লাইফ স্টাইল :-হঠাৎ করে বাজার কিনতে দেওয়া মুহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব কিছুদিন আগে হঠাৎ করে বাজার করতে যাওয়ার মুহূর্ত। আমি দুপুর বেলা যখন মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে আসলাম। তখন আমার ওয়াইফ বলতেছে বাড়িতে কোন মাছ মাংস নেই। এবং কাল থেকে রান্না করার জন্য কিছু বাড়িতে নেই। বাজার করে নিয়ে আসলে মাছ মাংস রান্না করবে না হলে শুধু সবজি রান্না করবে। যদিও এদিকে আমার তেমন সময় নেই সকাল বেলা। কারণ মাদ্রাসার কারণে সকালবেলা কোথাও যেতে পারি না। তাই আমি চিন্তা করলাম দুপুর বেলা বাজার করে নিয়ে আসবো।

এরপর আমি আমার ওয়াইফ কে বললাম এখন বাজারে যাব বাজার করে নিয়ে আসবো। যদিও বাজারটি আমাদের বাড়ি থেকে চার পাঁচ কিলোমিটার দূরে। বর্তমান সময়ে অটোরিকশার কারণে যে কোন দিকে যাওয়া অনেক সুবিধা হয়। এই কারণে দুপুর একটা বাজে আমি বাজারে গেলাম। যদিও দুপুর সময় গাড়ি পেতে একটু কষ্ট হয়েছে। বলতে গেলে আমার ওয়াইফের কড়া কথার কারণে আমি বাজারে গেলাম। এরপর প্রথমে আমি মুরগি দোকানে গেলাম। এবং প্রথমে তাকে জিজ্ঞেস করলাম মুরগির দাম কত।

যদিও ওই সময় সাদা মোরগগুলো ১৮০ টাকা কিলো ছিল। এর আগে কিছুদিন দুইশ টাকা করে সাদা মুরগির কিনেছিল। এরপর আমি প্রায় ৪ কিলোর মতো সাদা মোরগ কিনেছি। কারন আমার বাবা মুরগি খেতে বেশ পছন্দ করে। আর তার বয়স হয়ে গেছে বিদায় সে অন্য কিছু খেতে চায় না। আর আমার বাবা মাছ খেতেও কম পছন্দ করে। বিশেষ করে কাটা এর কারণে। অন্যদিকে আমার মা মাছ খেতে পছন্দ করে। আর আমার প্রিয় খাওয়া হচ্ছে শুটকি মাছ। বলতে গেলে এক একজনের এক এক পছন্দ।

এরপর আমি মুরগিগুলো অর্ডার করে গেলাম মাছের বাজারে। মাছের বাজারে গিয়ে আমাদের মাদ্রাসার বড় হুজুরের সাথে দেখা হল। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তার সাথে কথা বলতেছি। যদিও দুপুরের সময়ের কারণে ঐদিন মাছ খুব ছিল। সকালবেলা অনেক মাছ ছিল তবে বিক্রি হয়ে গেছে। তবে এই মাছগুলোর দামও অনেক বেশি ছিল। সাধারণত পাংকাস মাছ আমার মা খেতে চায় না। এই কারণে আমি অন্য মাছ কিনতে চাইলাম। তবে লইট্টা মাছ খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমি প্রথমে কিছু লইট্টা মাছ কিনে নিলাম।

তারপর আমি কিছু আমার মায়ের পছন্দের মাছ কিনলাম। তারপর মাছের বাজার থেকে আবার মুরগির ওখানে গেলাম। মুরগিগুলো নিয়ে আসার জন্য। তবে আপনারা হয়তো অনেকে জানেন আমার মা-বাবা দুইজন আমার কাছেই থাকে। তবে আমি চেষ্টা করি তাদের পছন্দের খাবারগুলো কিনতে। যদিও তাদের এখন অনেক বয়স হয়ে গেছে। তবে ঐদিন কিছু ছোট মাছও কিনেছিলাম। ছোট মাছ কাটা ছেটা বা সাফাই করতে অনেক কষ্ট হয়। ছোট মাছ খেতে এমনিতে বেশ মজা লাগে।

সবচাইতে মজার বিষয় হলো বাজার করে আসার সময় আমার কাছে রিকশা ভাড়া ছিল না। এ কারণে আমি আমার ওয়াইফ কে মোবাইলে কল করে বললাম বাড়িতে টাকা আছে কিনা। এবং বলতেছে টাকা আছে। তারপর আমি একটি রিক্সা নিয়ে বাজারগুলো নিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম। এই হচ্ছে আমার বাজার করতে যাওয়ার মুহূর্ত। আশা করি আমার বাজার করার মুহূর্ত পড়ে অনেক ভালো লাগবে।