গল্প:-ছেলের জন্য বাবার জীবন শেষ।(প্রথম পর্ব)
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি বাস্তব একটি গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। ঘটনাটি আমাদের বাড়ির পাশের একটি ঘটনা। একটি পরিবারের তিনটি মেয়ে শুধুমাত্র একটি ছেলে আছে। বোন তিনটি বড় এবং ভাইটি ছোট। এবং একমাত্র তাদের ছেলের নাম হচ্ছে পারভেজ। পারভেজের বাবা বিদেশ থাকেন। এবং পারভেজের মা শিক্ষিত মানুষ ছেলেমেয়েদেরকে সে লেখাপড়া করিয়েছেন। এবং পারভেজ এর বোন তিনটিকে ভালো ঘরে বিয়ে দিয়েছেন। পারভেজের বোন তিনটিও পড়ালেখা করেছে এই কারণে তাদের ভালো বিয়ে হয়েছে।
বোনগুলোর নাম হচ্ছে রিমা, সীমা এবং রুমি। রিমা হাজবেন্ড নিয়ে বিদেশ থাকে। সীমা এবং রুমি স্বামীকে নিয়ে স্বামীদের বাড়িতে থাকে এবং সুখী তারা। এদিকে পারভেজ ও বড় হয়ে গেছে সে পড়ালেখা করতেছে। এরপর সবাই বলতেছে পারভেজ এর বাবা অনেক বছর বিদেশ তাকে দেশে চলে আসার জন্য। তারপর মেয়েগুলো তাকে এত করে বলার পর সে দেশে চলে আসলেন। এবং পারভেজের ফ্যামিলিতে এখন মা-বাবা আর পারভেজ। পারভেজের বাবা চিন্তা করল দেশে এসে এখন বসে থাকলে চলবে না।
এই কারণে পারভেজের বাবা বাড়ির সামনে অনেক বড় একটি দোকান দিয়েছে। মাঝেমধ্যে পারভেজ ওই দোকানে সময় দেই। তার বাবা এবং দোকানটি নিয়ে বেশ ভালোই আছে। যদিও তাদের ফ্যামিলিতে অভাব নেই তবে টাকা-পয়সা তেমন বেশিও নাই। এরপর পারভেজের বোন গুলো বলতেছে পারভেজকে বিয়ে করানোর জন্য। তারপর পারভেজের মা-বাবাও রাজি হয়েছে পারভেজকে বিয়ে করাবে। ঘরের মধ্যে একটি লোকের প্রয়োজন। আর বোনগুলো পারভেজকে অনেক আদর করে।
এরপর পারভেজকে সবাই জিজ্ঞেস করল কি রকম মেয়ে তার পছন্দ। পারভেজ ওই সময় বলেছে মা-বাবা যেরকম মেয়ে বিয়ে করায় তার কোন সমস্যা নেই। এরপর মা বাবা মেয়ে দেখা শুরু করে দিলেন। এবং অনেক খোঁজাখুঁজির পর তারা মেয়ে ঠিক করলেন। এবং যে মেয়েটি পারভেজের জন্য পছন্দ করলেন মেয়েকে একটু শ্যামলা তবে মেয়ের ফ্যামিলি অবস্থা খুব ভালো। মেয়েরা পারভেজ দের ফ্যামিলির অবস্থা এবং পরিবারের সবাই শিক্ষিত বিদায় তারাও বিয়ে দিতে রাজি হয়েছে।
এরপর দিন তারিখ ঠিক করে বিয়ে ঠিক করলেন। এদিকে পারভেজের বড় বোন ও বিদেশ থেকে আসলেন ভাইয়ের বিয়েতে। তারপর অনেক বড় অনুষ্ঠান করে পারভেজকে বিয়ে করালেন। বিয়ের প্রথম থেকে পারভেজ তার ওয়াইফের সাথে ঝগড়া করে। এবং পারভেজ বলতেছে তার ওয়াইফ তার পছন্দ হয় নাই। এই নিয়ে পারভেজদের ফ্যামিলিতে ওর ঝগড়া শুরু হয়ে গেল। পারভেজের মা-বাবা বোন গুলো বলতেছে তুমি আগে বললে মা-বাবা যেখানে বিয়ে করাবে ওখানে তুমি রাজি। এখন কেন যে ঝগড়া করতেছ।(চলবে)
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1747995803011166489?t=NcpPypc0WwbOqnaf1N3Shw&s=19
বেশিরভাগ জায়গাতে দেখেছি এক বাবার ছেলে সন্তানরা মা-বাবাকে কষ্ট দিয়ে থাকে। তবে আমার মনে হয় পারভেজ এর বেলা এটি হবে। কারণ তিন বোনের মধ্যে পারভেজ একমাত্র ভাই। আর ফ্যামিলির সবাই পারভেজকে অনেক আদর করে মনে হয়। তবে আমার মনে হয় পারভেজ বিয়ে করার সময় সত্য কথা বলে নাই। এই কারণে সেই বিয়ের পর ফ্যামিলিতে ঝগড়া করতেছে। তবে এখনো পর্যন্ত তেমন কিছু বোঝা যাচ্ছে না এই পর্বেই। আশা করি পরের পর্বে বিস্তারিত জানতে পারবো। পরের পর্বটি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
এটি একদম ঠিক বলেছেন বেশিরভাগ জায়গাতে এক বাবার ছেলে সন্তান গুলো মা-বাবাকে কষ্ট দিয়ে থাকে। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন আপনি। পড়ে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। ফ্যামিলির সবাই পারভেজকে অনেক আদর করে তাই অনেক শখ করে থাকে পছন্দ করে বিয়ে করিয়েছে। এটা আমি মনে করি পারভেজের এটা কখনোই করা উচিত হয়নি। বিয়ের আগে সে তার সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারতো। বিয়ে করার পরে একটি মেয়ের জীবন নিয়ে এরকম করা ঠিক নয়। যাই হোক পরবর্তীতে কি হলো তা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
আসলে পারভেজ বিয়ের আগে কিছুই বলে নাই। মা বাবার পছন্দ মানি তার পছন্দ। যাইহোক পরের পর্বের অপেক্ষা থাকুন। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। এক বাপের এক পোলা মনে হয় একটু ত্যাড়াই হয়ে থাকে। যারজন্য অনেক সময় বাবাদের মানুষের কাছে অসম্মানিত হতে হয়। পারভেজ যদি তখন রাজি না হতো তাহলে তো তারা বিয়ে করাতো না। পারভেজ এখন বউ পছন্দ হয় না বলে ঝগড়া করে জেনে সত্যিই খারাপ লাগলো। দেখা যাক এরপর পারভেজের সাথে কি হয়েছিল। ধন্যবাদ এত গল্প শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু এক বাবার এক সন্তানগুলো মা-বাবাকে মানুষের কাছে অসম্মানিত করে। আপনার অসাধারণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
পারভেজের বাবা বিদেশ থেকে দেশে এসে দোকান দিয়েছেন, এটা খুব ভালো হয়েছে। কারণ এতে করে ব্যবসার পাশাপাশি পারভেজের বাবার সময় খুব ভালো কাটবে। যাইহোক সব মিলিয়ে পারভেজদের একেবারে সুখী পরিবার। তবে পারভেজকে বিয়ে করানোর পর থেকেই পারভেজ তার বউয়ের সাথে ঝগড়া করা শুরু করে দিয়েছে, এটা জেনে খুব খারাপ লাগলো। পারভেজের যদি তার বউকে পছন্দ না হয়, তাহলে তাদের বিয়ের আগেই বলতে পারতো। এখন তো সব দিক দিয়েই ঝামেলা হয়ে গেল। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।