চালাক লোক
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে সুন্দর একটি ঘটনা শেয়ার করব। ঘটনাটি আমাদের সাথে গটে ছিল। দুই দিন আগে আমি আর আমাদের মাদ্রাসায় বড় শিক্ষক বাজারে যাচ্ছিলাম একটি সিএনজি করে। কিছুদূর যাওয়ার পর একটি লোক আমাদের সিএনজিতে উঠলেন। লোকটিকে আমি চিনি না আমাদের বড় হুজুর কে দেখে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করতে লাগলো কেমন আছেন হুজুর। আমাদের বড় হুজুর বললো ভালো আছি আপনি কেমন আছেন।
এরপর আমরা বাজারে গিয়েছে। যাবার পর সিএনজি ভাড়া আমি দিয়েছি। এরপর আমাদের মাদ্রাসায় বড় হুজুর আমাকে বলতে লাগলো আসেন বসে এক কাপ চা পান করি। আমিও বললাম ঠিক আছে দুইজন একটি হোটেলের মধ্যে গেলাম। এরপর আমরা হোটেলে গিয়ে চা এবং আলু পুরির অর্ডার দিলাম। আমি আর হুজুর যখন বসে বসে খাচ্ছিলাম তখন ওই লোকটি আমাদের পাশে এসে বসলো। এবং সেও নাস্তা অর্ডার দিলেন। মোগলাই এবং চা অর্ডার দিয়ে বসে সুন্দর করে খেলেন।
এরপর লোকটি আমাদের আগে হোটেল থেকে বাইর হয়ে গেলেন। আমরা দুইজন অনেকক্ষণ বসে বসে কথা বলতে লাগলাম। একটা সময় আমরা দুইজন যখন কাউন্টারে বিল দিতে গেলাম। তখন হোটেলের ক্যাশিয়ার বলতে লাগলো আমাদের ১২০ টাকা হল। তখন আমাদের মাদ্রাসার হুজুর বলতে লাগলো দুটি চা আর দুটি আলুপুরি খেয়েছি আমরা। তখন ক্যাশিয়ার বলতে লাগলো আপনাদের পাশে বসে লোকটি ৮০ টাকা খেয়েছে। এবং সে ক্যাশে এসে বলল টাকাগুলো আপনারা দিবেন।
তখন হুজুর বলতে লাগলো তার নাস্তা অর্ডার আমরা দেই নাই। এবং সেই পরিচিত লোকও না আমাদের। তখন হোটেলের কেশিয়ার বলতে লাগলো আপনাদের পাশে বসে নাস্তা খেলো এবং ক্যাশে এসে বলল আপনারা টাকা দিবেন আমরা কিভাবে জানি সে আপনাদের পরিচিত লোক না। এখন নাস্তার পয়সা গুলো আপনারা দিতে হবে। তখন আমি বললাম কি কারনে টাকাগুলো আমরা দিতে হবে। একই টেবিলে বসে কেউ যদি নাস্তা হয় তাহলে তার টাকাগুলো একজনে দিতে হবে।
এরপর আমি বলতে লাগলাম আপনাদের দোকানের মেসিয়ার কে ডাকেন। তার নাস্তা গুলো অর্ডার কে দিয়েছে। তখন হোটেলের মেসিয়ার আর বলতে লাগলো লোকটি নিজেই অর্ডার দিয়েছে। এরপর হোটেলের ম্যানেজার বলতে লাগলো কত বড় চালাক লোক। সে নাস্তাগুলো খেয়ে কিভাবে হোটেল থেকে চলে গেল। তারপর হোটেলের মেসিয়ারকে বকাঝকা শুরু করল। এবং মেসিয়ার কে বলতে লাগলো তার বেতন থেকে টাকাগুলো কেটে ফেলবে।
তারপর আমি আর আমাদের বড় হুজুর বলতে লাগলাম লোকটি আমাদের কেউ না আচ্ছা তারপরও টাকাগুলো আমরা দিয়ে দিচ্ছি। দোকানের মেসিয়ার থেকে যেন টাকা আর না কাটে। এই বলে আমরা নাস্তার টাকাগুলো দিয়ে চলে আসলাম। তবে আমি জীবনে অনেক শুনেছি বাটপার এবং চালাক লোকের কথা। এই প্রথম সামনে থেকে দেখলাম চালাক লোক। এই হচ্ছে চালাক লোকের গল্প।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1654849955931262977?s=20
আরে ভাই কি যে বলেন, আমাদের চারপাশ এখন বাটপারে ভরে গেছে। এ ধরনের বাটপার লোকেরা সমাজের এক ধরনের মানুষকে বোকা বানিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করে। আমার তো মনে হয় সেই লোকটি আপনাদেরকেও সেরকম বোকা বানিয়েছে। তাইতো আমাদের কে অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বাটপার লোকদের থেকে দূরে থাকতে হবে। তবে ভালো লাগলো আপনি হোটেলে মেসিআর ছেলেটির কষ্ট বুঝতে পেরেছেন।
ঠিক বলেছেন এই ধরনের বাটপার লোকদের থেকে দূরে থাকতে হবে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এই যুগেও এরকম ঘটনা ঘটে। আসলেই গল্পটি পড়ে খুবই অবাক লাগলো। আপনাদের পাশে বসে লোকটি খেল আর আপনাদের নামেই বিল করে চলে গেল। লোকটি তো আবার আপনাদের সিএনজি এর ভিতরে আপনাদের সাথেই মনে হয় এসেছিল। ভাগ্যিস সেখানে আপনাদেরকে ভাড়া দিতে হয়নি।
এই ধরনের লোক গুলো অনেক চালাক। এদেরকে দেখে এদের ভাব বোঝা যায় না। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইরে ভাই এত চালাক লোক আর বাটপার দেখেছে কিন্তু এর মত চালাক লোক দেখিনি। মাঝপথে সিএনজি করে আপনাদের সাথে বাজারে আসলো। অথচ আপনারা হোটেলে নাস্তা খাচ্ছেন সে আপনাদের কাছে বসে খেয়ে হোটেলের কাউন্টারে গিয়ে আপনাদের নাম বলে চলে গেল। আসলেই তো বড় সাংঘাতিক ব্যাপার কত বড় বাটপার হতে পারে। যাক একটা কথা শুনে ভালো লাগলো হোটেলের মিশিয়ার বেতন থেকে টাকাগুলো কাটবে বলেছে। সেই কারণে টাকাগুলো আপনারা দিয়েছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। আসলে এই ধরনের লোক গুলো সিনে রাখা ভালো।
তবে অনেক ধরনের বাটপার আছে। এদের কথাবার্তা একদম ভিন্ন রকম। অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে।