লাইফ স্টাইল :-মাকে ডায়াবেটিস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মুহূর্ত।

in আমার বাংলা ব্লগlast month (edited)

IMG_20240418_224722.jpg

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আমি আজকে একটি লেখার পোস্ট এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অথবা কোথাও ঘুরতে গেলে ওইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট লিখতে অনেক ভালো লাগে। বেশিরভাগ সুন্দর মুহূর্ত গুলোর পোস্ট পড়তে এবং লিখতে অনেক ভালো লাগে। সব সময় চেষ্টা করি আমার সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ঘুরতে গেলে নিজে মনটাও ফ্রেশ থাকে। তাই সবসময় চেষ্টা করি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার হাসিখুশির মুহূর্তটা আপনাদের মাঝেও শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনাদেরও পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আমার মাকে ডায়াবেটিস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মুহূর্ত। আপনারা হয়তো অনেকে জানেন আমার মা বাবা দুইজন অসুস্থ থাকে। তারা দুইজন ব্রেন স্ট্রোক করেছেন অনেক বছর আগে। ঈদের দুই দিন পর হঠাৎ করে বিকেল বেলা আমার মা মাথা চক্কর দিয়ে পড়ে গেল মাটিতে। যদিও ওই সময় আমি বাড়িতে ছিলাম। সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম। ডাক্তার বলল তার ডায়াবেটিস প্রেসার অনেক বেড়ে গেছে। এই কারণে তারপরের দিন ভোরবেলা আমি তাকে ডায়বেটিস হাসপাতালে নিয়ে গেলাম।

যদিও প্রতিমাসে একবার তাকে আমি ডাইবেটিস হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওখানে চেকআপ করার পর ডাক্তারি পরামর্শ করে তাকে ওষুধ খাওয়াই। রমজানের কারণে প্রায় দুই মাস হয়ে গেল তাকে ডায়াবেটিস হাসপাতালে নিয়ে যাই নাই। যদিও ডায়াবেটিস হাসপাতাল আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে। সকাল সাড়ে ছয়টায় আমার মাকে নিয়ে আমি গাড়ি করে নিয়ে গেলাম। এবং ডায়াবেটিস হাসপাতালে গিয়ে আমি নিজেও হতভাগ হয়ে গেলাম। কারণ ঐদিন ডায়াবেটিস হাসপাতালে রোগী অনেক বেশি ছিল।

তারপর আমি প্রথমে আমার মায়ের ডায়াবেটিস হাসপাতালে বইটি জমা দিলাম। এবং নয়টার দিকে তার নাম ডাকলো এরপর আমি টাকা জমা দিয়েছি অন্যান্য কাজ করলাম। তারপর যখন আমার মায়ের থেকে রক্ত নিয়েছে চেকআপ করার জন্য সাথে সাথে সেই অজ্ঞান হয়ে গেল। সত্যি আমার কাছে খুব খারাপ লাগলো মায়ের এই অবস্থা দেখে। তারপর আমি তাকে টেবিলের মধ্যে শুয়ে রেখে মাথায় হালকা পানি দিলাম। এরপর তার জ্ঞান আসলো। যদিও ডাক্তার বলেছে তার শরীরের মধ্যে কিছু নেই।

তারপর ওখানের ডাক্তার তার রিপোর্ট দেখে বলতেছে তার ডায়াবেটিস অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। এবং তার শরীরে প্রেসার অতিরিক্ত। তাকে দিনে এক বেলা ভাত খাওয়ার জন্য বলো। এবং অন্যান্য সময় রুটি ও হালকা খাবার খেতে বলল। সত্যি ওই দিন রোগীর কারণে প্রায় সাড়ে বারোটা বেজে গেল হাসপাতালে। এবং অতিরিক্ত গরমের কারণে তাকে হাসপাতাল থেকে বাইরে আনতে পারতেছি না। তারপর আমি ডায়াবেটিস হাসপাতাল থেকে বাইর হয়ে একটি গাড়ি ঠিক করলাম। তাকে বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য।

যদিও হাসপাতালের একদম কাছে আমার বড় ভাইয়ের বাসা আছে। তবে তাদের বাসা আমার মা যেতে চায় না। বাড়ি থেকে এত দূর থেকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর আমি একটি ফার্মেসিতে গেলাম। হাসপাতালে বইটি দেখিয়ে ওষুধগুলো কিনে নিলাম। তবে এই ফাঁকে আমি অনেকবার তাকে জিজ্ঞেস করলাম কি খেতে মন চায়। সত্যি মায়ের মন যদি কিছু খায় ছেলের টাকা কমে যাবে। অনেক জোরাজোরির পর সেই গরম রুটি খাবে বললেন। এবং তার জন্য গরম রুটি নিয়ে নিলাম। তারপর আমি ওষুধগুলো নিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম। এরপর আমার ওয়াইফ কে বলে তার ওষুধগুলো বুঝিয়ে দিলাম। সত্যি ঈদের কারণে ডায়াবেটি হাসপাতাল অনেক রোগী থাকার কারণে আমার নিজের ও অনেক কষ্ট হয়ে গেল। এই হচ্ছেন আমার মাকে ডায়াবেটিস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মুহূর্ত।

IMG_20240418_224601.jpg

IMG_20240418_224515.jpg

IMG_20240418_224443.jpg

IMG_20240418_224417.jpg

IMG_20240418_224645.jpg

আমার পরিচয়

IMG_20221006_094439.jpg

আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 last month 

ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে কি লিখব আমি ভাবতে পারছি না। কারণ আমার মায়ের জন্য অনেক কষ্ট হচ্ছিল আপনার পোস্টটি পড়ে। প্রথমে আন্টির জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল। আল্লাহ যেন আন্টিকে সুস্থতা দান করেন এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি আন্টির জন্য ।আপনাতো তারপরও মা বাবা বেঁচে আছে তাদের সেবা যত্ন করতে পারছেন। আপনি আসলে ভাগ্যবান যে, আপনি মা-বাবাৱ সেবা যত্ন করতে পারছেন। আর মা বাবা তখনি একটা সন্তানের কাছে থাকতে চায়। যখন তার ঐ সন্তানের কাছে পরিপূর্ণ সেবা যত্ন পায়। নিশ্চয় আন্টি আপনার কাছে বেশি আদর যত্ন পাচ্ছে। আজ আপনার পোস্টি পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। আল্লাহ পাক যেন সব সময় এভাবে আপনার বাবা-মাকে সেবা যত্ন করার তৌফিক দান করেন।

 last month 

আমি কতটুক ভাগ্যবান জানিনা তবে আমি মা-বাবার সেবা করতেছি। আপনার মন্তব্য শুনে খুব ভালো লাগলো।

 last month 

হাসপাতালে এখন এমনিতেই রোগীর সংখ্যা প্রায় সবসময়ই বেশি থাকে। যাইহোক আপনার মায়ের শরীর একেবারে দুর্বল, আর সেজন্যই শরীর থেকে ব্লাড নেওয়ার সময় আপনার মা অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। ডায়াবেটিস নিয়মিত মাপার চেষ্টা করবেন।

এবং তার শরীরে পেশার অতিরিক্ত।

ভাই উচ্চ রক্তচাপ বা প্রেসার বানান এভাবে হবে। আশা করি ঠিক করে নিবেন। যাইহোক আপনার মায়ের সুস্থতা কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last month 

ভাই আমার পোষ্টের মধ্যে ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। আমি বানানটি ঠিক করে নিয়েছি।

 last month 

খুবই খারাপ লাগলো আপনার আম্মুর ঘটনাটি পড়ে। যেহেতু হাসপাতালে নিয়ে গেলেন রক্ত নেওয়ার সময় পড়ে গেল। অতিরিক্ত গরমের কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যারা প্রেসারের রোগী তাদের প্রেসার তো অনেক বেড়েই যাবে। তাছাড়া সাথে ডায়াবেটিস ও বেড়ে যাচ্ছে। মায়ের মন বলে কথা ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গেলেন আবার খাবার খেয়ে টাকা খরচ করতে চাচ্ছে না। আপনি ভালো কাজ করলেন গরম গরম রুটি নিয়ে দিলেন। অবশেষে সুস্থ ভাবে বাসায় ফিরে আসতে পারলেন। দোয়া রইল আপনার আম্মুর জন্য।

 last month 

হ্যাঁ মায়ের মন বলে কথা। ভালো কিছু খেলে হয়তোবা ছেলের টাকা নষ্ট হয়ে যাবে এই চিন্তা করে। আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন।

 last month 

ডায়াবেটিস এমন একটা রোগ যা একবার হয়ে গেলে মৃত্যু পর্যন্ত বয়ে নিতে হয়। এই রোগির প্রেশেন্ট সবসময় কেয়ারফুল থাকতে হয়। অলসতা করলেই বেড়ে যায়। আপনার মায়ের দিকে খেয়াল রাখবেন। শুধু একবার ভাত আর বাকি দুবেলা রুটি। ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.29
TRX 0.11
JST 0.031
BTC 67756.28
ETH 3792.28
USDT 1.00
SBD 3.65