম্মান করে সেই জীবনে এই কাজ করবে না। এই কথাগুলো শোনার পর ওই লোকটিকে তারা আরো উল্টাপাল্টা কথা বলতেছে। আমার বড় ভাই নুরুল হুদার মত মানুষ হয় না। এবং বোন দুটো আরো বলে আমরা যখন বাবার বাড়িতে আসি আমার বড় ভাই আমাদেরকে অনেক আপ্যায়ন করে। এবং আপনি আমারদের ভাইয়ের নামে বদনামি করতেছেন। আমার ভাই অনেক ভালো মানুষ।
আস্তে আস্তে বোন দুটো খবর নিতে লাগলো কথাটি সত্যি কিনা। এরপর তারা খবর নিতে নিতে জানতে পারে কথাটি একদম সত্যি। এবং তার বড় ভাই মাস্টার নুরুল হুদা এই কাম করেছে। এরপর ভাই দের প্রতি বোন দুইটির বিশ্বাস উঠে গেল। এখন বলে আমার বাই মাস্টার নুরুল হুদা হচ্ছে ডাক। আমরা বোন দুটো ছোট অথচ বাবা মারা যাবার সময় সেই বলেছে আমাদেরকে সুন্দর করে জায়গা সম্পত্তি দেবে। আজকে আমাদের ছেলেমেয়েরা বড় হয়েছে আমাদের টাকার প্রয়োজন এখন শুনতেছি আমাদের জায়গা সম্পত্তি নেই।
এই নিয়ে দুই বোন বাবার বাড়িতে কয়েকবার গেলেন কিন্তু এখন তার বড় ভাই নুরুল হুদার কথা একদম চেঞ্জ হয়ে গেল। সেই বলতেছে তোদের জায়গা সম্পত্তির টাকা আমি তোদেরকে দিয়ে দিলাম তোরা কোন সম্পত্তি পাবি না। এই বলে বোনদেরকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে। বোন দুটি অনেক কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে বিচার দিতে লাগলো তোমার বিচার আল্লাহ যেন করে। আসলে বোন দুটি কল্পনা করে নাই তার বড় ভাই তাদেরকে এভাবে ঠকাবে।
তবে বর্তমান সময়ে বড় ভাই নুরুল হুদার আস্তে আস্তে পতন শুরু হচ্ছে। কিছু মাস আগে তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে দিলেন এবং যে টাকাগুলো পেয়েছেন তার ছেলেমেয়েরা ভাগ করে নিয়ে গেল। এবং তাদের টাকা দরকার এই বলে বাবা মাকে মিথ্যা সান্ত্বনা দিয়ে ছেলে মেয়ে গুলো টাকাগুলো নিয়ে গেল। বর্তমান সময়ে নুরুল হুদার হাতে কোন টাকা নেই। এবং জায়গা সম্পত্তি যেগুলো আছে এগুলো নিয়ে ঝামেলা চলতেছে। আসলে কাউকে ঠকিয়ে কেউ কোনদিন উন্নতি করতে পারে না।
আসলে এখন নুরুল হুদা মিয়া বুঝতেছে তার বোনদেরকে ঠকিয়ে সে অনেক বড় ভুল করেছে। তার চালাকির কারণে তার বোন দুটি সম্পত্তি হয়নি এবং সম্পত্তির তিন ভাইয়ের দখল করেছে। এখন বড় ভাইয়ের সেম অবস্থা হয়েছে তার ছেলে মেয়েগুলো তাকে ঠকিয়ে তার টাকাগুলো নিয়ে গেল। আসলে বলতে গেলে আপন মানুষগুলো বড় বেশি গাদ্দারি করে। এখন ভাই বোনের মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই। বোনেরা ভুলেও বাবার বাড়িতে যাই না। এবং বোন দুটো বলেছে তার ভাই নুরুল হুদা মারা গেলে তারা দেখতে যাবে না। এই হচ্ছে আমার বাস্তব গল্প।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
একদম পারফেক্ট একটি কথা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। প্রথম পর্ব পড়েছিলাম তবে দ্বিতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। পৃথিবীতে এমন কোন ব্যক্তি নেই যারা মানুষকে ঠকিয়ে শাস্তি পায় নি। নুরুল হুদা মাস্টারেরও তাই হয়েছে। আসলে কারো সম্পত্তি কেউ ভোগ করতে পারে না। সবকিছু রিযিক একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই বরাদ্দ করে দিয়েছেন। অন্যজনের রিযিক নিয়ে টানাটানি করা তার ফলাফল কিন্তু মোটেই ভালো হয় না। যাক আপনার বাস্তব গল্পটি শেয়ার করার মাধ্যমে জানতে পেরেছি।
এটি ঠিক বলেছেন অন্যের সম্পত্তি ভোগ করে কেউ কখনো শান্তি পাই না। যেমনটি নুরুল হুদা মাস্টারের হয়েছে। সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1739592118476382251?t=b-B4KrAoUXJ6u76oRhCwXQ&s=19
নুরুল হুনাকে বোনেরা অগাধ বিশ্বাস করতো কিন্তুু তিনি বোনদের বিশ্বাস ভেঙ্গে দিয়েছে। আসলে বিশ্বাস এমন একটা জিনিস যা একবার ভাঙ্গলে আর দ্বিতীয় বার বিশ্বাস করা যায় না।নরুল হুদা শেষমেশ বুঝতে পেরেছে কিন্তুু ওনি আর আগের সেই নুরুল হুদা হয়ে উঠতে পারবে না কোন ভাবেই বোনদের কাছে।
হ্যাঁ নুরুল হুদা মাস্টারকে দুই বোনে অগাধ বিশ্বাস করতেন সে বিশ্বাস ভেঙ্গে দিয়েছে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দুষ্ট গোয়াল থেকে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো। এরকম ভাই থাকার চেয়ে না থাকায় অনেক বেশি ভালো। দুইটি বোন ভাইকে এত বিশ্বাস করেছে নুরুল হুদা মাস্টারকে। সে তাদের বোনদেরকে ঠকিয়েছে তাদের সম্পত্তিগুলো আত্মসাৎ করল। এবং নুরুল হুদা মিয়া চাকরির টাকাগুলো তার ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন বায়না দিয়ে নিয়ে গেল। এখন নুরুল হুদা মিয়ার কাছে কেমন লাগতেছে অন্যের সম্পত্তি নিজের করে নিয়ে। আমার মনে হয় নুরুল হুদা মিয়া এখন আস্তে আস্তে তার অপরাধগুলো বুঝতে পারতেছে। তবে ভাই বোনের সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে গেলো। যাই হোক বাস্তব একটি গল্প শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
দুটো বোন ভাই নুরুল হুদাকে অনেক বিশ্বাস করেছে। সেই বিশ্বাস রাখতে পারে নাই নষ্ট করেছে। উৎসাহিতামূলক মন্তব্যর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
গল্পের শেষ অংশের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। গল্পটি পরে খুবই ভালো লাগলো। আসলেই অন্যকে ঠকিয়ে বা অন্যের ক্ষতি করে নিজের উন্নতি কখনই সম্বব না,সুন্দর লিখেছেন।
মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন কাউকে ঠকিয়ে নিজে সুখী হওয়া যায় না। আগের পর্ব পড়া হয়নি তবে এই পর্ব পড়ে বুঝতে পারলাম ভাই বোনের মধ্যে যে বিশ্বাস ছিল তা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গিয়েছে। নরুল হুদার মতো ভাইদের জন্য সব ভাইদের বদনাম হয়। এই কথা বিশ্বাস না করারই কথা ভাই কি কখনো বোনদের সর্বনাশ করতে পারে। বোনদের কথা আল্লাহ কবুল করে নিয়েছে বলেই আজ তার পাপের শাস্তি পাচ্ছে। আপনার গল্প পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু একদম ঠিক বলেছেন নুরুল হুদা মিয়ার কারণে সব ভাইদের বদনাম। সেই বোনদেরকে ঠকিয়ে এখন বুঝতে পারতেছে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা অবশ্যই আমাদেরকে মানতে হবে যে, কাউকে ঠকিয়ে কেউ কখনো জিততে পারে না। আমি কাউকে ঠকালে, দুইদিন পরে অন্য কেউ আমাকে ঠকাবে এটাই স্বাভাবিক। আর সেটা নুরুল হুদার সাথে ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে। তবে নুরুল হুদার শাস্তি এখনো শেষ হয়নি। নুরুল হুদা ইহকালে শাস্তি পেয়েছে ঠিকই, কিন্তু পরকালের ভয়াবহ শাস্তি তার জন্য অপেক্ষা করছে। এমন বাস্তব গল্প গুলো পড়তে খুব ভালো লাগে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
হ্যাঁ এটা ঠিক বলেছেন কাউকে ঠকিয়ে কখনো নিজের উন্নতি করা যায় না। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।